1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে সংসদেই নির্বাচনি প্রচার শুরু হয়ে গেলো

১৪ নভেম্বর ২০২৪

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আগে বেশ কিছু আইন পাস করানোর আবেদন করলেন।

মেরজের সঙ্গে কথা বলছেন শলৎস।
বিল পাস করার জন্য জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিখ মেরজের সমর্থন চান। ছবি: Hannes P. Albert/dpa/picture alliance

জার্মানির সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগে শলৎস এই আবেদন করেছেন। তবে রক্ষণশীল সিডিইউ ওলাফ শলৎসের এই প্রস্তাব মানার বিষয়ে খুব একটা উৎসাহ দেখায়নি।

গত সপ্তাহে শলৎসের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে গেছে। শলৎস জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ১৬ ডিসেম্বর আস্থাভোট নেবেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে।  তার আগে প্রায় একশটি খসড়া বিল অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তার মধ্যে আছে করছাড়, আর্থিক উন্নয়ন, শিশুদের সুবিধা, মাসিক গণপরিবহন পাসের মেয়াদ বৃদ্ধির মতো বিল। 

শলৎসের আবেদন

জার্মানির সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগে  বুধবার শলৎস বলেছেন, এখন যেটুকু সময় আছে, তা কাজে লাগানো উচিত এবং অত্যন্ত জরুরি আইনগুলি সকলে মিলে পাস করানো উচিত। কারণ, মানুষ এই ব্যাপারে কোনো দেরি পছন্দ করে না। আর এই আইনগুলি খুবই জরুরি।

বিরোধী সিডিইউ ও সিএসইউ-কে শলৎস বলেছেন, ''দেশের ভালোর জন্য, আসুন আমরা অন্তত নির্বাচন পর্যন্ত একসঙ্গে কাজ করি।''

নির্বাচনি প্রচার সত্ত্বেও বর্তমান বুন্ডেসটাগ আইন করতে পারে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন বুন্ডেসটাগ তৈরি না হচ্ছে, ততদিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই সুযোগটাই নিতে চাইছেন শলৎশ।

কী বলছে সিডিইউ?

সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস বলেছেন, ''যদি আমাদের সাহায্য নিয়ে আপনাদের এই ভেঙে পড়া সরকারের কিছু প্রকল্প অনুমোদনের চেষ্টা করেন, তাহলে আমরা বলব, এখন থেকে আপনি কোনো শর্ত আরোপ করতে পারবেন না। আমরা আপনার ভেঙে পড়া সরকারের কাজ সমর্থন করতে পারব না।''

বাজেট পাস না হলে হাতে অর্থ থাকবে না

ম্যারৎস বলেছেন, ''নতুন নির্বাচনের ঘোষণা হওয়ার পর নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হতে পারে।'' তিনি জানিয়েছেন, ''আস্থাভোটের আগে কিছু হবে না। কারণ, আমরা আগে থেকে করা প্রতিশ্রুতির উপর আস্থা রাখতে পারি না।'' 

ম্যারৎস বলেছেন, ''আমরা জাতীয় সাংবিধানিক আদালতের কোনো পদে নিয়োগের মতো বিষয়ে সংশোধন সমর্থন করতে পারি। কিন্তু তালিকাটা সেখানেই শেষ হওয়া উচিত।''

তারপর শলৎসকে লক্ষ্য করে ম্যারৎস বলেছেন, "আপনি কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চান। কিন্তু তা সম্ভব হবে না।  কোনো অনুমোদিত বাজেট ছাড়াই আমরা আগামী বছরে পা দেব।"

জার্মানি কোন দিকে যাচ্ছে?

বিতর্কের সময় সব দলই একে অপরের সমালোচনা করেছে। দলগুলির আগামী নির্বাচনে প্রচারের দিশাও স্পষ্ট হয়ে গেছে।

শলৎস আবার বলেছেন, তার জোট আর্থিক বিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে ভেঙে গেছে। এফডিপি আরো ঋণ নিতে চায়নি। এসপিডি ও গ্রিন বারবার বলেছেন, ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ভাঙা দরকার।

কোনো সন্দেহ নেই, নির্বচনে সিডিইউ/সিএসইউ এখনো পর্যন্ত এগিয়ে আছে। তবে তাদেরও জোট সরকার গঠন করার জন্য জোটসঙ্গী খুঁজতে হবে। তাই এসপিডি ও গ্রিন আবার একসঙ্গে কাজ করতে চাইছে।

ফ্রিডরিশ ম্যারৎস ইতিমধ্যে অতি-ডানপন্থি এএফডি এবং বাম দলগুলির সঙ্গে জোট করার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'ওরা যত আসনই পাক না কেন, ওদের সঙ্গে কোনো সহযোগিতা নয়।' 

তিনি জানিয়েছেন, এফডিপি-র সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল।

স্যাবিন কিনকার্টজ/জিএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ