1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবার জন্য সুন্দর বাসস্থান

নাস্তাসিয়া স্টয়ডেল / আরবি৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

জার্মানির বড় বড় শহরে অভিবাসীরা প্রায়ই এক ধরনের অর্থলিপ্সু বাড়ির মালিকের কবলে পড়েন৷ স্থানীয় প্রশাসন এই সমস্যা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ এক্ষেত্রে সাহায্যের আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে নির্মাণবিষয়ক মন্ত্রী হেন্ডরিক্সের কাছ থেকে৷

leerstehende Wohnung / Balkon
ছবি: picture-alliance/dpa

ডর্টমুন্ড শহরের একটি হাউজিং কোম্পানি, ডোগেভো ২১-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্লাউস গ্রানিকি৷ এই ধরনের কোম্পানির ৯০ শতাংশ বাড়ি ডর্টমুন্ড নগর কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত৷ বাকিগুলির মালিক স্পারকাসে (ব্যাংক)৷ গ্রানিকির কোম্পানিটি কিছুদিন আগেও ১২৬ ফ্ল্যাটসহ ১৫টি বাড়ি কিনে পুনর্গঠন করেছে৷ এর মধ্যে ছিল বেশ কিছু ভাঙাচোরা বাড়িঘরও৷ এগুলি অনেকদিন ধরেই খালি পড়ে ছিল৷

জরাজীর্ণ বাড়িঘর

এই ধরনের জরাজীর্ণ বাড়িঘর প্রসঙ্গে প্রায়ই অভিবাসীদের কথা উঠে আসে খবরে৷ বহু শহরে গলাকাটা ভাড়ায় অভিবাসীদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয় এই সব বাড়িঘর৷

আইনি সীমাবদ্ধতা ও কর্মীর অভাব থাকার কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে সামাল দিতে পারছেন না৷ তাই এখন জার্মান নির্মাণবিষয়ক মন্ত্রী বারবারা হেন্ড্রিকস এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেছেন৷ এই ধরনের বাড়িঘর ক্রয় ও পুনর্গঠনকে আরো সম্প্রসারিত করতে চান তিনি৷ এই খাতে ৪০ মিলিয়ন থেকে বাড়িয়ে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো ধার্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রী হেন্ড্রিকস৷

নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের কয়েকটি শহর যেমন ডুইসবুর্গ, গেলসেনকিয়র্খেন ও ডর্টমুন্ডে সমস্যাটা প্রবল৷ এই সব শহরের কিছু বিবেকহীন বাড়ির মালিক ক্ষয়ে পড়া বাড়িঘর থেকেই মোটা অঙ্কের ভাড়া তুলে নিতে তৎপর৷ আর তাঁদের সহজ শিকার হলেন অভিবাসীদের এক অংশ৷ উপায়ন্তর না দেখে অল্প একটু ঘুমানোর জায়গার জন্য চড়া ভাড়া দিতেও প্রস্তুত তাঁরা৷

ম্যাট্রেস ভাড়া

গ্রানিকি ডর্টমুন্ডের একটি বাড়ির দুরবস্থার কথা বর্ণনা করছিলেন৷ পাঁচ পরিবারের এই বাড়িটিতে ৭০-৮০টি ম্যাট্রেস দেখতে পেয়েছেন তিনি৷ এই সব ম্যাট্রেসে শোবার জায়গাও ভাড়া নেন অনেকে উঁচু মূল্যে৷

এই ধরনের বাড়িতে প্রায়ই বিল পরিশোধ না করায় গ্যাস, পানি কিংবা বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়৷ ভাড়াটেদের অনেক সময় ঠান্ডার মধ্যেই দিন কাটাতে হয়৷ কিন্তু এই সব সমস্যার কথা কার কাছে জানাবেন তাঁরা? বাড়িওয়ালার দেখাই তো মেলে না৷

এই ধরনের জরাজীর্ণ বাড়িঘর প্রসঙ্গে প্রায়ই অভিবাসীদের কথা উঠে আসে খবরেছবি: picture alliance/Horst Ossinger

এই জাতীয় বাড়ির মালিকরা আসেন বেশির ক্ষেত্রেই যৌন ব্যবসা ও মাদকদ্রব্যের জগৎ থেকে৷ তবে একসময় ‘ম্যাট্রেস ভাড়া দেওয়ার' ব্যাপারটাও পাহাড় সমান হয়ে দাঁড়ায় তাঁদের কাছে৷ তখন তাঁরা জরাজীর্ণ বাড়িগুলি ছেড়ে দিতে চান৷ কিন্তু আমাদের কাছে আসতে আসতে তিন বছর পর্যন্ত লেগে যায় তাঁদের, জানান ক্লাউস গ্রানিকি৷

দায়িত্ব নেওয়ার পর গ্রানিকি ও তাঁর সহকর্মীরা বাড়িগুলিকে বাসোপযোগী করে তোলেন৷ স্বাভাবিক একটা কাঠামো দেন৷ নতুন রূপ পাওয়া বাসস্থানেও অভিবাসীরা স্বাগত৷ ভাড়াটেদের বংশ পরিচয় এখানে নিতান্তই গৌণ ব্যাপার৷

ডর্টমুন্ট শহরের অবস্থা

২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী, ৫৭২.০৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস করেন ডর্টমুন্ড শহরে৷ এর মধ্যে ৮১.০০০ জন বিদেশি৷ ৪৫০০ জন রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া থেকে এসেছেন৷ এই বছরের জানুয়ারি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিমালা অনুযায়ী এই দুটি দেশে থেকে আসা মানুষরাও জার্মানিতে কাজ করতে পারবেন৷ এর ফলে বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া থেকে যে জনস্রোতের আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা বাস্তবে লক্ষ্য করা যায়নি৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও দারিদ্র্যজনিত অভিবাসনের ভীতিটা জনমন থেকে দূর হয়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ