1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকার গঠনের উদ্যোগ

১২ জানুয়ারি ২০১৮

একটানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা আলাপ-আলোচনার পর জার্মানির আগামী সরকার গড়ার পথ সুগম হয়েছে৷ দলীয় সম্মতি পেলে এবার এসপিডি ও ইউনিয়ন শিবির মহাজোট সরকার গড়ার লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করতে পারে৷

আঙ্গেলা ম্যার্কেল, হর্স্ট সেহোফার, মার্টিন শুলৎস

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে জার্মানিতে দ্রুত স্থিতিশীল সরকার গঠন করা কি আদৌ সম্ভব হবে কি না, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেই বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল৷ ইউনিয়ন ও এসপিডি শিবিরের দীর্ঘ ও জটিল আলোচনার প্রেক্ষাপটে মহাজোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছিল৷ অবশেষে দুই পক্ষ মহাজোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ দুই শিবিরের ৩ শীর্ষ নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে সবুজ সংকেত দিতে চলেছেন৷ তবে খুঁটিনাটি বিষয়গুলির নিষ্পত্তি করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানা যাচ্ছে৷

এক দিন প্রায় টানা দর কষাকষির পরেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মহাজোট গঠনের প্রশ্নে ঐকমত্যে আসতে পারেনি জার্মানির দুই রাজনৈতিক শিবির৷ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চূড়ান্ত ঘোষণার আশা করা হচ্ছিলো৷ কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে মতবিরোধ দূর করা সম্ভব না হওয়ায় আলোচনা শেষ হচ্ছিল না৷ তবে শুক্রবারই এই প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য প্রবল চাপ বজায় ছিল৷

আর্থিক কিছু বিষয় ও শরণার্থীদের প্রশ্নে এসপিডি ও ইউনিয়ন শিবিরের মধ্যে মতবিরোধ কাটছিল না বলে জানা গেছে৷ বিদায়ী সরকার বাজেট ঘাটতি দূর করে নতুন সরকারি ঋণ নেওয়া বন্ধ করতে পেরেছে৷ ইউনিয়ন শিবির ভবিষ্যতেও এই ভারসাম্য বজায় রেখে সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে চায়৷ কিন্তু এসপিডি দলের বেশ কিছু দাবি কার্যকর করতে গেলে বাড়তি ব্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে৷

দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা গোপনীয়তার বেড়াজালে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে খুঁটিনাটি বিষয়গুলি জানা যাচ্ছিল না৷ ইউনিয়ন শিবির মহাজোট গড়তে বদ্ধপরিকর৷ অন্যদিকে এসপিডি কোনো পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের আশা ছাড়াই আলোচনা শুরু করেছিল৷ অর্থাৎ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত মহাজোট গঠন করা সম্ভব না-ও হতে পারে৷ দলীয় সম্মেলনে সম্মতি পেলে তবেই এসপিডি জোট গড়ার পথে এগোতে পারবে৷

বৃহস্পতিবার এসপিডি, সিডিইউ ও সিএসইউ দলের শীর্ষ ও সংসদীয় নেতারা আলোচনার হাল ধরেছেন৷ যখনই কোনো বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে, তাঁরা দলীয় বিশেষজ্ঞদের ডেকে নিয়েছেন৷ কিছু সময় পর পর দলের নেতৃত্বমণ্ডলীর সঙ্গে শলাপরামর্শও করেছেন তাঁরা৷ চূড়ান্ত ঐকমত্য যে কঠিন হবে, বৃহস্পতিবারই সেই আভাস দিয়েছিলেন সিডিইউ নেত্রী আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও এসপিডি নেতা মার্টিন শুলৎস৷

এমন প্রেক্ষাপটে ঐকমত্য সত্ত্বেও জার্মানিতে সরকার গঠনের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা বিফল হলে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল গভীর সংকটে পড়তে পারেন৷ তাঁকে সংখ্যালঘু সরকার অথবা নতুন নির্বাচনের মধ্যে কোনো একটি কঠিন বিকল্প বেছে নিতে হবে৷ জার্মানিতে দ্রুত স্থিতিশীল সরকার গঠন করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রত্যাশা ও চাপও কাজ করছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ