1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকার গড়ার পথে আবারো বিলম্ব

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জার্মানিতে এ যাত্রায় সরকার গড়া সম্ভব হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ সম্ভাব্য জোটসঙ্গীরা এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে৷ কোয়ালিশন চুক্তি সম্ভব হলে এসপিডি সদস্যদের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হবে৷

Koalitionsverhandlungen von Union und SPD Merkel
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld

সাধারণ নির্বাচনের চার মাস পরেও জার্মানিতে সরকার গঠন করা যখন সম্ভব হয়নি, তখন কোয়ালিশন চুক্তির জন্য সামান্য বিলম্বে কিছু এসে যাবে না – এমনই মনোভাব নিয়ে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনার পরিকল্পনা বাতিল করলো সম্ভাব্য জোটসঙ্গীরা৷ তার বদলে ইউনিয়ন ও এসপিডি শিবিরের প্রতিনিধিরা সোমবার সকালে বকেয়া বিষয়গুলি নিয়ে রফায় আশার চেষ্টা করছেন৷ বাকি সব প্রশ্নে অগ্রগতি সত্ত্বেও মূলত কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্য বিষয়ে এখনো ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি৷ এসপিডি দল চায়, অকারণে চাকরির মেয়াদ সীমিত না রেখে কর্মীদের জন্য স্থায়ী চাকরি নিশ্চিত করতে সরকার হস্তক্ষেপ করুক৷ তাছাড়া জার্মানিতে স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে বেসরকারি বিমার বাড়তি কিছু সুবিধা দূর করে গোটা ব্যবস্থাকে সবার জন্য ন্যায্য করতে বদ্ধপরিকর তারা৷

সিডিইউ ও সিএসইউ দলের ইউনিয়ন শিবিরের পক্ষে এমন সব দাবি মেনে নেওয়া কঠিন৷ যে কোনো মূল্যে  মহাজোট সরকার গঠন করতে তারা এসপিডি-র কাছে নতি স্বীকার করলে দু'দলেই চরম অসন্তোষ দেখা দিতে পারে৷ তাছাড়া এর আগে এসপিডি-র সঙ্গে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রেও এই দুটি বিষয়ের উল্লেখ ছিল না৷

অন্যদিকে এসপিডি দল সরকারে যোগ দেবার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত শুধু শীর্ষ নেতাদের হাতে ছেড়ে দিচ্ছে না৷ প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্মতি আদায় করে চলেছেন শীর্ষ নেতা মার্টিন শুলৎস৷ গত দলীয় সম্মেলনে কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আরও ছাড় আদায় করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোয়ালিশন চুক্তি নিয়ে আলোচনার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন তিনি৷ শেষ পর্যন্ত কোয়ালিশন চুক্তি প্রস্তুত হলে দলের সাধারণ সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ জার্মানিতে এ যাত্রায় সরকার গঠন করা সম্ভব হবে কি না, সেটা প্রায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার এসপিডি সদস্যের রায়ের উপর নির্ভর করছে৷

ইউনিয়ন শিবির ও  এসপিডি এখনো পর্যন্ত যে সব বিষয়ে ঐকমত্যে এসেছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয় সাধারণ মানুষের পছন্দ হতে পারে৷ যেমন বর্তমানে বাসস্থান নিয়ে যে সংকট দেখা যাচ্ছে, তা দূর করতে কিছু পদক্ষেপ নিতে চায় তারা৷ বাড়িভাড়ায় রাশ টানতে ও বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে আইন, সরকারি সুবিধা ও ভরতুকি চালু করতে চাইছে দুই শিবির৷ দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতেও কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে তারা৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ