জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় সাইটস শহরে যে হলোকাস্ট শিকারদের স্মৃতিস্মারক ১০টি পাথর (স্টাম্বলিং ব্লক) ছিল, সেগুলো চুরি হয়ে গেছে৷
বিজ্ঞাপন
স্টাম্বলিং ব্লক হলো এক ধরণের স্মৃতিপাথর যেখানে হলোকাস্টের সময়ে নিহতদের তথ্য খোদাই করা থাকে৷
১০ সেন্টিমারের বর্গাকারের এই স্মৃতিস্মারক-পাথরের উদ্ভাবক শিল্পী গুন্টার ডেমনিং৷ ব্লকগুলো দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় বিভিন্ন মানুষকে নাৎসিরা হত্যা করার জন্য নিয়ে যাওয়ার আগে যেই বাড়িতে থাকতেন সেই বাড়ির সামনে স্থাপন করা থাকে৷
জার্মিানির অনেক শহরেই এমন স্টাম্বলিং ব্লক রয়েছে৷ তবে কোনো কোনো শহর, যেমন মিউনিখ শহর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ইহুদিদের প্রতিবাদের মুখে এমন ব্লক স্থাপন করেনি৷ ওই ইহুদিরা কোনো মানুষের নাম এভাবে প্রদর্শনের পক্ষে নন৷
আউশভিৎসের স্মৃতি শুনিয়ে টিকটক তারকা
03:07
‘ক্ষমার অযোগ্য’
প্রদেশের গভর্নর গ্যুটস উলরিস বলেন, ‘‘যারা এই কাজটি করেছেন তারা হলোকাস্টকে আমাদের স্মৃতি থেকে সরিয়ে দিয়ে চায়৷’’
তিনি মনে করেন, স্টাম্বলিং ব্লক চুরি করে নিয়ে যাওয়া ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ৷
সাইটস শহরের মেয়র কাথরিন ভেবার বলেন, এই ঘটনাটি স্পষ্টতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এটি গণতন্ত্রের উপর হামলা৷ এ বিষয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছেন তিনি৷
পুলিশের ধারণা, সপ্তাহান্তে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
আরআর/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)
জার্মানির ড্রেসডেনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণ
১৯৪৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মিত্রশক্তির বোমা হামলায় জার্মানির ড্রেসডেন শহরের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের স্মরণ করেন শহরের বর্তমান বাসিন্দারা৷
ছবি: Matthias Rietschel/dpa/picture alliance
বোমা হামলায় বিধ্বস্ত ড্রেসডেন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মিত্রশক্তির বোমা হামলায় জার্মানির ড্রেসডেন শহর প্রায় ধুলোয় মিশে গিয়েছিল৷ মারা গিয়েছিলেন প্রায় ২৫ হাজার জন৷
ছবি: akg-images/picture-alliance
মানববন্ধন কর্মসূচি
ঐ হামলায় নিহতদের স্মরণ করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় ড্রেসডেনের কয়েক হাজার মানুষ মানববন্ধন তৈরি করেন৷ এই সময় তারা কিছু মুহূর্ত নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন৷ আর গির্জায় বেল বাজতে থাকে৷ ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছর এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে৷
ছবি: Andreas Franke/IMAGO
কভেন্ট্রির নিহতদের স্মরণ
মানববন্ধনের অংশগ্রহণকারীরা ১৯৪০ সালে ড্রেসডেনের টুইন শহর ইংল্যান্ডের কভেন্ট্রিতে জার্মানির বোমা হামলায় নিহতদেরও স্মরণ করেন৷
ছবি: Matthias Rietschel/dpa/picture alliance
শান্তি ও গণতন্ত্রের পক্ষে
জার্মানির সাক্সোনি রাজ্যের রাজধানী ড্রেসডেন৷ এই রাজ্যে জার্মানির চরম ডানপন্থি দল এএফডির জনপ্রিয়তা অনেক৷ পুরো জার্মানিজুড়েই জনপ্রিয়তার বিচারে এএফডি এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম দল৷ তাদের এমন জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির বিরোধিতায় অনেক জার্মান এখন নিয়মিত বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন৷ ড্রেসডেনের এ বছরের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে শান্তি ও গণতন্ত্রের পক্ষে সংকেত পাঠানোর চেষ্টা হয়েছে৷
ছবি: Matthias Rietschel/dpa/picture alliance
এএফডির কর্মসূচি
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এএফডি দল অন্যান্য ডানপন্থি সংগঠনের সঙ্গে মিলে ড্রেসডেনের পুরোনো বাজার চত্বরে কর্মসূচি পালন করেছে৷ একই জায়গায় কর্মসূচি পালন করেছে কট্টর বামপন্থিরাও৷ পুলিশ উপস্থিতির কারণে বড় সমস্যা ছাড়াই দুটি কর্মসূচি শেষ হয়েছে৷