1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামলার পরে চাপে ম্যার্কেল

কাই-আলেক্সান্ডার শলৎস/এপিবি২৬ জুলাই ২০১৬

মিউনিখ, ভ্যুর্ৎসবুর্গ, রয়েটলিঙেন আর আন্সবাখে হামলার ঘটনায় জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ওপর চাপ বাড়ছে৷এ অবস্থায় তিনি কি চতুর্থ দফা নির্বাচনে লড়বেন? এ সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছেন ডয়চে ভেলের কাই-আলেক্সান্ডার শলৎস৷

আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সাথে সেলফি তুলছে সিরিয়ান শরণার্থীরা
ছবি: Reuters/F. Bensch

গত বছর অভিবাসী সংকট যখন চরম রূপ ধারণ করেছিল, তখন জার্মান চ্যান্সেলর তাঁর নানা মুখী পদক্ষেপের কারণে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন৷ কিন্তু এখন, জার্মানির দক্ষিণপন্থি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি পার্টি (এএফডি) ইসলাম-বিরোধিতার পাশাপাশি অভিবাসনের মতো বিষয়ে তাদের অবস্থান খোলসা করেছে৷ পপুলিস্ট এই দলটির পাশাপাশি অন্যান্য সমালোচকরাও ম্যার্কেলকে তুলোধুনা করতে ছাড়েননি৷ অথচ একটা সময় ম্যার্কেল নিজেকে ‘শরণার্থী চ্যান্সেলর' হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন, যা তাকে সম্মান দিয়েছিল৷ বিরোধীরা অবশ্য তখনই মুচকি হেসেছিলেন৷

আসলে গত কয়েক সপ্তাহে একের পর হামলার ঘটনায় ম্যার্কেলের জনপ্রিয়তায় সত্যিই ভাটা পড়েছে৷ গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে একই কথা৷ তারা বলছে, জার্মানিতে শরণার্থীদের প্রবেশ এখন সীমিত করা উচিত৷ আর এ জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউ-কেই৷

ম্যার্কেলের অবস্থান, বিরোধিতা

‘জার্মানির জন্য বিকল্প' এএফডি দল যেভাবে সিডিইউ-এর সমালোচনা শুরু করেছে, করছে, তাতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি৷ এমন পরিস্থিতিতে যেখানে সব দলের একসাথে কাজ করা উচিত, সেখানে এএফডি নেতারা যেন ম্যার্কেলকে দোষ দিতেই ব্যস্ত৷ মতামত জরিপেও ম্যার্কেলের অবস্থান কিছুটা নেমে গেছে৷

পর পর কয়েকটি হামলার পর জার্মান জনগণ ম্যার্কেল এবং শরণার্থীদের এক কাতারে দাঁড় করাচ্ছে৷ তাই যখনই গণমাধ্যমে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কিছু লেখা হয়, তা হয়ে দাঁড়ায় ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে৷ যদিও ঐ চারটি জায়গায়, অর্থাৎ যেখানে হামলা হয়, সেখানে শরণার্থীদের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি, বা জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ তবে তদন্ত এখনো চলছে৷

এএফডি-র জন্য ভালো সুযোগ

এই সময়টার ভালো ফায়দা লুটছে এএফডি৷ দলটির নেতারা সমর্থকদের বলছেন, ‘‘আমরা সবসময় বলেছি যে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে অভিবাসীদের প্রবেশ করতে দেয়াটা বিপজ্জনক হতে পারে৷'' বলা বাহুল্য, দলটির রাজনৈতিক নেতারা ফেসবুক ও টুইটারে এ কথা বলে জনগণকে নিজেদের দলে টানতে চাইছেন৷ ম্যার্কেলের ‘সবার জন্য উন্মুক্ত দ্বার' নীতিকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন তাঁরা৷

কাই-আলেক্সান্ডার শলৎস, ডয়চে ভেলে

জার্মানির পূর্বাঞ্চলে বর্তমানে অবকাশ যাপন করছেন ম্যার্কেল৷ কিন্তু এ সময়টা তিনি যে খুব উপভোগ করছেন না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কেননা পুরো দেশের দায়িত্বভার যাঁর কাধে তিনি যে এ পরিস্থিতিতে খুব একটা ভালো থাকবেন না, তা বলাই যায়৷

চতুর্থ দফা নির্বাচন প্রসঙ্গ

এখন থেকে ঠিক একবছর পর জার্মানিতে আবারও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ ম্যার্কেল কিন্তু এখনও জানাননি তিনি পরের বার নির্বাচনে লড়বেন কিনা৷ আসলে এটা অনেকটাই নির্ভর করছে শরণার্থী ইস্যুতে তিনি কতটা সফল হন, তার ওপর৷ এর মধ্যে প্যারিস ও ব্রাসেলসে হামলায় তাঁর সে সম্ভবনায় কিছুটা ভাটা পড়েছে বৈকি!

বন্ধু, আপনি কি লেখকের সঙ্গে একমত? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ