মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ''ইসলামিক সেন্টার অফ হামবুর্গ(আইজেডএইচ) জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লাহকে সমর্থন করে এবং তারা জার্মানির সাংবিধানিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে তাদের সন্দেহ। তল্লাশির পর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বলা হয়েছে, তথ্য সংগ্রহের জন্যই তল্লাশি চালানো হয়েছে।''

২০২০ সালে জার্মানি হেজবোল্লাহকে জঙ্গি সংগঠন বলে চিহ্নিত করে ও জার্মানিতে তাদের কার্ষকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়।

রাজনীতিবিদরা কী বলছেন?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজা বলেছেন, ''বেশ কিছুদিন হলো আইজেডএইচের উপর নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা।''

ফেজা বলেছেন, ''এখন এই সময়ে অনেকেই মনে করছেন ইহুদিদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রের পক্ষে ইহুদিবিদ্বেষী এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্দোলন মেনে নেয়া সম্ভব নয়।''

তিনি জানিয়েছেন, ''আমাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। কড়া মনোভাব নিতে হবে। প্রত্যেকটি যুক্তিগ্রাহ্য সন্দেহকে গুরুত্ব দিতেই হবে।'' 

এসপিডি-র নেতা ও হামবুর্গের সেনেটর অ্যান্ডি গ্রোট জানিয়েছেন, ''এই তল্লাশি হলো আইজেডএইচের উপর কঠিন আঘাত এবং ওদের সময় এখন শেষ হয়ে যাচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি আইজেডএইচ হামবুর্গ থেকে মুছে য়ায়, ততই ভালো। আমরা আজ তারই কাছাকাছি এসেছি। আমার আশা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পক্ষে রায় দেবে। আইজেডএইচ শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে।''

আইজেডএইচ কী?

জার্মানির গোয়েন্দারা মনে করেন, আইজেডএইচ হলো ইরানপন্থি সংগঠন, যাদের মসজিদ ও মুসলিম সংগঠনগুলির উপর প্রভূত প্রভাব আছে, এমনকী তারা এদের নিয়ন্ত্রণও করে।

আইজেডএইচ হামবুর্গে একটা মসজিদও চালায়। এই মসজিদের নাম ব্লু মসজিদ।

১৯৫৩ সালে ইরান থেকে আসা অভিবাসীরা এই সংগঠন তৈরি করে। তাদের কাজ ছিল, ইরানের বিপ্লবী মতাদর্শ প্রচার করা।

জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)