জার্মানিতে সমলিঙ্গের বিয়ে স্বীকৃতি পাবার পর ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি সমলিঙ্গ যুগল বিয়ে করেছেন বা তাদের সিভিল পার্টনারশিপ বিয়ে বলে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২০ সালের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
জার্মানির এফডিপি দলের সংসদীয় গ্রুপের এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার এই তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ডিপিএ।
২০১৭ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের শেষ পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৯২৫ সমলিঙ্গ যুগল বিয়ে করেন। এই সময়ে ২৬ হাজার ২৯৩টি সিভিল পার্টনারশিপ বিয়ে বলে স্বীকৃতি পেয়েছে।
উল্লেখিত সময়ে জার্মানিতেমোট বিয়ের সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৯৯৯টি।
সমলিঙ্গ বিবাহ ঘিরে বিভক্ত তাইওয়ান
এশিয়ার ‘গে ক্যাপিটাল’ হিসাবে পরিচিত তাইওয়ানের একটি আদালত ২০১৭ সালের মে মাসে সমলিঙ্গ বিবাহের পক্ষে রায় দিয়েছে৷ কিন্তু নতুন প্রজন্ম এই রায়ের পক্ষে হলেও বিপক্ষে প্রবীণরা৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/A. Wang
এশিয়ায় প্রথম
তাইওয়ানই এশিয়ার প্রথম দেশ, যেখানে আদালত সমলিঙ্গ বিয়ের পক্ষে রায় ঘোষণা করেছে৷ কিন্তু ২০১৭ সালের মে মাসে এই রায় হলেও, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে শনিবারের গণভোটের ওপর৷ এই ভোটে সমলিঙ্গ বিবাহের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন দেশের যুবপ্রজন্মের একাংশ৷ অন্যদিকে এর ঘোর বিরোধী প্রবীণ নাগরিকেরা৷
ছবি: Reuters/T. Siu
গণভোট কেন?
আদালত সমলিঙ্গ বিবাহের পক্ষে রায় দিলেও কেন প্রয়োজন গণভোট? গত বছর রায় ঘোষনার পর থেকেই গণভোটের দাবিতে আদালতের কাছে এসেছে ডান-বাম সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রতিবাদপত্র৷ চাপে পড়ে গণভোটের আয়োজন করতে বাধ্য হয় সরকার৷
ছবি: Reuters/T.Siu
বিরোধ ঘরে-বাইরে...
এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় তাইওয়ান সমকাম বা সমলিঙ্গের প্রেম বিষয়ে বেশ উদার৷ কিন্তু তবুও আদালতের এই ঘোষণায় দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে৷ সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা ঠিক না ভুল, এই তর্কে ছেয়ে গেছে বর্তমান তাইওয়ানের সব মহল৷ খাবার টেবিল থেকে অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম– সব জায়গাতেই আলোচনার বিষয় এটাই৷
ছবি: Reuters/A. Wang
পক্ষে কারা?
৩২ বছর বয়সি অস্টিন হাউং নিজে সমকামী৷ কিন্তু আরো অনেকের মতো অস্টিনের এই রায়ের পক্ষে থাকার কারণ শুধুই তার ব্যক্তিগত পছন্দ নয়৷ পেশায় চিত্রগ্রাহক অস্টিন সমকামী যুগলদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ বর্তমানে তাইওয়ানে সমকামী যুগলদের বিবাহ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দেবার লোকের অভাব রয়েছে বলেই এই কাজকে তিনি পেশায় পরিণত করতে চান৷
ছবি: Reuters/A. Wang
বিপক্ষে রয়েছেন যারা...
হাউং এই রায়ের পক্ষে থাকলেও তার ৬০ বছর বয়সি মা জেং সমলিঙ্গ বিবাহের ঘোর বিরোধী৷ জেং বলেন, ‘‘সমলিঙ্গ বিবাহের পক্ষে থাকার কোনো দরকার নেই৷ তরুণ প্রজন্মের সব কথা শুনতে থাকলে সমাজে সমকামীদের সংখ্যা বাড়বে৷’’ জেং-এর মতো তাইওয়ানের অনেক প্রবীণ নাগরিকের ধারণা, বিয়ে কেবলমাত্র নারী ও পুরুষের মধ্যেই হওয়া উচিত৷
ছবি: Reuters/A. Wang
বিপাকে প্রেসিডেন্ট...
২০১৬ সালে সমলিঙ্গ বিবাহকে বৈধতা দেবার আশা দেখিয়ে ক্ষমতায় আসেন তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ৎসাই ইং-ওয়েন৷ কিন্তু ২০১৭ সালে রায় ঘোষনার পর থেকেই দেশজুড়ে বাড়তে থাকে রায়বিরোধী মনোভাব৷ তবুও সমলিঙ্গ বিবাহের পক্ষে লড়া সমাজকর্মীরা এখনো ইং-ওয়েনের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Yeh
বিবাহে ব্যবসা...
রাজধানী তাইপেই শহরে প্রতি বছর সমকামী বা ‘এলজিবিটি’ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে আয়োজিত হয় ‘প্রাইড’ মিছিল৷ এ বছর এই মিছিল থেকে মোট ৩৩ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করেছে তাইওয়ানের অর্থনীতি৷ ফলে সমকামী সমাজকে ঘিরে দেশে গড়ে উঠছে একের পর এক ব্যবসা৷ সব মিলিয়ে, শনিবারের গণভোটের ওপর নির্ভর করছে দেশের সমাজ ও অর্থনীতির ভবিষ্যৎ৷
ছবি: Reuters/T.Siu
7 ছবি1 | 7
জার্মানিতে এত সমলিঙ্গ বিয়ের বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছেন এফডিপি সাংসদ ইয়েন্স ব্রান্ডেনবুর্গ। তবে তিনি বলছেন, সন্তানের অভিভাবকত্বের বিষয়ে এখনও কিছু অসুবিধা রয়ে গেছে। যেমন যে বিবাহিত দম্পতির একজন পুরুষ ও একজন নারী, সেখানে পুরুষটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে জন্ম নেয়া সন্তানের বৈধ বাবা হতে পারেন।
কিন্তু যে বিবাহিত দম্পতির দুজনই নারী সেখানে বিষয়টি এমন নয়। এক্ষেত্রে অভিভাবক হতে নারী পার্টনারকে তার স্ত্রীর জন্ম দেয়া সন্তানকে দত্তক নিতে হয়। ''জন্মদাতা বাবা যদি অনুমতি দেন তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কো-মাদার্সদের স্বীকৃতি দিতে হবে,'' দাবি করেন ব্রান্ডেনবুর্গ।
জার্মানিতে প্রায় আশি লাখ পরিবারে অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান আছে। এর মধ্যে সমলিঙ্গ দম্পতি বা একসঙ্গে বাস করা পার্টনারের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।