জার্মানির আসন্ন নির্বাচনে কমপক্ষে ৩০ লাখ প্রবাসী ভোটার
২০ জানুয়ারি ২০২৫
২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ লাখ প্রবাসী জার্মান ভোটারের ভোটাধিকার রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু সংকটও রয়েছে।
বিদেশে বসবাসকারী জার্মানদের ভোট দেওয়ার জন্য মাত্র কয়েক সপ্তাহ সময় আছেছবি: Arnulf Hettrich/IMAGO
বিজ্ঞাপন
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান ভাগনার বিদেশে বসবাসরত জার্মানদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২৩শে ফেব্রুয়ারি বুন্ডেসটাগ নির্বাচনে ভোট দেয়া নিশ্চিত করতে চাইলে এখনই নির্বাচনি নথিপত্র সংগ্রহ করতে হবে। সময়মতো ব্যালট পেপার সংগ্রহ করা, তা পূরণ করা এবং সময়মতো জার্মানিতে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারটা এত সহজ নয়।
গত ডিসেম্বরে জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বুন্ডেসটাগে আস্থা ভোটে হেরে যান। এরপরই জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ২৩শে ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেন।
ভাগনার অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছেন,‘‘কিছু দেশে স্বাভাবিক জার্মান সংসদীয় নির্বাচনের সময়েও চ্যালেঞ্জে পড়তে হতে পারে। কোথায় বাস করছেন তার উপর নির্ভর করে, বিদেশে বসবাসরত কিছু জার্মান সময়মতো তাদের ব্যালট পেপার নাও পেতে পারেন।" নিয়মিত নির্বাচনে বিদেশে জার্মান দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলো নির্বাচনের কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তারা সময় পাচ্ছেন মাত্র কয়েক সপ্তাহ।
জার্মানদূতাবাসেভোটদিচ্ছেন?
প্রবাসী জার্মানদের মধ্যে যারা ভোট দিতে চান, তাদের জার্মানির ২৯৯টি নির্বাচনি এলাকার যেকোনো একটির ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করাতে হবে। সাধারণত জার্মানিতে সেই ব্যক্তির সবশেষ আবাসস্থলকেই নির্বাচনি এলাকা হিসাবে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু কিছু দেশ এটি ভিন্নভাবে পরিচালনা করে। যেমন, ২০২৩ সালের মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোটে জার্মানিতে প্রায় ১৫ লাখ তুর্কি নাগরিকের ভোটাধিকার ছিল। তারা জার্মানির কনস্যুলেটসহ ১৭টি ভিন্ন স্থানে ভোট দিতে পেরেছিলেন।
বুন্ডেসটাগ নির্বাচনে এটি সম্ভব নয়। ভাগনার বলেন "জার্মানিতে কেবল দূতাবাসে ভোট দেওয়ার কোনো বিধান নেই। আমাদের নির্বাচনি ব্যবস্থায় এটি নেই।" কিন্তু এখন জার্মানির নির্বাচনি এলাকায় কেবল একটি ইমেইল পাঠিয়েই নথিপত্র পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা সম্ভব।
২০২৫-এর নির্বাচনে জার্মানির চ্যান্সেলর প্রার্থী যারা
২০২৫-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগের আগাম নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করছে৷ ছবিঘরে দেখে নেয়া যাক কারা হতে পারেন চ্যান্সেলর প্রার্থী।
ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance
ওলাফ শলৎস, এসপিডি
বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবারও চ্যান্সেলর হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের ৬৬ বছর বয়সি চ্যান্সেলর প্রার্থী ওলাফ শলৎসের নিজের একটি আইন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অতীতে হামবুর্গ শহরের মেয়র, দেশের শ্রমমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা শলৎসের জনপ্রিয়তা এখন অবশ্য বেশ পড়তির দিকে।
ছবি: Annegret Hilse/REUTERS
ফ্রিডরিশ ম্যারৎস, সিডিইউ
রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটদের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ফ্রিডরিশ ম্যারৎসের জন্ম ১৯৫৫ সালে। আইনজীবী ম্যারৎস বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংস্থা ব্ল্যাকরক-এ কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার।
ছবি: Ruffer/Caro/picture alliance
রবার্ট হাবেক, গ্রিন পার্টি
৫৫ বছর বয়সি রবার্ট হাবেক গ্রিন পার্টি চ্যান্সেলর প্রার্থী। তার সবচেয়ে বড় গুণ নিজের ভুল স্বীকার করতে পিছপা হন না। রবার্ট হাবেক-ই প্রথম বর্তমান জোট সরকারের ব্যর্থতা ও জোটের শরিকদের মধ্যে মতবিরোধ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন। রাজনীতির বাইরে হাবেক একজন লেখক, অনুবাদক ও দার্শনিক।
ছবি: appeler/dpa/picture alliance
আলিস ভাইডেল, এএফডি
অর্থনীতিতে পিএইচডি করা আলিস ভাইডেলের জন্ম ১৯৭৯ সালে৷ উগ্র ডানপন্থি দল এএফডির কো-চেয়ারম্যান পড়ালেখা ও চাকরি করেছেন চীনে। অভিবাসনবিরোধী প্রচারণার কারণে আলিস ভাইডেল ইতিমধ্যে বেশ আলোচিত-সমালোচিত। শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত এক নারী তার ‘সিভিল পার্টনার’৷ বছরের বেশির ভাগ সময় সেই নারীর সঙ্গে সুইজারল্যান্ডে থাকেন আলিস। দুটি শিশু দত্তক নিয়েছেন তারা।
আলিস ভাইডেলের মতো জার্মানির বর্তমান অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারের জন্মও ১৯৭৯ সালে। মন্ত্রীসভা থেকে তাকে বহিষ্কার করার মাধ্যমেই ভেঙে পড়ে জোট সরকার। ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার পড়াশোনা করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে৷ একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ সংস্থার মালিক লিন্ডনার জার্মান বিমান বাহিনীর একজন রিজার্ভ সদস্যও। ৩৪ বছর বয়সে নিওলিবারেল রাজনৈতিক দল ফ্রি ডেমোক্র্যাট (এফডিপি)-র চেয়ারম্যান হন তিনি।
ছবি: Hannes P Albert/dpa/picture alliance
জাহরা ভাগেন্কনেখট, বেএসভে
রাজনৈতিক টকশোর পরিচিত মুখ, সাবেক বাম রাজনীতিবিদ জাহরা ভাগেন্কনেখট বর্তমানে পপুলিস্ট মতাদর্শের প্রচারক। রক্ষণশীল সামাজিক নীতি, বাম ধারার অনুপ্রাণিত অর্থনৈতিক নীতি ও অভিবাসন বিরোধিতার কারণে তিনি বেশ পরিচিত। জারাহ জলবায়ু পরিবর্তন ও ন্যাটোর বিষয়েও কঠোর।
ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance
ইয়ান ফান আকেন, লেফট পার্টি
পশ্চিম জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করা ইয়ান জীববিজ্ঞানে পিএইচডি৷ ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত কাজ করেছেন জাতিসংঘের বায়োলজিক্যাল উইপন্স পরিদর্শক হিসেবে। ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত জার্মান সংসদে বামদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ইয়ান। চলতি বছর অক্টোবরে জার্মান বাম দলের কো-চেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন ৬৩ বছর বয়সি ইয়ান।
ছবি: Axel Heimken/dpa/picture-alliance
7 ছবি1 | 7
দেশেরবাইরে৩০-৪০লাখভোটার
এটি অবশ্য একটি আনুমানিক সংখ্যা। ভাগনার বলেছেন, "বিদেশে নিবন্ধনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তাই আমরা কেবল কতজন জার্মান বিদেশে আছেন এবং তাদের মধ্যে কতজন ভোট দেওয়ার যোগ্য তা অনুমান করতে পারি। আমরা ধরে নিচ্ছি এই সংখ্যা মোট ৩০ থেকে ৪০ লাখ।" আরো অনেক জার্মান বিদেশে থাকেন, কিন্তু তাদের সবাই ভোট দেওয়ার অধিকারী নন।
জার্মানিতে কেবল নাগরিক হলেই ভোট দেয়া যায় না। ১৪তম জন্মদিনের পরে অন্তত তিন মাস টানা জার্মানিতে অবস্থান করতে হবে। তবে এক্ষেত্রেও বাড়তি নিয়ম রয়েছে। যেমন, জার্মানিতে বসবাসের সময়কাল টানা ২৫ বছরের বেশি হলে চলবে না। অর্থাৎ, যেসব জার্মান কেবল মাঝেমধ্যে জার্মানিতে অল্প সময়ের জন্য এসেছেন, তাদের অনেকেই ভোট দেওয়ার যোগ্য নন। যাদের জার্মান পাসপোর্ট আছে কিন্তু কখনো জার্মানিতে আসেননি, তারাও ভোট দিতে পারবেন না।
২০২১ সালেমাত্রসোয়াএকলাখ
কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি বা তারা, "ব্যক্তিগতভাবে এবং সরাসরি জার্মানির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত এবং এই দ্বারা প্রভাবিত", তাহলে তাদের ভোটাধিকার থাকবে। উদাহরণস্বরূপ, যারা জার্মানিতে কাজ করেন বা এমন জার্মান কোম্পানিতে শেয়ার রয়েছে, যেটিতে অনেক লোক কাজ করেন।
শুনে নিশ্চয়ই প্রক্রিয়াটি অনেক জটিল মনে হচ্ছে। সম্ভবত এ কারণেই ২০২১ সালের বুন্ডেসটাগ নির্বাচনে প্রবাসী ৩০-৪০ লাখ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র এক লাখ ৩০ হাজার জার্মান। তাদের বেশিরভাগই ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশ এবং যুক্তরাজ্য বা তুরস্কের মতো অন্যান্য ইউরোপীয় রাষ্ট্রে বসবাসরত ছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ভোট পড়েছে মাত্র সাত হাজার ৭০০, এশিয়া থেকে পাঁচ হাজার ৩০০ এবং ক্যানাডা, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ মিলিয়ে ভোট দিয়েছেন মাত্র দেড় হাজার জার্মান।
প্রয়োজনজরুরিডাকপরিষেবা
বিদেশে থেকে ভোট দেয়ার আবেদন করতে ইচ্ছুক জার্মানদের জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে। ভাগনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, বিশ্বের ১৫৪টি জার্মান দূতাবাস এবং ৫০টি সাধারণ কনস্যুলেট এ ব্যাপারে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, "আমরা অবশ্যই দেখছি যে, আমরা সহায়তা প্রদানের জন্য কী করতে পারি। নির্বাচনি নথিপত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে, আমরা অফিসিয়াল ক্যুরিয়ার পরিষেবা ব্যবহার করেছি।"
এর অর্থ হচ্ছে, আপনি চাইলে ভোটদানের নথিপত্র ‘সিল' করা খামে দূতাবাসে আনলে জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তর বার্লিন বা বন অফিসে সেটা পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। সেখান থেকে এটি ডাকযোগে চলে যাবে নির্বাচনি এলাকায়। ২৩শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আপনার ব্যালট নির্বাচনি এলাকাতে পৌঁছাতে হবে।
অবশ্য এটিও বেশ জটিল। ভাগনার বলছেন: "কখনো কখনো বাণিজ্যিক এক্সপ্রেস ডাক পরিষেবা দ্রুততর হয়।" বাস্তবে, বিদেশে বসবাসকারী জার্মানদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, জার্মানির একটি নির্বাচনি এলাকা থেকে পাঠানো নথিপত্রগুলো নিয়ে সেগুলো যতদ্রুত সম্ভব পূরণ করে নিজেই এক্সপ্রেস মেইলে ফেরত পাঠানো।
ভোটার হওয়ার বয়স কোন দেশে কত
বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়স ১৮৷ তবে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১৭ বছর বয়সেই ভোটাধিকার দেওয়া যেতে পারে। দেখা যাক বিশ্বের কোন দেশে ভোটার হওয়ার বয়স কত...
ছবি: Mortuza Rashed/DW
বেশিরভাগ গণতান্ত্রিক দেশের চিত্র
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই ভোটার হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ১৮৷ বিশ্বের ৮৫ ভাগ দেশেই ১৮ বছর বয়সে ভোটাধিকার পায় জনগণ৷ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, জার্মানি, ইটালি, ফ্রান্স, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া, কাতার, সাউথ আফ্রিকাসহ বেশির ভাগ গণতান্ত্রিক দেশই আছে এই তালিকায়৷
ছবি: Thomas Slusser/AP/picture alliance
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশের অবস্থা
উপমহাদেশে বাংলাদেশের প্রতিবেশী সব দেশেই ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ বছর। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপে ১৮ বছরের আগে কেউ ভোট দিতে পারে না। তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে আফগানিস্তানেও ভোটার হওয়ার বয়স ছিলো ১৮ বছর৷ তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর আফগানিস্তানে আর ভোট হয়নি৷
ছবি: Anupam Nath/AP Photo/picture alliance
১৬ বছরে ভোট ১০টি দেশে
১৬ বছর বয়সেও ভোট দেওয়ার সুযোগ আছে কয়েকটি দেশে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশ৷ যেমন: ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, কিউবা, নিকারাগুয়া৷ এছাড়া ছোট দেশ মাল্টা, জার্সি, গুয়ের্নসে এবং দ্য আইল অফ ম্যান এ ১৬ বছর বয়সে ভোট দেয়া যায়৷ ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়াতেও এই নিয়ম রয়েছে৷
ছবি: Matias Delacroix/AP Photo/picture alliance
১৭ বছর বয়সে ভোট
চারটি দেশে ১৭ বছর বয়সে ভোট দেয়ার অধিকার আছে৷ এর মধ্যে অন্যতম উত্তর কোরিয়া৷ এছাড়া গ্রিস, তিমুর লিসতে এবং ইন্দোনেশিয়াও আছে এই তালিকায়৷
ছবি: picture-alliance/AP/Dita Alangkara
১৯ ও ২০ বছরে ভোটাধিকার
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ একমাত্র দেশ যেখানে ১৯ বছর বয়সে ভোটাধিকার পাওয়া যায়৷ তাইওয়ান, ক্যামেরুন, বাহরাইন, নাউরুতে ভোটাধিকার প্রাপ্তির বয়স ২০ বছর৷
ছবি: picture-alliance/AA/J. P. Kepseu
২১ ও ২৫ বছর বয়সে ভোটাধিকার
রাজনৈতিকভাবে রক্ষণশীল দেশ যেমন: কুয়েত, সিঙ্গাপুর, লেবানন, ওমান এবং টোঙ্গা, টোকেলাও, সামোয়াতে মানুষ ভোটাধিকার পান ২১ বছর বয়সে৷ সবচেয়ে বেশি বয়সে ভোটাধিকার পান সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানুষ- ২৫ বছরে৷
ছবি: Jaber Abdulkhaleg/AP/picture alliance
জার্মানি
জার্মানিতে রাজ্য বা প্রাদেশিক নির্বাচনে ১৬টি রাজ্যের মধ্যে ৬টিতে ভোটারদের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ বছর৷ এছাড়া ১১টি রাজ্যে পৌর নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন ১৬ বছর বয়সিরা৷ বাকি প্রদেশ ও জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়ার সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর।
ছবি: Getty Images/S. Gallup
স্থানীয় সরকার বা প্রাদেশিক নির্বাচন
এসব নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি দেশে ভোটারের বয়স সাধারণ নির্বাচনের চেয়ে ভিন্ন৷ এছাড়া পেশা এবং বৈবাহিক অবস্থার ওপরও বয়সের তারতম্য নির্ভর করে৷ যেমন: সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া এবং অন্য বলকান দেশগুলোতে ১৬ বছর বয়সে কেউ চাকরি পেলে ভোট দেয়ার অধিকার পায়৷ ইসরায়েলে ১৭ বছর বয়সে পৌর নির্বাচনে ভোট দেয়া যায়৷ বেলজিয়াম ও জার্মানির মানুষ ১৬ বছর বয়সে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারে৷
ছবি: Kenzo TRIBOUILLARD/AFP
ছবিঘরের তথ্যসূত্র
ছবিঘরের তথ্য নেয়া হয়েছে স্বাধীন অলাভজনক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’ থেকে৷ যারা তাদের ওয়েবসাইটে ২৩০টি দেশের তথ্য তুলে ধরেছে৷ লিংক: https://worldpopulationreview.com/country-rankings/voting-age-by-country