জার্মানির উদীয়মান গায়িকা লেনা
৫ মে ২০১০জার্মানির পপ সংগীতের অঙ্গনে এক সতেজ নবীন কণ্ঠ লেনা৷ শুধু জার্মান হিট গানের তালিকাই নয়, ইউরোভিশন সংগীতানুরাগীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি৷ তাঁর মাত্র তিনটি গান বেরিয়েছে বাজারে৷ কিন্তু সব কটি গানই স্থান পেয়েছে জার্মান হিট গানের তালিকার প্রথম চারের মধ্যে৷ পেয়েছে অসাধারণ জনপ্রিয়তা৷ এর আগে আর কোনো নবাগত সংগীত শিল্পী এই কৃতিত্বের দাবিদার হতে পারেননি৷ লেনার প্রথম গান ‘বি' হিট গানের তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে৷
লেনা মায়ার লান্ডরুটের জন্ম ১৯৯১ সালে জার্মানির হানোফার শহরে৷ ছোটবেলা থেকে নাচের শিক্ষা নেন তিনি৷ ব্যালে, জ্যাজ, হিপ-হপ৷ পাশাপাশি সংগীত চর্চাও করেন লেনা৷ ২০০৭ সাল থেকে পপ সংগীতের প্রতি ঝুঁকে পড়েন তিনি৷ লেনার সংগীত জগতে সাফল্যের শুরু ২০১০ সালের ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট' এ জার্মানির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আয়োজিত ‘আওয়ার স্টার ফর অসলো' টেলিভিশন সংগীত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে৷ কয়েক সপ্তাহব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় শতাধিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে লেনা মায়য়ার লান্ডরুট নির্বাচিত হন সারা দেশের টেলিভিশন দর্শকদের ভোটে৷
প্রতি বছর ইউরোপের কোন একটি শহরে অনুষ্ঠিত হয় ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট'৷ এবার মে মাসের শেষে এই প্রতিযোগিতা হবে নরওয়ের রাজধানি অসলোতে৷ এই সংগীত প্রতিযোগিতায় ইউরোপের প্রতিটি দেশের একজন শিল্পী প্রতিনিধিত্ব করেন৷ জার্মানির হয়ে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৮ বছর বয়স্কা লেনা মায়ার লান্ডরুট তাঁর ‘স্যাটেলাইট' গান দিয়ে৷ ‘স্যাটেলাইট' ইতিমধ্যেই জার্মান হিট গানের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে আছে৷ এই গান সম্পর্কে লেনা বলেন, ‘‘স্যাটেলাইট আমার খুব পছন্দের গান এবং এর সাথে আমি সহজেই একাত্ম হয়ে যেতে পারি৷ মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই গান গেয়ে খুব আনন্দ পাই, সে হিসেবে এটি একটি খুব ভাল নির্বাচন৷'' ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট' এর ৫৫ বছরের ইতিহাসে জার্মানি একবারই পেয়েছিল জয়ের মুকুট৷ ১৯৮২ সালে গায়িকা নিকোল এই মুকুট ছিনিয়ে নেয়৷ তার বয়স তখন লেনার মতই৷
প্রতিবেদন : মারুফ আহমদ
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক