1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির সৌন্দর্য

সুসানে ডাউস/এসবি১৫ অক্টোবর ২০১৫

জার্মানির উত্তর সাগর অঞ্চলের মাডফ্ল্যাট এলাকার প্রকৃতি সত্যি অপরূপ সুন্দর৷ এই ওয়েটল্যান্ড এলাকা যথেষ্ট পর্যটক আকর্ষণ করে৷ বিশ্ব প্রাকৃতিক সম্পদের স্বীকৃতি পাওয়ার পর সেখানে পরিবেশ সংরক্ষণও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে৷

BdT Deutschland 30 Jahre Nationalpark Wattenmeer
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Charisius

ভাটার টানে জার্মানির উত্তর সাগর উপকূল শুকিয়ে যায়৷ নানা রকম উদ্ভিদ ও প্রাণীর আকর্ষণে পর্যটকরা সেখানে ভিড় করেন৷ মে মাসের শেষে সমুদ্র থেকে অসংখ্য হার্বার সিল এসে বালুর উপর বিশ্রাম নেয়৷ জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত তারা সেখানে বাচ্চার জন্ম দেয়৷

মানুষের প্রভাবের কারণে জার্মানির উপকূলবর্তী ওয়েটল্যান্ড এলাকা বেশ নাজুক হয়ে উঠেছে৷ ২০০৯ সালে এই এলাকা বিশ্ব প্রাকৃতিক সম্পদের স্বীকৃতি পাওয়ায় জার্মানির পরিবেশবিদরা অবশ্য অত্যন্ত গর্বিত৷ ন্যাশানাল পার্ক সেন্টারের ক্রিস্টিয়ানে গেটইয়ে বলেন, ‘‘একসময় যখন এসএমএস-টা এল, যে আমরা বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি, তখন আমরা শ্যাম্পেন খুলেছিলাম৷ ভীষণ আনন্দ হয়েছিল৷ কয়েকদিন পর একটা লাইটহাউসে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেছিলাম৷''

ট্যোনিং শহরে ন্যাশানাল পার্ক সেন্টার মুল্টিমার ভাটফোরুম-এ পরিবেশ সংরক্ষণকারীরা অত্যন্ত যত্ন নিয়ে গোটা অঞ্চল চিনিয়ে দেন৷ ২০০৯ সালে ইউনেস্কো সেখানে পর্যটন সংক্রান্ত কর্মসূচি দেখতে চেয়েছিল৷ তখন থেকে পরিবেশের ক্ষতি না করে পর্যটনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷

বার্লিনের সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ ক্লাউডিয়া গ্র্যুনব্যার্গ এ ক্ষেত্রে জার্মানি, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস-এর মধ্যে সহযোগিতার ঢালাও প্রশংসা করেন৷ ক্লাউডিয়া বলেন, ‘‘তারা মাডফ্ল্যাট সেক্রেটেরিয়েট গড়ে তুলেছে৷ এই তিনটি দেশ অত্যন্ত নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছে৷ এটা সত্যি খেয়াল করার মতো, কারণ আন্তর্জাতিক সীমা অতিক্রম করে এই আইডিয়াই তো বিশ্ব ঐতিহ্য কনভেশনের মূলমন্ত্র৷ প্রকৃতি বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন, তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷''

এক্ষেত্রে বিশেষ করে পরিজায়ী পাখির সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ তারা এই অঞ্চলে খাদ্য ও আশ্রয় খোঁজে৷ শুধু পক্ষিবিশারদ নয়, সবার জন্যই এটা অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য৷

‘লাগওয়ার্ম' বা স্থানীয় কেঁচোর মতো প্রাণীর আকর্ষণও কম নয়৷ তারা বালু খেয়ে বেঁচে থাকে৷ প্রতিটি কেঁচো বছরে প্রায় ২৫ কিলো বালু খায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ