1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির এক দুর্ভেদ্য দুর্গের কথা

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ন্যয়েশোয়ানস্টাইন জার্মানির অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ৷ এখন এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে, যদিও অনেক আগেই পর্যটনকেন্দ্রটির এই মর্যাদার প্রাপ্য ছিল৷

রোদের আলোয় দেখা যাচ্ছে এই দুর্গ৷ পেছনে সবুজ পাহাড়৷
প্রতি বছর দশ লাখ পর্যটক দুর্গটি প্রদর্শন করেন৷ছবি: Dirk v. Mallinckrodt/imagebroker/IMAGO

এ যেন রূপকথার গল্প - এক পাহাড়ের উপর দুর্ভেদ্য এক দুর্গ৷ বলছি ন্যয়েশোয়ানস্টাইনের কথা৷ ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে আল্পসের কোনায় তৈরি এই দুর্গটি দ্রুতই বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করে৷ এতটাই সুখ্যাতি যে ডিজনি কর্পোরেশনের লোগোর মধ্যে ন্যয়েশোয়ানস্টাইনের প্রকরণ রয়েছে৷

জার্মান রাজ্য বাভারিয়া এটির বর্তমান মালিক৷ ২০০১ সাল থেকে রাজ্যটি ন্যয়েশোয়ানস্টাইনকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভূক্ত করতে চেয়েছে৷ প্রতিবছর দশ লাখ পর্যটক দুর্গটি প্রদর্শন করেন৷

পর্যটকের ক্যামেরায় বন্দি এই দুর্গ৷ছবি: Michael Nguyen/NurPhoto/IMAGO

১৮৬৪ সালে দ্বিতীয় ল্যুডভিগ মাত্র ১৮ বছর বয়সে বাভারিয়ার রাজার মুকুট পরার পর দুর্গ তৈরির উচ্চাভিলাসী প্রকল্প হাতে নেন৷ ন্যয়েশোয়ানস্টাইন থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়৷  

ন্যয়েশোয়ানস্টাইন গাইড প্যাট্রিক কর্ব বলেন, ‘‘তিনি এক জটিল এবং বিপরীতমুখী চরিত্রের মানুষ ছিলেন৷ অবশ্যই একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, খামখেয়ালী এবং তার বয়স যত বেড়েছে ততই এসব প্রকট হয়েছে৷ এবং এটি সম্ভবত আরেকটি কারণ যে, তিনি কেন সবকিছু ছেড়ে নিজস্ব জগত গড়তে চেয়েছিলেন, যেখানে তিনি নিজের মতো থাকতে পারেন৷''

এই দুর্গ যেন ডিজনি’র গল্প মনে করায়

02:57

This browser does not support the video element.

২০ বছরের বেশি সময় ধরে নির্মাণ কাজ করার পরও ন্যয়েশোয়ানস্টাইনের কাজ আসলে পুরোপুরি কখনোই শেষ হয়নি৷ অনেক কামরা খালি রয়ে গেছে৷ সিংহাসন হলে কোনো সিংহাসন নেই৷ ল্যুডভিগের মৃত্যুর পর দুর্গটির সব কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷  

তার রূপকথার দুর্গ মধ্যযুগ সম্পর্কে যেমন ধারনা দেয় তেমনি কারিগরি উদ্ভাবনের এক বিস্ময়কর প্রদর্শনী৷ এটিতে গরম ও ঠান্ডা পানির সরবরাহের পাশাপাশি সেবকদের ডাকতে টেলিফোনও ছিল৷ 

রাজা দ্বিতীয় ল্যুডভিগের তৈরি আরো দুটি চমৎকার দুর্গ ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের মনোনয়নের তালিকায় ছিল৷ 

আমারগাও আল্পসের লিন্ডারহফ প্যালেস একটি ছোট আকারের রোকোকো স্টাইলের দুর্গ৷ 

তারপর রয়েছে ভার্সাই অনুপ্রাণিত বারোক কমপ্লেক্স হেরেনকিমসি প্যালেস৷ এর হল অব মিররস ফরাসি মূলটির  চেয়ে দুই মিটার বড়৷

দ্বিতীয় ল্যুডভিগ একবার বলেছিলেন যে, তিনি বাভারিয়াকে শিল্পের পীঠস্থান করতে চান৷ হেরেনকিমসি, লিন্ডারহফ এবং ন্যয়েশোয়ানস্টাইন গড়ার মধ্য দিয়ে তিনি সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে অনেকটাই এগিয়েছিলেন৷

প্রতিবেদন: আন্দ্রেয়াস ক্রিশহফ/এআই

সত্যিই কি ফ্রাঙ্কফুর্ট এত সুন্দর?

04:22

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ