1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা সংকট সামলাতে শীর্ষ বৈঠক

৩০ নভেম্বর ২০২১

করোনা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবারই বৈঠকে বসছেন ম্যার্কেল, শলৎস ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা৷ মঙ্গলবারই লকডাউনের বৈধতার স্বীকৃতি দিয়ে সাংবিধানিক আদালতের রায়ের ভিত্তিতে তারা আরও কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷

Deutschland Corona-Pandemie | Menschenansammlung vor dem Impfzentrum der Stadt München
ছবি: Frank Hoermann/SVEN SIMON/imago images

জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে একটানা বেড়ে চলার পর মঙ্গলবার এই প্রথম সামান্য হলেও কমেছে৷ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হার এ দিন ৪৫২.২, যা আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক দুই ইউনিট কম৷ তবে জার্মানির সার্বিক করোনা সংকট কমার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা না যাওয়ায় এবং করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের তাণ্ডবের আশঙ্কায় রাজনৈতিক নেতাদের উপর দ্রুত আরও  কড়া পদক্ষেপ নেবার জন্য চাপ বাড়ছে৷ সেইসঙ্গে এতকাল কড়া সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্যও তাঁরা প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ছেন৷ ফলে বাধ্য হয়ে মঙ্গলবারই বিদায়ী ও ভবিষ্যৎ চ্যান্সেলর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ই ডিসেম্বর চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীদের আলোচনায় বসার কথা ছিল৷

মঙ্গলবারই জার্মানির সাংবিধানিক আদালতের এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে৷ করোনা মহামারি পরিস্থিতি সামলাতে সরকার যে জরুরি পদক্ষেপের মাধ্যমে লকডাউন ও স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটি সংবিধানের পরিপন্থি কিনা সেই প্রশ্ন নিয়ে একাধিক মামলা চলছিল৷ মঙ্গলবার সকালে আদালত সরকারের ‘এমারজেন্সি ব্রেক'-এর আওতায় বেশিরভাগ সিদ্ধান্তকে বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এই রায়ের পরেই দুপুরে চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে বসছেন৷ সংবিধান মেনে কতটা কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব, সে বিষয়ে তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ উল্লেখ্য, ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে ভবিষ্যৎ সরকারি জোট সংক্রমণ সুরক্ষা আইনের মধ্যে লকডাউনের মতো পদক্ষেপ অন্তর্গত করে নি৷ আদালত লকডাউনের পক্ষে রায় দেবার পর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংসদের জরুরি অধিবেশন ডেকে আবার মহামারিকালীন জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা যেতে পারে৷ মোটকথা একাধিক উপায় আইনি ভিত্তি প্রস্তুত করলেই আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে৷

বর্তমান পরিস্থিতিতে জার্মানির গণস্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামো কার্যত ভেঙে পড়ার উপক্রম হওয়ায় কমপক্ষে দেশের দক্ষিণ ও পূর্বের কিছু অংশে লকডাউন ঘোষণা করার জন্য চাপ বাড়ছে৷ এই সিদ্ধান্তে বিলম্বের ফলে পরিস্থিতির আরও দ্রুত অবনতির আশঙ্কা করছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিক৷ গোটা দেশজুড়ে একই নিয়ম চালু করার ডাকও বাড়ছে৷ সপ্তাহান্তে কোলন শহরে এক ফুটবল ম্যাচে ৫০,০০০ মানুষের সমাগম ঘটেছিল৷ অন্যদিকে লাইপসিশ শহরে দর্শক ছাড়াই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ায় মানুষের সমাবেশ সংক্রান্ত বিধিনিয়মের ফারাকের বিরুদ্ধে প্রবল সমালোচনার ঝড় উঠছে৷ কোলনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করে জানিয়েছে, যে স্টেডিয়ামে একমাত্র টিকাপ্রাপ্ত ও করোনাজয়ীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ