জার্মানির কাছে নেফারতিতিকে ফেরত চাইবে মিশর
২২ ডিসেম্বর ২০০৯মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের প্রধান জাহি হাওয়াস জানান, মিশর আনুষ্ঠানিকভাবে রানি নেফারতিতির আবক্ষ মূর্তি বার্লিনের নয়েস মিউজিয়ামের কাছে ফেরত চাইবে৷ মূর্তিটি এই মিউজিয়ামেই প্রদর্শিত৷ হাওয়াস বলেন, নয়েস মিউজিয়ামের প্রধান কিছু নথিপত্র তাঁকে দিয়েছেন৷ মিশর থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরানো এ মূর্তিটি অবৈধভাবে আনা হয়েছে, তাঁর এই দাবির প্রতি সমর্থন মেলে এই নথি থেকে৷
হাওয়াস আরও জানান, নথি থেকে এই প্রমাণও মেলে যে ১৯১৩ সালে মূর্তি উদ্ধারকারী জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক লুডভিগ বর্শার্ড এই প্রাচীন মূর্তিটিকে কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করে বার্লিনে পাচার করেন৷
হাওয়াসের দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে , চুনাপাথরের তৈরি রানি নেফারতিতির আবক্ষ মূর্তিটিকে বর্শার্ড কাগজে কলমে এক রাজকন্যার সাধারণ মূর্তি হিসেবে দেখান বিনা বাধায় বার্লিনে আনার জন্য৷
বার্লিনের নয়েস মিউজিয়ামের যে বিভাগটিতে আবক্ষ মূর্তিটি রাখা হয়েছে তার পরিচালিকা ফ্রিডেরিকে সাইফ্রিড এ বিষয়টি নিয়ে হাওয়াস ও জার্মান কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনায় সাহায্য করবেন৷ তবে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট জাদুঘরের পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ প্রাশান কালচারাল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, সাইফ্রিড কায়রোতে হাওয়াসের সাথে সাক্ষাৎ করবেন৷ কিন্তু তিনি নেফারতিতির আবক্ষ মূর্তিটি ফেরত দেয়ার ব্যাপারে কোন আলোচনা করবেন না৷ কারণ তখনকার প্রাশান কর্তৃপক্ষ আবক্ষ এই মূর্তিটি আইনসঙ্গত ভাবেই অর্জন করেছিল বলে তাঁরা মনে করেন এবং মিশর এটি ফেরত চাইতে পারে না৷
প্রতিষ্ঠানটির এই বক্তব্য সত্ত্বেও হাওয়াস জানান, মূর্তিটি ফেরত পাবার বিষয়ে তিনি আশাবাদী৷
১৯১২ সালে তেল ইল-আমারনায় রানি নেফারতিতির আবক্ষ মূর্তিটি আবিষ্কৃত হয়৷ তেল ইল-আমারনা ছিল রানি নেফারতিতির স্বামী ফেরাউন আখেনাটেনের রাজ্যের স্বল্পস্থায়ী রাজধানী৷
রানি নেফারতিতির পটলচেরা চোখ, তাঁর মরাল গ্রীবার সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা ভিড় জমান বার্লিনের নয়েস জাদুঘরে৷
প্রতিবেদক: আসফারা হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক