জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল পোল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন৷ ম্যার্কেল সরকারের সঙ্গে পোলিশ নেতাদের আলোচনায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সামনে আসতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানি বলছে, তারা বিষয়টি ইতোমধ্যে মিটমাট করে ফেলেছে, কিন্তু পোলিশ পার্লামেন্টারি তদন্ত কমিটি বলছে অন্য কথা৷
গত একবছর ধরে বিষয়টি নিয়ে উত্তজনা ছড়াচ্ছে পোল্যান্ড৷ দেশটির ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল-কনজারভেটিভ ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি আবারও বলছে, জার্মানির উচিত পোল্যান্ডকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দেয়া৷ শুক্রবার ওয়ারশ’-তে ম্যার্কেলের সফরের সময় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে এটা নিশ্চিত৷
বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুই সমাধিক্ষেত্র
১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত চলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মায় নিহত সৈনিকদের দু’টি সমাধিক্ষেত্র রয়েছে বাংলাদেশের কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে৷ প্রতিবছর প্রয়াত বীরসেনাদের সম্মান জানাতে প্রচুর দর্শনার্থী যান যায়গা দুটিতে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
ময়নামতি ওয়ার সেমেট্রি
ময়নামতি ওয়ার সেমেট্রি তৈরি হয়েছে ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৪-এর মধ্যে৷ কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টের কাছেই এর অবস্থান৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
সমাধি সংখ্যা
ময়নামতি ওয়ার সেমেট্রিতে সমাধির সংখ্যা ছিল ৭৩৮টি৷ ১৯৬২ সালে এ সমাধিস্থল থেকে একজন সৈনিকের স্বজনরা তাঁর দেহাবশেষ যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান৷ বর্তমানে তাই এখানে সমাধির সংখ্যা ৭৩৭৷ এর মধ্যে ৭২৩ জনের পরিচয় জানা গেছে৷ বাকি ১৪ জন পরিচয়হীন৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
নিহত যোদ্ধারা
পরিচয় পাওয়া ৭২৩ জন যোদ্ধার মধ্যে ছিলেন তিন জন নাবিক, ৫৬৭ জন সৈনিক এবং ১৬৬ জন বৈমানিক৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
কোন দেশের কতজন
ময়নামতি ওয়ার সেমেট্রিতে শায়িত যোদ্ধাদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ৩৫৭ জন, অবিভক্ত ভারতের ১৭৮ জন, পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন, পূর্ব আফ্রিকার ৫৬ জন, জাপানের ২৪ জন, ক্যানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার ১২ জন করে, নিউজিল্যান্ডের চারজন, রোডেশিয়ার তিনজন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, বার্মা, বেলজিয়াম ও পোল্যান্ডের একজন করে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
সমাধি
ময়নামতি ওয়ার সেমেট্রির প্রথম ধাপে আছে ইউরোপিয়ান যোদ্ধাদের কবর, উপরের ধাপে আছে উপমহাদেশের যোদ্ধাদের কবর৷ সমাধিগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজানো৷ ১৩টি ছাড়া প্রত্যেক সমাধিতে লেখা আছে নিহত সৈনিকের নাম, বয়স, পদবী, নিহত হবার তারিখ ও ঠিকানা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
চট্টগ্রাম ওয়ার সেমেট্রি
চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়া এলাকার বাদশা মিয়া চৌধুরী সড়কে অবস্থিত৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তি সময়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এই সমাধিসেৌধ প্রতিষ্ঠা করে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
চট্টগ্রামে সমাধি সংখ্যা
চট্টগ্রাম ওয়ার সেমেট্রিতে মোট ৭৫৫টি সমাধি৷ এর মধ্যে ৭৫১টি যুদ্ধকালীন সমাধি, বাকি চারটি অন্য সময়ের৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
নিহত যোদ্ধারা
চট্টগ্রাম ওয়ার সেমেট্রিতে শায়িত যোদ্ধাদের মধ্যে ৫৪৩ জন সৈনিক, ১৯৪ জন বৈমানিক এবং বাকি ১৪ জন নাবিক৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
কখন যাবেন
ময়নামতি ও চট্টগ্রাম ওয়ার সেমেট্রি ঈদের দু’দিন ছাড়া বছরের প্রতিদিনই সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা এবং দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকে৷ তবে রমজান মাসে খোলা থাকে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত৷ জায়গা দু’টিতে বিনা খরচে প্রবেশ করা যায়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন
কুমিল্লার ময়নামতি এবং চট্টগ্রামের সমাধিক্ষেত্র দু’টি কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত৷ এর দেখভালও করে কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন৷ এর প্রধান কার্যালয় লন্ডনে৷ কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের অনুদানে চলে এ সংস্থাটি৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
আরো সমাধিক্ষেত্র
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন বাংলাদেশের দু’টি সমাধিক্ষেত্র ছাড়াও ভারতের ১০টি, মিয়ানমারের তিনটি, পাকিস্তানের দু’টি, থাইল্যান্ডের দু’টি, সিঙ্গাপুরের একটি, মালয়েশিয়ার একটি, এবং জাপানের একটি সমাধিক্ষেত্র রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
11 ছবি1 | 11
জার্মান পত্রিকা বিল্ড আম সোনটাগ'কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি পোলিশ প্রেসিডেন্ট আনজেই ডুডা বলেছেন, তাঁদের পার্লামেন্টারি তদন্ত কমিটি অনুসন্ধান করে দেখেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির দ্বারা পোল্যান্ডের কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে৷ এতে দেখা গেছে, জার্মানি এখন পর্যন্ত যথার্থভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়নি৷ তিনি বলেছেন, ‘‘এটা সত্য এবং দায়িত্ববোধের প্রশ্ন৷’’
জার্মান-পোলিশ সম্পর্কে টানাপোড়েন
তবে পোলিশ প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য জার্মানির দেয়া তথ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, কেননা, জার্মানি বলছে, পঞ্চাশের দশকে তারা পোল্যান্ডকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে৷ আগামী সপ্তাহে ওয়ারশ’-তে দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকের কথা রয়েছে৷ তবে ডুডা একা নন, তার আগে যে প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তিনিও গত বছরের জুনে বলেছিলেন, জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাঁর দেশে যে পরিমাণ গণহত্যা চালিয়েছে, সম্পদ ধ্বংস করেছে, তার যথার্থ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি৷
গত সপ্তাহে বার্লিনে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ারের সঙ্গে বৈঠকের সময় পোলিশ প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয়েছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ বছর পূর্তিতে যৌথ স্মৃতিচারণের উদ্দেশ্যে সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ ঐ সফরে ডুডা জার্মানির কট্টরপন্থি দল এফডিএ'র ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন৷
এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)
নাৎসিদের সিন্টি ও রোমা গণহত্যা স্মরণ
ইউরোপে ৬০০ বছর ধরে বাস করছে সিন্টি ও রোমা সম্প্রদায়৷ নাৎসি আমলে গণহত্যার শিকার হয় এরা৷ অনেককে কোণঠাসা করা হয়, জোর করে করা হয় বন্ধ্যা৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও তাদের ওপর পরিচালিত নিপীড়নের স্বীকৃতি দেয়নি জার্মান সমাজ৷
ছবি: Dokumentations- und Kulturzentrum Deutscher Sinti und Roma
দেশের জন্য নিবেদন
অনেক জার্মান সিন্টিই দেশের জন্য অস্ত্র হাতে লড়েছেন৷ শুধু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেই নয়, ১৯৩৯ সাল থেকেই তারা এ দেশের সশ্বস্ত্র বাহিনীতে ভূমিকা রেখেছেন৷ ১৯৪১ সালে জার্মান হাইকমান্ড ‘জাতিগত ও রাজনৈতিক’ কারণ দেখিয়ে সব ‘জিপসি ও তাদের ঔরসদের’ সক্রিয় সামরিক বাহিনী থেকে বের করে দেয়৷ আলফনস ল্যামপের্ট ও তার স্ত্রী এলসাকে বন্দি শিবির আউশভিৎসে পাঠানো হয় এবং পরে সেখানে তাদের হত্যা করা হয়৷
ছবি: Dokumentations- und Kulturzentrum Deutscher Sinti und Roma
তালিকা তৈরি
সিন্টি ও রোমাদের আস্থা অর্জনের জন্য রোমানি ভাষা শিখেছিলেন এভা জাস্টিন নামের একজন নার্স ও নৃতাত্ত্বিক৷ কথিত সায়েন্টিফিক রেসিজম স্পেশালিস্ট হিসেবে তিনি এই দুই জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সম্পর্কে ধারণা পেতে জার্মানিজুড়ে ঘোরেন এবং জিপসি ও জিপসি বাবা বা মায়ের সন্তানদের তালিকা তৈরি করেন৷ সেই তালিকা ধরেই গণহত্যা চালিয়েছিল নাৎসিরা৷
ছবি: Bundesarchiv
বন্দিত্ব
তিরিশের দশকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সিন্টি ও রোমাদের জোর করে ধরে এনে শহরের বাইরের শিবিরগুলোতে রাখা হয়৷ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা এ সব শিবিরের বাইরে পাহারা বসানো হতো কেউ যাতে বেরিয়ে যেতে না পারে৷ তেমনই একটি বন্দি শিবির জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেভেনসবুর্গ৷ শিবিরের বাসিন্দাদের গৃহপালিত সব পশু মেরে ফেলা হয়েছিল৷ দাসের মতো করে তাদের দিয়ে কাজ করানো হত৷ অনেককে জোর করে বন্ধ্যা করে দেওয়া হয়েছিল৷
ছবি: Stadtarchiv Ravensburg
প্রকাশ্য দিবালোকে দেশান্তর
১৯৪০ সালের মে মাসে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জার্মানির এরপার্জ শহরের রাস্তা ধরে বহু সিন্টি ও রোমা পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হতa ট্রেন স্টেশনে এবং সেখান থেকে তাদের সরাসরি নাৎসি অধিকৃত পোল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হত৷ ‘‘ঝামেলা ছাড়াই সুশৃঙ্খলভাবে তাদের পাঠানো সম্পন্ন হয়েছে,’’ বলা হয় একটি পুলিশ প্রতিবেদনে৷ এভাবে দেশান্তরিতদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয় তাদের কাজের জায়গা ও ইহুদি ঘাঁটিগুলোতে৷
ছবি: Bundesarchiv
স্কুল থেকে আউশভিৎসে
১৯৩০ দশকের শেষের দিকে কার্লসরুয়ে শহরের একটি ক্লাসরুমের ছবিতে দেখা যায় কার্ল ক্লিংকে৷ ১৯৪৩ সালের বসন্তে স্কুল থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়৷ এরপর তাকে পাঠানো হয় আউশভিৎস-বিরকেনাউয়ের ‘জিপসি ক্যাম্পে’৷ সেখানেই গণহত্যার বলি হয় শিশুটি৷ সেখান থেকে যারা প্রাণ নিয়ে ফিরতে পেরেছিলেন তাদের ভাষ্য মতে, সেখানে পাঠানোর আগেই তাদের আলাদা করে ফেলা হয়, রাখা হয় চাপের মধ্যে, কখনও কখনও ক্লাসেও অংশ নিতে দেওয়া হতো না৷
ভয়ানক মিথ্যা দিয়ে অভ্যর্থনা
১৯৪৩ সালে পরিবারের সঙ্গে পশুবাহী গাড়িতে করে আউশভিৎসে পৌঁছানোর সময় নয় বছরের হুগো হ্যোলেনরাইনার মনে মনে বলছিল, আমি কাজ করতে পারি৷ সেখানে গিয়ে ফটকের উপরে ‘কাজ তোমাকে মুক্তি দেবে’ লেখা দেখেই এই ভাবনা এসেছিল শিশুটির মনে৷ সে তার বাবার কাজে সহযোগিতা করতে চেয়েছিল৷ ওই মৃত্যুকূপে যাদের নেওয়া হয় তাদের প্রতি ১০ জনে একজন ফিরে আসতে পেরেছিল, তাদেরই একজন হ্যোলেনরাইনার৷
ছবি: DW/A. Grunau
‘মৃত্যুদূত’ থেকে নিষ্ঠুর অভিজ্ঞতা
আউশভিৎসে নিয়োজিত ছিলেন কুখ্যাত এসএস ড. জোসেফ মেঙ্গেলে৷ তিনি ও তার সহকর্মীরা অসংখ্য বন্দিকে নির্যাতন করেন৷ তারা শিশুদের বিকলাঙ্গ করতেন, তাদের শরীরে ঢুকিয়ে দিতেন জীবাণু, যমজদের নিয়ে বর্বরোচিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতেন৷ বন্দিদের চোখ ও বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আলাদা করে বার্লিনে পাঠাতেন৷ ১৯৪৪ সালের জুন মাসে ১২ বছরের একটি শিশুর মাথা পাঠিয়েছিলেন তিনি৷ বিশ্বযুদ্ধের পর আর বিচারের মুখোমুখি হননি তিনি৷
ছবি: Staatliches Museum Auschwitz-Birkenau
বিলম্বে মুক্তি
১৯৪৫ সালের ২৭ জানুয়ারি যখন আউসভিৎসে রাশিয়ার লালফৌজ এলো তখন বন্দিদের মধ্যে শিশুরাও ছিল৷ কিন্তু সিন্টি ও রোমাদের জন্য মুক্তি এসেছিল দেরিতে৷ ১৯৪৪ সালের ২-৩ আগস্ট রাতে আউসভিৎশের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ‘জিপসি ক্যাম্পের’ জীবিতদের গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন৷ পরদিন সকালে কাঁদতে কাঁদতে ব্যারাকের বাইরে আসা দু’টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল৷
ছবি: DW/A. Grunau
জাতিগত বিদ্বেষের ক্ষত
কনসেনট্রেশন ক্যাম্পগুলো মুক্ত হওয়ার পর জার্মান কর্তৃপক্ষ সেখানকার জীবিতদের জাতিগত নিপীড়নের শিকার ও বন্দিত্ববরণের সনদ দেয়৷ পরে অনেকে বলতে শুরু করে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্যই তাদের সাজা ভোগ করতে হয়৷ ক্ষতিপূরণ চেয়েও প্রত্যাখ্যাত হয় তারা৷ আউশভিৎসে শিশু তিন মেয়েকে হারিয়েছিলেন হিল্ডগার্ড রাইনহার্ডট৷
ছবি: Dokumentations- und Kulturzentrum Deutscher Sinti und Roma
স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন
সিন্টি ও রোমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা আশির দশকের শুরুর দিকে ডাকাউ কনেসনট্রেশন ক্যাম্পের ফটকে অনশন করেন৷ জাতিগত বিদ্বেষের প্রতিবাদ এবং নাৎসি নিপীড়নের স্বীকৃতি দাবি করেন তারা৷ ১৯৮২ সালে তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট স্মিড্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সিন্টি ও রোমাদের নাৎসি গণহত্যার শিকার হওয়ার স্বীকৃতি দেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বার্লিনে স্মৃতিসৌধ
সিন্টি ও রোমাদের ওপর নাৎসি গণহত্যার স্মরণে ২০১২ সালে বার্লিনের বুন্দেসটাগের কাছে একটি সৌধ নির্মাণ করা হয়৷ বিশ্বজুড়ে এই দুই সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এই স্মৃতিসৌধ৷