দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি দেশ আবার বিশ্বের বুকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ দেশটির আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন রাজনীতবিদরা৷ বলছি জার্মানির কথা৷
বিজ্ঞাপন
একথা সত্য, জার্মানির এক ভয়াবহ অতীত রয়েছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কয়েক কোটি মানুষের মৃত্যুর জন্য অনেকটাই দায়ী এই দেশ৷ সে সময় ইহুদি ধর্মের মানুষদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিলেন জার্মানির তৎকালীন শাসক এডল্ফ হিটলার, যিনি যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে আগে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে আত্মহত্যা করেছিলেন৷
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার অপরাধের কথা অস্বীকার করে না জার্মানি৷ বরং অকপটে সেই অন্ধকার অতীতকে স্বীকার করে, প্রয়োজনের জায়গায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে দেশটি৷ ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মূলত দুইভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া জার্মানি আবারো নিজেদের গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে, একত্রিত হয়েছে৷ ধ্বংসস্তুপ থেকে মাথা তুলে দাঁড়াতে বড় ভুমিকা রেখেছেন যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশটির দায়িত্ব নেয়া জার্মান রাজনীতিবিদরা৷
জার্মানিতে আসার পর গত এক দশকে তিনটি জাতীয় নির্বাচন দেখার সুযোগ হয়েছে আমার৷ বাংলাদেশ থেকে আসা একজন সাংবাদিক হিসেবে জার্মান রাজনীতির যে তিনটি দিক আমার ভালো লেগেছে, সেগুলো তুলে ধরছি এখানে৷
জার্মানির বর্তমান মন্ত্রিসভা
জার্মানিতে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর নেতৃত্বে ২০১৮ সালে নতুন মহাজোট সরকারের ১৬ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে৷ এই নিয়ে ম্যার্কেল নিজে চতুর্থবার চ্যান্সেলর হলেন৷ তিন শরিক দলের নতুন-পুরানো অনেক মুখ সেখানে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
আঙ্গেলা ম্যার্কেল
চতুর্থ বারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল (৬৩)৷ একাধিক সংকট কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পেরেছেন তিনি৷ তবে তাঁর অবস্থান আগের তুলনায় কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ কোয়ালিশন চুক্তি অনুযায়ী কার্যকালের মাঝামাঝি সময়ে পর্যালোচনার অবকাশ রয়েছে৷ সম্ভবত তখনই ম্যার্কেল-এর ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হয়ে যাবে৷
ছবি: AFP/Getty Images
হর্স্ট সেহোফার
বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের শীর্ষ নেতা হর্স্ট সেহোফার-ও (৬৩) নিজের দলে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা আগেই হয়েছিল৷ নতুন সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি৷ অভিবাসনের প্রশ্নে দলের কড়া অবস্থানের প্রতিফলন বজায় রেখেছেন সেহোফার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Geber
ওলাফ শলৎস
শহর-রাজ্য হামবুর্গের মুখ্যমন্ত্রী ও এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎস (৫৯) নতুন সরকারে অর্থমন্ত্রী এবং ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি৷ শান্ত স্বভাবের ধীর-স্থির এই মানুষটিকে ঘিরে দেশে-বিদেশে সবচেয়ে বেশি কৌতূহল দেখা যাচ্ছে৷ বিগত সরকারের বাজেট-ঘাটতি দূর করার সাফল্য ধরে রেখে তাঁকে বেশ কিছু কঠিন দায়িত্ব পালন করতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Charisius
হাইকো মাস
এসপিডি দলের নেতা হাইকো মাস (৫১) বিগত সরকারে আইন ও বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ নতুন সরকারে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন৷ এসপিডি দলের মধ্যে অপেক্ষাকৃত তরুণ এই নেতার প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার কদর রয়েছে৷ পূর্বসূরি সিগমার গাব্রিয়েল জনপ্রিয়তার যে মাত্রা ছুঁয়েছিলেন, হাইকো মাস সেই অসাধ্য সাধন করতে পারবেন কিনা, সে দিকে সবার নজর থাকবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Thys
পেটার আল্টমায়ার
সিডিইউ দলের মধ্যে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন নেতা পেটার আল্টমায়ার (৫৯) অর্থনীতি ও জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন৷ বিগত সরকারে তিনি চ্যান্সেলরের দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন৷ সিডিইউ দলের মন্ত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় তাঁর গুরুত্ব আরও বাড়বে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Borrs/NDR
উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন
মহাজোট সরকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবেই থেকে গেছেন সিডিইউ দলের নেত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন (৫৯)৷ ম্যার্কেলের উত্তরসূরি হিসেবে তাঁর নাম বারবার উঠে এলেও এখনো সেই ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না৷ ইংরাজি ও ফরাসি ভাষায় পারদর্শী এই নেত্রী আন্তর্জাতিক মঞ্চে যথেষ্ট পরিচিত৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/M. Kappeler
ইয়েন্স স্পান
তরুণ নেতা ও ম্যার্কেল-এর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ইয়েন্স স্পান (৩৭) নতুন সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ পেয়েছেন৷ মন্ত্রিসভায় তাঁকে অন্তর্গত করার জন্য প্রবল চাপ ছিল৷ মাত্র ২২ বছর বয়সে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি৷ ২০১৫ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images
গ্যার্ড ম্যুলার
নতুন সরকারেও উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সিএসইউ দলের গ্যার্ড ম্যুলার (৬৩)৷ নিজের বিষয়ে অত্যন্ত পারদর্শী এই মন্ত্রী উন্নয়ন সাহায্যের ক্ষেত্রে বিশ্বমঞ্চেও যথেষ্ট স্বীকৃতি পেয়েছেন৷ বিশেষ করে আফ্রিকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর পরিকল্পনা প্রশংসা কুড়িয়েছে৷ বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন৷
ছবি: DW/S. Burman
কাটারিনা বার্লে
এসপিডি নেত্রী কাটারিনা বার্লে (৪৯) বিগত সরকারে পরিবার, বয়স্ক, নারী ও তরুণ প্রজন্মের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে সক্রিয় ছিলেন৷ নতুন সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন৷ ব্রিটিশ বাবার সুবাদে তাঁর সে দেশের নাগরিকত্বও রয়েছে৷ ফলে প্রস্তাবিত সরকার তিনিই একমাত্র বিদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিনিধি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
ফ্রানৎসিস্কা গিফাই
জার্মানির পূর্বাঞ্চলে এসপিডি দলের জনপ্রিয় নেত্রী ফ্রানৎসিস্কা গিফাই (৩৯) এক ধাক্কায় বার্লিনের সমস্যায় জর্জরিত নয়ক্যোলন এলাকার মেয়র থেকে পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হয়েছেন৷ কড়া হাতে তিনি অরাজকতা দূর করে এলাকার উন্নয়নের জন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gambarini
আন্দ্রেয়াস শয়ার
সিএসইউ দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর এবার নতুন মন্ত্রিসভায় পরিবহণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন আন্দ্রেয়াস শয়ার (৪৪)৷ ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/S. Babbar
হুব্যার্টুস হাইল
দু-দুবার এসপিডি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর এবার নতুন সরকারে শ্রমমন্ত্রী হয়েছেন হুব্যার্টুস হাইল (৪৬)৷ সামাজিক সুরক্ষাসহ এসপিডি দলের মূল অঙ্গীকারগুলি রূপায়নের ক্ষেত্রে এই পদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷ এই মন্ত্রণালয়ের বাজেটের অঙ্ক সবচেয়ে বড়৷
ছবি: Imago/photothek/M. Gottschalk
আনিয়া কারলিচেক
নতুন সরকারে শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন সিডিইউ দলের নেত্রী আনিয়া কারলিচেক (৪৬)৷ ২০১৩ সাল থেকে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ সংসদে দলের চিফ হুইপ হিসেবে সক্রিয় থাকলেও তিনি জনমানসে তেমন পরিচিত নন৷
ছবি: imago/M. Popow
ইয়ুলিয়া ক্ল্যোকনার
সিডিইউ দলের অপেক্ষাকৃত তরুণ নেত্রী ইয়ুলিয়া ক্ল্যোকনার (৪৫) অনেককাল ধরে রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেট রাজ্য শাখার সভাপতি ছিলেন৷ নতুন সরকারে তিনি খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী হয়েছেন৷ রক্ষণশীল ও মুক্ত বাণিজ্যের প্রবক্তা হিসেবে তিনি পরোক্ষভাবে ম্যার্কেলের উদার শরণার্থী নীতির সমালোচনা করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G.Fischer
স্ভেনিয়া শুলৎসে
নতুন পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে শেষ মুহূর্তে এসপিডি দলের তালিকায় স্থান পেয়েছেন স্ভেনিয়া শুলৎসে (৪৯)৷ ফেডারেল সরকারে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলেও তিনি জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ায় বিজ্ঞান, গবেষণা ও উদ্ভাবন মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.Vennenbernd
ডোরোটে বেয়ার
বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের তরুণ নেত্রী ডোরোটে বেয়ার (৩৯) চ্যান্সেলর দফতরের অধীনে ডিজিটাল প্রযুক্তির দায়িত্ব পেয়েছেন৷ রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি জার্মানিতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগকে মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান৷ সিএসইউ দলের একমাত্র নারী মন্ত্রী হিসেবে তিনি বাড়তি গুরুত্ব পাবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/B. von Jutrczenka
হেলগে ব্রাউন
সিডিইউ দলে পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃ্ত্বে হেলগে ব্রাউন (৪৫) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন৷ নতুন সরকারে চ্যান্সেলর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে তাঁকে বেছে নিয়েছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷
ছবি: Imago/Reiner Zensen
17 ছবি1 | 17
ব্যক্তি নয়, দেশ আগে
জার্মানির রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে পরিবারতন্ত্র কিংবা ব্যক্তিস্বার্থের ছায়া দেখেনি আমি৷ বরং দেশের প্রয়োজনে, দলের প্রয়োজনে দলগুলোর শীর্ষ পদে পরিবর্তন আসতে দেখেছি৷ জার্মানির সবচেয়ে পুরাতন দল এসপিডি’র কথাই ধরুন৷ জার্মানির গত তিন সরকারের দু’টিতে মহাজোট সরকারের জুনিয়র পার্টনার হিসেবে রয়েছে দলটি৷ ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে এসপিডি’র চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হন পেয়ার স্টাইনব্রুক৷
দক্ষ এই রাজনীতিবিদ নির্বাচনের আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন ভবিষ্যতে ম্যার্কেলের অধীনে মন্ত্রিসভায় আর কাজ করবেন না তিনি৷ অর্থাৎ চ্যান্সেলর হবেন, অথবা থাকবেন না মন্ত্রিসভায়৷ কিন্তু সেবছর নির্বাচনের ভোটাভুটির পর দেখা গেলো, এককভাবে বা সিনিয়র পার্টনার হিসেবে সরকার গঠনের মতো ভোট পায়নি এসপিডি৷ বরং সিডিইউ’র সঙ্গে সরকার গঠনই দল ও দেশের স্বার্থে মঙ্গলজনক৷
স্টাইনব্রুক তাঁর কথা রেখেছেন৷ তিনি জোট সরকার গঠনের পথে এসপিডিকে সহায়তা করেছেন বটে, তবে যোগ দেননি ম্যার্কেলের মন্ত্রিসভায়৷
২০১৭ সালের নির্বাচনের আগে এসপিডি’র চ্যান্সেলর প্রার্থী হলেন মার্টিন শ্যুলৎস৷ এই নির্বাচনে এসপিডি আগেরে চেয়েও কম ভোট পেলো৷ অন্যদিকে আশাতীতভাবে তৃতীয় অবস্থানে চলে গেলো অভিবাসী ও মুসলমনাবিরোধী উগ্র ডানপন্থি দল এএফডি৷ সেই নির্বাচনের পরপরই এসপিডি ঘোষণা দেয় যে, সিডিইউ’র সঙ্গে জোট গড়বে না তারা৷ বরং সংসদের বিরোধী দল হিসেবে থাকবে দলটি, যাতে এএফডি প্রধান বিরোধী দলের অবস্থানে যেতে না পারে৷
সেই ঘোষণার পর ম্যার্কেলও চেষ্টা করেছিলেন এসপিডিকে ছাড়া সবুজ দল এবং এফডিপিকে নিয়ে জোট গড়তে৷ কিন্তু কয়েকমাস চেষ্টার পরও সেটা সম্ভব হয়নি৷ ফলে, সরকার গঠন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়৷ আলোচনা তখন নতুন আরেকটি নির্বাচনের দিকে যেতে থাকে৷ এমনকি কেউ কেউ ম্যার্কেলের পদত্যাগের সময় ঘনিয়ে এসেছে বলেও মনে করতে থাকেন৷ কিন্তু শেষমেষ এসপিডিকেই এগিয়ে আসতো হলো সিডিইউ’কে রক্ষায়৷ আবারো তৈরি হলো জার্মানির বড় দুই দলের মিলনে জোট সরকার৷
সেসময় দেশের, দলের স্বার্থে নিজের স্বার্থত্যাগ করেছেন মার্টিন শ্যুলৎস৷ জোট সরকারের মন্ত্রিসভাতে বড় পদ পেতে পারতেন, কিন্তু নেননি৷ এমনকি এসপিডি দলের শীর্ষপদটিও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি৷ জার্মান রাজনীতিবিদদের কাছে দেশ, দলই যে সবসময় প্রাধান্য পায়, শ্যুলৎস তা আবারো প্রমাণ করেছেন শুধু৷
উদ্বাস্তু পরিস্থিতি ও জার্মান রাজনীতি
জার্মানিতে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীদের আগমন শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনাকেই বিপদের মুখে ফেলেনি, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও তার ছাপ ফেলেছে: চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর জনপ্রিয়তা আজ কমতির দিকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Gebert
উদ্বাস্তু শিবিরে দাঙ্গা
হামবুর্গ শহরের ভিলহেল্মসবুর্গ এলাকায় শরণার্থীদের প্রাথমিক আশ্রয়কেন্দ্রটি ভরে যাওয়ায় আগন্তুকদের তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়৷ মঙ্গলবার (৬ই অক্টোবর) সেখানে আফগানিস্তান ও আলবেনিয়া থেকে আগত উদ্বাস্তুদের মধ্যে ব্যাপক দাঙ্গা বাঁধে৷ লোয়ার স্যাক্সনি-র ব্রাউনশোয়াইগ-এও অনুরূপভাবে আলজিরীয় ও সিরীয় উদ্বাস্তুদের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধে একটি চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Charisius
ইসলাম বিরোধীরা আবার মাথা চাড়া দিয়েছে
ড্রেসডেনে ইসলাম বিরোধী পেগিডা গোষ্ঠীর বিক্ষোভ সমাবেশে গত সোমবার প্রায় ন’হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন৷ বিক্ষোভকারীরা মূলত চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-কেই বর্তমান উদ্বাস্তু সংকটের জন্য দায়ী করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Settnik
ম্যার্কেল লাগাম টানলেন
চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল দৃশ্যত তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের-এর গুরুত্ব কিছুটা খর্ব করে চ্যান্সেলরের দপ্তরের প্রধান পেটার আল্টমায়ার-কে শরণার্থী সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন৷
ছবি: Reuters
উদ্বাস্তুর লাশ
টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের সালফেল্ড-এ অবস্থিত একটি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী আবাসে সোমবার একটি অগ্নিকাণ্ডের পর ২৯ বছর বয়সি এক ইরিট্রিয়ান উদ্বাস্তুর লাশ পাওয়া যায়৷ কিভাবে এই শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন, তা এখনও অজ্ঞাত৷ তবে আবাসটিতে ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্নিসংযোগের কোনো হদিশ পুলিশ এখনও পায়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যে কোনো পন্থায়
টুরিঙ্গিয়ায় এর আগেও উদ্বাস্তু আবাস হিসেবে চিহ্নিত বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে শরণার্থীদের আসা বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ যেমন বিশহাগেন-এর এই বাড়িটির ছাদ পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে৷ গত সোমবার এখানে প্রথম উদ্বাস্তুদের আসার কথা ছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gränzdörfer
ঘরে বাইরে
শরণার্থী সংকট এখন জার্মানির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও টান ধরাচ্ছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের জোড়োয়া দল বাভারিয়ার সিএসইউ৷ তাদের প্রধান হর্স্ট জেহোফার সেপ্টেম্বর মাসের শেষে একটি দলীয় সম্মেলনে বক্তা হিসেব আমন্ত্রণ জানান হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান-কে, যিনি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে উদ্বাস্তুর স্রোত আটকানোর চেষ্টা করেছেন৷
ছবি: Reuters/M. Dalder
হাওয়া যদি বদলায়
বাভারিয়ার অর্থমন্ত্রী মার্কুস জ্যোডার ইতিপূর্বেও বলেছেন: ‘‘আমরা (অর্থাৎ জার্মানি) বিশ্বকে বাঁচাতে পারি না৷’’ এমনকি তিনি অস্ট্রিয়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কথাও চিন্তা করেছেন৷ তবে জ্যোডার যখন সম্প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকার সীমিত করার কথা বলেন, তখন জেহোফার স্বয়ং সাথে সাথে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Gebert
7 ছবি1 | 7
জনগণই শেষ কথা
জার্মানির বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে রাজনীতির যে ফাঁকফোকড় গলিয়ে হিটলার দেশটির শাসক হয়েছিলেন, সেসব ফাঁকফোকড় এখন আর নেই৷ বরং রাজ্য এবং জাতীয় নির্বাচন থেকে চ্যান্সেলর পদে নির্বাচন অবধি পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল করা হয়েছে, যেখানে জনগণের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন কয়েক ধাপে করা হয়৷ আর বলাই বাহুল্য, এদেশের নির্বাচন কমিশন, বিচারব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাধীন৷ সেগুলোর উপর সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই৷
এই দেশে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের কথা আমি কখনো শুনিনি৷ বরং নির্বাচনের ফলাফল যা হয় তাই মেনে নিয়েই পরবর্তী পরিকল্পনা সাজায় দলগুলো৷ সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের আগে ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতি জার্মান সমাজের একাংশকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল৷ প্রায় দশলাখের মতো শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়াকে মেনে নিতে পারেননি তারা৷ নির্বাচনের ফলাফলে সেটার প্রতিফলন ঘটে৷ এএফডি নামের দলটি আশাতীত ভালো ফলাফল করে৷
নির্বাচনের পর নড়েচড়ে বসেন ম্যার্কেল৷ নতুন সরকার গঠনের উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি শরণার্থীদের প্রতি থাকা তাঁর উদার মানসিকতা থেকে কিছুটা সরে আসেন তিনি৷ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হওয়া শরণার্থীদের ধরে ধরে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়৷ নতুন করে শরণার্থী নেয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াও জটিল করা হয়েছে৷ এমনকি, ম্যার্কেল এমন একজনকে নতুন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন, যিনি শরণার্থী এবং মুসলমানদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর মানসিকতার রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত৷ সর্বোপরি ম্যার্কেল এই ঘোষণাও দিয়েছেন যে, যেসব মধ্য ডানপন্থি ভোটার গত নির্বাচনে তাঁর দলকে ভোট দেয়নি আগামী চার বছর তাদের মন জয়ের চেষ্টা করবেন তিনি৷
এখানে জার্মানির সংসদের আরেকটি ইতিবাচক দিক উল্লেখ না করলেই নয়৷ সেটা হচ্ছে, সাংসদদের ‘ফ্লোর ক্রসিংয়ের’ সুযোগ৷ অর্থাৎ সংসদে কোন বিষয়ে ভোটাভুটি হলে সেক্ষেত্রে দলীয় অবস্থানের বাইরে গিয়েও একজন সংসদ নিজের পছন্দমত ভোট দিতে পারেন৷ ফলে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলটি চাইলেই যে কোনো কিছু সংসদে অনুমোদন করিয়ে নিতে বা যে কোনো কিছু বাতিল করতে পারে না৷ এক্ষেত্রে একটি উদাহরণ দেই৷
অনেক পশ্চিমা দেশে সমকামীদের মধ্যে বিয়ে বৈধ হলেও জার্মানিতে সেটা বৈধ ছিল না৷ গত বছর নির্বাচনের আগে এই নিয়ে ম্যার্কেলের উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়৷ ম্যার্কেল তখন এক পর্যায়ে ঘোষণা দেন যে, সংসদে এই বিষয়ে ভোটাভুটি হবে৷ সেই ভোটাভুটিতে সমকামীদের বিয়ে বৈধ করার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ম্যার্কেল৷ কিন্তু তাঁর দলের অনেক সংসদ পক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ অর্থাৎ চ্যান্সেলর হয়েও সমকামীদের বিয়ে সংক্রান্ত প্রস্তাব ঠেকাতে পারলেন না ম্যার্কেল৷
জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেয়ায় জার্মান রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রতিহিংসার রাজনীতি চর্চাও দেখা যায়না৷ যুক্তিহীনভাবে শুধুমাত্র খামখেয়ালিপনা থেকে আগের সরকারের কোন সিদ্ধান্ত পরের সরকার পরিবর্তন করেছে এমনটা আমি দেখিনি৷ বরং সরকার পরিবর্তনের প্রভাব উন্নয়নের ধারায় যাতে না পরে সেটার দিকে খেয়াল রাখেন রাজনীতিবিদরা৷
দেশবান্ধব পররাষ্ট্রনীতি
বাঙালি লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর চাচাকাহিনীতে লিখেছিলেন এক জার্মান সেনা কর্মকর্তার কথা যিনি নিজের মেয়েকে ত্যাজ্য করেছিলেন শুধুমাত্র সে এক ফরাসি যুবককে বিয়ে করেছিল বলে৷ ফ্রান্সের সঙ্গে জার্মানির অনেক পুরনো শত্রুতা ছিল৷ কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেই শত্রুতাকে ঝেড়ে ফেলে দুই দেশ বরং বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে৷ এক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রেখেছেন দুই দেশের রাজনীতিবিদরা৷ আর সেই বন্ধুত্বের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক শক্তিশালী ইউনিয়নে পরিনত হয়েছে৷
জার্মানি এমন একটি দেশ যার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এমনকি ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে৷ অথচ এই দেশগুলোর একে অপরের মধ্যে কিন্তু বিরোধ চরমে৷ বিদেশি বিভিন্ন দেশ বা শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে জার্মান রাজনীতিবিদরা, কূটনীতিকরা নিজের দেশের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন৷ আর দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশি নির্দিষ্ট কোন দেশ বা শক্তির দ্বারস্থ হয় না৷ ফলে দেশটির রাজনীতিতে বিদেশিদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই৷
আবার এমনও নয় যে, জার্মানির সব রাজনীতিবিদ ধোয়া তুলশি পাতা৷ তবে, জনগণের প্রতি তাদের জবাবদিহিতা তুঙ্গে৷ তাই, কোন রাজনীতিবিদ যদি বড় ধরনের অপকর্মে জড়ান, তাহলে তার রাজনীতি থেকে সরে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না৷ গত দশবছরে একাধিক রাজনীতিবিদকে আমি দেখেছি, যাদের অনেক বড় কিছু করার সুযোগ থাকলেও অপকর্মের দায় নিয়ে সরে যেতে হয়েছে৷
প্রতিহিংসার রাজনীতি কীভাবে বন্ধ করা যায়?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘প্রতিহিংসা’ যেন অবিচ্ছেদ্য৷ কিন্তু এ থেকে তো মুক্তি দরকার৷ কীভাবে রাজনীতিকে প্রতিহিংসামুক্ত করা যায়? সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এ বিষয়েই কথা বলেছেন৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: picture-alliance/dpa
মাহবুবুল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগ
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ জানালেন, তিনি একেবারেই প্রতিহিংসার রাজনীতির পক্ষে নন৷ তিনি মনে করেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হলে দেশে আইনের কঠোর প্রয়োগ থাকতে হবে৷ আর সেটা হলেই কেউ প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার সাহস পাবে না৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
রুহুল কবীর রিজভী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি
একজন বিবেকমান মানুষ মাত্রই প্রতিহিংসার রাজনীতিকে হিংসা করবেন৷ প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হলে সবাইকে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ করতে হলে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে, কেননা, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে স্বাধীনতাবিরোধীরাই এদেশের রাজীতিতে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে বিভিন্ন সময়ে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
তোফাজ্জল হোসেন, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রাজনীতিতে প্রতিহিংসা বন্ধ করতে হলে দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে হবে৷ রাজনৈতিক স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখলে কেউ প্রতিহিংসাপরায়ন হতে পারবে না৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
মাসুম বিল্লাহ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রাজনীতিতে প্রতিহিংসা থাকা উচিত না৷ আর এটা বন্ধ করতে হলে মানুষের সাথে মানুষের সহমর্মিতা বাড়াতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
মোশতাক আহমেদ, ব্যবসায়ী
দেশের উন্নয়নের প্রধান বাধাই হলো প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি৷ তাই এটা বন্ধ করতে হলে এক দলের প্রতি আরেক দলের সমর্থকদের সম্মানবোধ বাড়াতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
আবুল কাশেম, ২১শে আগস্ট হামলার শিকার
২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছিলেন আবুল কাশেম৷ এখনও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেডের স্প্লিন্টার৷ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তাঁর জীবনের অনেক স্বপ্নই ভেঙে দিয়েছে৷ খুব হতাশা নিয়েই তিনি বললেন, ‘‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ না হলে এ দেশের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়৷’’
ছবি: DW/M. M. Rahman
আব্দুল কাদের, পরিবহন শ্রমিক
প্রতিহিংসার রাজনীতি কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না৷ আর এটা বন্ধ করতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
রবীন্দ্র ঘোষ, মানবাধিকার কর্মী
প্রতিহিংসার রাজনীতি এ দেশকে সম্পূর্ণরূপে খেয়ে ফেলেছে৷ এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সবাইকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একযোগে দেশের উন্নয়নের কাজে মনোনিবেশ করতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
সৈয়দ সাইফুল আলম, সমাজকর্মী
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা অবশ্যই বন্ধ করা উচিত৷ এটা করতে হলে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
10 ছবি1 | 10
জার্মানির কাছ থেকে কী শিখতে পারেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা৷ লিখুন নীচের ঘরে৷