1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্নোডেন-কে আশ্রয়

আলোয়া ব্যার্গার / এসি৪ জুলাই ২০১৩

শুধু পত্র মারফত আবেদনের ভিত্তিতে নয়, কেননা তার আগে স্নোডেন-কে জার্মানির মাটিতে পা রাখতে হতো৷ কাজেই স্নোডেন-এর লিখিত আবেদন নাকচ হয়েছে৷ তা বলে জার্মানিতে স্নোডেন সংক্রান্ত বিতর্ক যে থেমে আছে, এমন নয়৷

Protesters in support of Edward Snowden, a contractor at the National Security Agency (NSA), hold a photo of him during a demonstration outside the U.S. Consulate in Hong Kong in this June 13, 2013 file photo. Snowden, left Hong Kong on a flight for Moscow on June 23, 2013 and his final destination may be Ecuador or Iceland, the South China Morning Post said. REUTERS/Bobby Yip/Files (CHINA - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

বলা যায়, সমস্যায় পড়েছে জার্মানির ‘রেয়ালপোলিটিক' অথবা বাস্তব রাজনীতি৷ কিন্তু মতাদর্শের দৃষ্টিকোণ থেকে এই গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক বিভাজনরেখাগুলি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ সবুজ দলের রাজনীতিক ভল্ফগাং ভিলান্ড-এর কাছে এডোয়ার্ড স্নোডেন একজন হিরো, ‘‘যিনি আমাদের সকলের চোখ খুলে দিয়েছেন৷'' বামদলের সভাপতি কাটিয়া কিপিং-এর মতে স্নোডেন-কে শান্তি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা উচিত৷

প্রায় বিশটি বা তারও বেশি দেশ স্নোডেন-এর কাছ থেকে আশ্রয়ের আবেদন পেয়েছে৷ তাদের মধ্যে জার্মানিও আছে কিংবা ছিল৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে স্বয়ং নিশ্চিত করেছেন যে, মঙ্গলবার সকালে মস্কোর জার্মান দূতাবাসে সেই মর্মে একটি চিঠি আসে৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই সরকারিভাবে সে আবেদন নাকচ করা হয়৷

জার্মানির কি স্নোডেন-কে আশ্রয় দেওয়া উচিত?ছবি: Getty Images

প্রথমে আশ্রয়, তারপর হস্তান্তর?

রাজনৈতিক আশ্রয়ের লিখিত আবেদন নাকচ হওয়ার মানেই যে স্নোডেন জার্মানিতে আসতে পারবেন না, এমন নয়৷ কিন্তু এখানে এলেও তাঁর স্বস্তি থাকবে না৷ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য জার্মান সরকারের সদিচ্ছা ও সুরক্ষার প্রয়োজন পড়বে৷ তাছাড়া তিনি মানবিক কারণে আশ্রয় পাবার আশা করতে পারবেন৷ সরাসরি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার বিপদ, সেক্ষেত্রে জার্মানি বৈধভাবেই স্নোডেন-কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে পারে, কেননা দুটি দেশের মধ্যে অপরাধী হস্তান্তরের চুক্তি আছে৷

আরেকটি বিপদ হল জার্মানির আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া৷ এ দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের নিষ্পত্তি হতে বহু বছর সময় লাগে, কিন্তু হস্তান্তরের আবেদন কার্যকরী হতে বেশিদিন সময় লাগে না৷ কাজেই স্নোডেন-এর জার্মানিতে শান্তিতে বসবাস করার একমাত্র উপায় হল, যদি তাঁর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে হস্তান্তরের আবেদনের আগেই নিষ্পত্তি করা হয় – যে জন্য জার্মান সরকারের চাপের প্রয়োজন পড়বে৷ অন্যদিকে জার্মান সরকার এ যাবৎ শুধু হত্যার মামলার আসামীদেরই বাস্তবিক হস্তান্তর করেছেন এবং স্নোডেন-কে সে পর্যায়ে ফেলার কোনো কারণ নেই৷

স্বার্থ বনাম সহানুভূতি

বস্তুত ইস্যুটা তো শুধু স্নোডেন-এর কর্মের ভালোমন্দ নিয়েই নয়, তার চাইতেও বড় ইস্যু হল স্বীয় নিরাপত্তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যথেচ্ছ ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তি, জার্মানির সব রাজনৈতিক দলই যা নিয়ে ঊষ্মা প্রকাশ করেছে৷ কিন্তু ইতিমধ্যে স্নোডেন-এর প্রতি সমবেদনা প্রকাশ লক্ষণীয়ভাবে কমে এসেছে৷ তার একটা কারণ সম্ভবত এই যে, স্নোডেন-কে জার্মানিতে আনা এবং রাখা ‘‘জার্মানি কিংবা স্নোডেন, কারোরই স্বার্থে হবে না'' – এ কথা বলেছেন ইউরোপীয় সংসদে মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি দলের সাংসদ আলেক্সান্ডার গ্রাফ লাম্বসডর্ফ স্বয়ং৷

এডোয়ার্ড স্নোডেনছবি: Reuters

মূল কথা, জার্মানির সরকারি দলগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রকাশ্য ও বাস্তবিক বিরোধে আগ্রহী নয়৷ সরকারের কাম্য, স্নোডেন যেন জার্মানিকে এর মধ্যে না জড়ায় – যদিও জার্মানির সাধারণ মানুষদের সহানুভূতি স্নোডেন-এর দিকেই৷ তবে বিশ্বের সব দেশকেই প্রথমে নিজের স্বার্থের কথাটাই ভাবতে হয়, নয়তো ব্রাজিল কিংবা ভারতের মতো দেশ ইতিমধ্যেই স্নোডেন-এর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রাপ্তির আবেদন নাকচ করতো না৷ অপরদিকে ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড ও স্পেনের মতো দেশ জার্মানির মতোই দুশ্চিন্তায় পড়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ