অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যাত্রা শুরু হয়েছিল ১২৯৬ সালে৷ তখন নাম ছিল ডিসেম্বর মার্কেট৷ সেটি এখন পরিণত হয়েছে তিন হাজার বর্গ মিটার আয়তনের ক্রিসমাস মার্কেটে৷ অপূর্ব আলোকসজ্জায় পার্কের মধ্য দিয়ে কেনাকাটাটি বেশ উপভোগ্যই হয়ে ওঠে৷

পুরাতন প্রাগ শহরের ঠিক কেন্দ্রস্থলে এই আয়োজনটি হয়৷ বিশাল এক ক্রিসমাস ট্রি আর তাতে লাগানো হাজারো বাতির আলোয় অপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা ঘটে সেখানে৷ চেকদের খাবার, শিল্পকলা, কাঁচের গহনা কিংবা কাঠের খেলনা সবকিছুরই দেখা মিলবে এই মার্কেটে৷

ফ্রান্সের এই আয়োজন ঠিক একটি স্থানে নয়, শহরের ১২ টি জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে৷ এ কারণে এই শহরকে ক্রিসমাস ক্যাপিটাল বলেও ডাকে অনেকে৷ স্ট্রাসবুর্গে ১৫৭০ সাল থেকে এই আয়োজনের কথা জানা যায়, যা এটিকে ফ্রান্সের সবচেয়ে পুরাতন ক্রিসমাস মার্কেটে পরিণত করেছে৷

স্ট্রাসবুর্গের মানুষ তাদের এই ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়াতেও৷ রাজধানী মস্কোতে ২০১২ সালে তারা ক্রিসমাস মার্কেটের প্রচলন করেছে৷ এটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে এখন শহরের একাধিক জায়গায় ক্রিসমাস মার্কেটের দেখা মেলে৷

সুইডেনের সবচেয় বড় ক্রিসমাস মার্কেটটি বসে গোথেনবুর্গের লিসবার্গ বিনোদন পার্কে৷ শত বা হাজার নয় রং-বেরঙ্গের ৫০ লাখ বাতিতে আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে এই মার্কেট৷ সেখানে পাওয়া যায় দেশটির কুটির শিল্প আর ঐতিহ্যবাহী সব পণ্য৷

নেদারল্যান্ডসের মধ্যযুগীয় শহর মাসট্রিখট৷ তার কেন্দ্রের ঐতিহ্যবাহী খোলা চত্ত্বরেই বসে ক্রিসমাস মার্কেট৷ বিশাল চরকি, কৃত্রিম বরফ স্কেটিং সব মিলিয়ে আয়োজনটির জন্য যথাযথ জায়গা এটি৷

বরফের ভাস্কর্য আপনাকে নিয়ে যাবে ১৯ শতকের লন্ডনে, থাকবে আইস স্কেটিং শো, সার্কাস উপভোগের সুযোগসহ বিভিন্ন রাইড৷ ক্রিসমাস মার্কেটের এই আয়োজনটি হয় লন্ডনের হাইড পার্কের উইনটার ওয়ানডারল্যান্ডে৷

এডিনবার্গের প্রিন্সেস স্ট্রিট৷ শহরের প্রাণকেন্দ্রেই এর অবস্থান৷ তবে ক্রিসমাস মার্কেটের দোকান, রাইডগুলো রাস্তা ছাড়িয়ে জায়গা করে নেয় পার্কেও৷ জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের খাবার উপভোগের সুযোগ মেলে সেখানে৷

ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী শহর গোটাটাই যেন পরিণত হয় ক্রিসমাস মার্কেটে৷ যেমন, এই ছবিতে একটি সড়কটি৷ দুপাশের কয়কশ’ গাছ থেকে বেরিয়ে আসা আলোর ঝরনা আপনাকে মুগ্ধ করবে৷

ঐতিহাসিক একটি থিয়েটার আর এবং গির্জাকে পটভূমিতে রেখে সেজেছে বার্লিনের এই মার্কেটটি৷ সচরাচর এ ধরনের সব আয়োজনেই কোনো-না-কোনো রাইড থাকে৷ তবে ব্যাতিক্রম বার্লিনের এই মার্কেট৷ তার বদলে এখানকার মঞ্চে নিত্যদিনই উপভোগ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকে৷