জার্মানির এক চিড়িয়াখানা এমন এক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যেখানে দূর দেশের বিরল প্রাণীরা বংশবৃদ্ধি করতে দ্বিধা করছে না৷ ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই ট্রপিকাল হল অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে চলে৷
বিজ্ঞাপন
এক ঝাঁক স্কুইরেল মাংকিস বা কাঠবিড়ালি বানর, সবাই পুরুষ৷ লাইপসিশ শহরের চিড়িয়াখানায় তারা নিজেদের পরিচিত রেন ফরেস্টের পরিবেশে দিব্যি লম্ফঝম্প করতে পারে৷
শুধু মাথার উপর একটা ছাদ রয়েছে৷ বিশেষভাবে তৈরি সেই ঝুলন্ত ছাদের মাপ দু'টি ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়ো৷ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ক্ষেত্রে এই কাজকে অসাধারণ বলতেই হয়৷ গাছপালা ও প্রাণীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতি-বেগুনি রশ্মি স্বচ্ছ এই ছাদের তিনটি স্তর ভেদ করতে পারে৷ অন্যদিকে উত্তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে নিখুঁত থার্মাল ইনসুলেশনের ব্যবস্থাও করে৷
রেন ফরেস্টের আর্দ্র ও গরম পরিবেশ পেয়ে এশীয় টেপির-রাও উৎফুল্ল৷ খাবার বিতরণের সময় তাদের মধ্যে প্রেমের ডাকও চলছে৷ ইউরোপের বিভিন্ন চিড়িয়াখানা থেকে পুরুষ ও নারী টেপির এখানে আনা হয়েছে৷ উন্মুক্ত পরিবেশে তারা বিলুপ্ত হতে চলেছে৷ লাইপসিশ চিড়িয়াখানার প্রধান ড. ইয়র্গ ইউনহল্ট বলেন, ‘‘চিড়িয়াখানা আজ আর শুধু চিড়িয়াখানা নয়৷ এখানকার প্রাণীগুলিকে আমরা বাইরের জগতে তাদের লুপ্তপ্রায় বা বিপন্ন প্রজাতির দূত হিসেবে দেখি৷''
ছানাপোনা
চলতি গ্রীষ্মে জার্মানির বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় নানা জীবজন্তু, পশুপাখির ছানাপোনারা জন্ম নিয়েছে৷ আরো বড় কথা, তাদের সবাই সুস্থ এবং বহাল তবিয়তেই রয়েছে...
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Schmidt
আদর করো!
কায়া হলো একটি খুদে সি লায়ন৷ জন্ম গত চৌঠা জুলাই, ভুপারটাল-এর চিড়িয়াখানায়৷ বলতে কি, সে আজ ভুপারটাল জু-র স্টার! লোকজন তাকে দেখে বিমুগ্ধ, বিমোহিত৷ ক্যালিফর্নিয়ার এই সি লায়ন-রা সিল মাছদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর বলে অনেকে মনে করেন৷ সি লায়ন বেবি-রা গোড়া থেকেই সাঁতার কাটতে পারে না৷ মা-র দেখাদেখি শিখে নিতে হয়৷
ছবি: Zoo Wuppertal/dpa
নে, খেয়ে দ্যাখ...
মা ফলের খোসা ছাড়িয়ে দিচ্ছে, যা-তে বাচ্চা ফল খেতে পারে৷ বাচ্চার মা হল দশ বছর বয়সের কাদুনা, বাবা বারো বছর বয়সের বাকুত – এরা ম্যান্ড্রিল গোত্রীয় বানর৷ বাচ্চা পিন্টো-কেও দেখতে খাসা, বড় বড় কান, খাড়া চুল৷ পিন্টোর জন্ম মিউনিখের হেলাব্রুন চিড়িয়াখানায় গত ২৪শে জুন৷ সেটাই এক আশ্চর্য, কেননা ম্যান্ড্রিলরা বিশ্বের বিপন্নতম বানর প্রজাতিগুলোর মধ্যে পড়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Bockwoldt
বকছো কেন? আমিও চেঁচাতে পারি!
বাড হলো একটি ফার সিল, অর্থাৎ লোমশ সিল৷ তার জন্ম এ বছরের ২৫শে মে তারিখে৷ মা ডনা-র সঙ্গে সবে সাঁতার কাটতে শুরু করেছে৷ বাড জন্মানো ইস্তক ফার সিল-দের চৌবাচ্চায় একটানা হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি৷ তবে সেটা বাড দুষ্টুমি করছে বলে নয়৷ ফার সিলরা তাদের মায়েদের চেনে গলার আওয়াজ শুনে৷ তাই গোড়ার দিকে মা আর বাচ্চা পরস্পরকে লক্ষ্য করে চেঁচাতে থাকে৷ সে কনসার্ট খুব সুখকর না হলেও, মজা লাগে বৈকি৷
ছবি: Zoo Hannover/dpa
‘আমি কিন্তু মেয়ে!’
হামবুর্গের হাগেনবেক চিড়িয়াখানায় প্রথমবার বাচ্চাকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছে মা যশোদা, যদিও এটা তার প্রথম বাচ্চা নয়, পঞ্চম৷ জন্মেছে গত ১৩ই জুলাই৷ নামকরণ করা হচ্ছে দর্শকদের ভোটের মাধ্যমে৷ ভারতীয় হাতি, কাজেই বাছতে হবে এই পাঁচটি নাম থেকে: শান্তি, ইশানী, অঞ্জলি, মোহিনী বা নিশা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Bockwoldt
পিঁপড়েখেকো
ফ্লাভিও হলো একটি বেবি অ্যান্টইটার – বলা উচিত অ্যান্টইটার বেবি৷ অ্যান্টইটাররা হলো লম্বা জিভওয়ালা পিঁপড়েখেকো জীব৷ সাদা-কালো লোমওয়ালা ফ্লাভিও জন্মায় গত মে মাসের মাঝামাঝি, ঠিক সময়ের তিন সপ্তাহ আগেই৷ বাঁচবে কিনা সন্দেহ ছিল৷ তবে হালে শহরের চিড়িয়াখানার পরিচারকরা ঠিকই তাকে সুস্থ করে তুলেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Schmidt
ওরে, ওদিকে যাসনি!
মা ১৩ বছরের সি লায়ন কাটিয়া শাসন করছে যে মেয়েকে, তার নাম হলো ইউলে, জন্ম চলতি বছরের ১৮ই জুন তারিখে৷ ইউলে চায় তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যেতে, কেননা ডুইসবুর্গের চিড়িয়াখানায় গত জুন মাসে আরো দুই সি লায়ন মায়ের বাচ্চা হয়েছে – সেই বাচ্চারাই হলো ইউলে-র খেলার সাথী৷ ইউলে-র মা কিন্তু বাচ্চার উপর খুব নজর রাখে, যদিও কাটিয়া নিজে বড় হয়েছে ফিডিং বটল-এর কল্যাণে!
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hiti
তুমি হলে দুনিয়ার সেরা মা!
বাচ্চা মেয়েটার অর্ধেক সময় কাটে মায়ের পেটের উপর শুয়ে৷ মা কুটু হলো বোনোবো বানরী, বয়স ১৭ বছর৷ এটি তার তৃতীয় সন্তান৷ বোনোবো-রা খুব সামাজিক, দঙ্গলের বাকিরা নিয়মিতভাবে এসে দেখে যায়, মা-মেয়ে ভালো আছে কিনা৷ সব মিলিয়ে দঙ্গলে এখন ১৭টি বানর-বানরী ও তাদের বাচ্চা৷ বিশ্বের আর কোনো চিড়িয়াখানায় এত বড় বোনোবো গোষ্ঠী নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Schmidt
দত্তক মা গ্যার্ট্রুড
ভর্মস চিড়িয়াখানার মুর্গি গ্যার্ট্রুড যে নান্দু বাচ্চাগুলোর দেখাশুনো করছে, তারা কিন্তু এককালে প্রায় অস্ট্রিচের মতো বড় হবে! ভবিষ্যতে যাই হোক, গ্যার্ট্রুড আপাতত এই কচি নান্দু-দের দত্তক নিয়েছে৷ দক্ষিণ আফ্রিকার এই পাখাহীন পাখিগুলোকে বড় করার ভার থাকে সাধারণত বাবাদের ওপর৷ কিন্তু ভর্মস জু-র নান্দু বাবাটি এক্কেবারে ফেল মারার পর গ্যার্ট্রুড-কে সে দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Anspach
8 ছবি1 | 8
চিড়িয়াখানার ‘ট্রপিকাল হল' অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে সাজানো হয়েছে৷ বৃষ্টির পানি জমিয়ে তা ব্যবহার করা হয়৷ সৌরশক্তি জমিয়ে রাখা হয়৷ এর পরেও তাপমাত্রা বেশি বেড়ে গেলে ছাদের কিছু অংশ খুলে তাজা বাতাস ঢোকানোর ব্যবস্থা আছে৷ জটিল এই প্রযুক্তির দায়িত্বে রয়েছেন রাসেম বাবান৷ প্রায় দু'টি বাড়ির সমান জায়গা জুড়ে তাঁর কর্মকাণ্ড চলে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আবহাওয়ার নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করতে হয়৷ কখনো বৃষ্টি নামাতে, কখনো আর্দ্রতা বাড়াতে হয়, যথেষ্ট সূর্যালোকেরও ব্যবস্থা করতে হয়৷
এমন পরিবেশে বংশবৃদ্ধি তরান্বিত হয়৷ মাসছয়েক পরেই ভোঁদড়-দম্পতির সন্তান এসেছে৷ সুন্দর পারিবারিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে৷ শুধু খাবারের ভাগাভাগি নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়৷ ড. ইয়র্গ ইউনহল্ট বলেন, ‘‘আমি খুব খুশি৷ প্রত্যেকটি ব্রিডিং সফল হলে, সন্তান এলে স্বাগত জানাই৷ এখানে আমরা শুধু কিছু বিচ্ছিন্ন প্রাণী রাখি না, সুস্থ সামাজিক পরিবেশ তৈরি করি৷ বংশবৃদ্ধিও তার মধ্যে পড়ে৷''
জীব-জন্তুর বসন্ত মানেই বাচ্চা-কাচ্চা
জার্মানির চিড়িয়াখানায় বেশিভাগ পর্যটকদের ভিড় হয় বসন্তকালে৷ কারণ জীব-জন্তুরা তখন সন্তানের জন্ম দেয়৷ আর এই শিশু প্রাণীরা সাধারণত হয় বুদ্ধিমান ও আবেগপ্রবণ৷
ছবি: Lutz Schnier
সত্যিকারের বানর প্রেমী
লাইপসিশ: চিড়িয়াখানায় বানর মা কুমিলিকে দেখে বোঝা যায় যে, মাতৃত্বের আনন্দ তার চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে৷ তবে ছোট্ট মেয়ে দিয়ারাকে দেখে মনে হচ্ছে যে, পৃথিবীর আলো দেখে সে এখনো তেমন খুশি হতে পারেনি৷ দিয়ারা যেন খানিকটা ভীত৷
ছবি: Zoo Leipzig
এত উঁচু অবস্থায় কেউ জন্মায় না
বার্লিন: জিরাফের মেয়ে বিনে, দুই মিটার উঁচু হওয়ার কারণে ৩০শে এপ্রিল ওর জন্মের সময় বেশ কষ্ট হয়েছে৷ তবুও বিনে জন্মের মাত্র ৪০ মিনিট পরেই হাঁটতে শুরু করে দেয়৷
ছবি: Tierpark Berlin
এত ছোট্ট প্রাণী !
ফ্রাংকফুর্ট: জীবজন্তুদের মধ্যে এই প্রাণীটিকেই সবচেয়ে ছোট প্রাণী দলের মধ্যে ফেলা হয়৷ অর্থাৎ মাত্র ২০ সেন্টিমিটার৷ দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা এই প্রাণীরা খুবই লাজুক স্বভাবের হয়৷ ওদের পা এতটাই ছোট যে, কোথাও পালিয়ে যেতে চাইলেও ওরা যেতে পারে না৷
ছবি: Zoo Frankfurt/Winfried Faust
মিশ্র দম্পতির সন্তান
ডর্টমুন্ড: কী খুসি, মেয়ে হয়েছে, মেয়ে! ও কিন্তু সত্যিকার অর্থেই মিশ্র দম্পতির বাচ্চা৷ বাবা আমারি এসেছে জার্মানির ইয়ারফুর্ট শহরের চিড়িয়াখানা থেকে আর মা সাকিনা দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাধীনতা ভোগ করা মেয়ে৷
ছবি: Stadt Dortmund
চিড়িয়াখানায় বিশেষ শো
কোলন: এ বছর কার্নিভালের সময়, অর্থাৎ গোলাপি সোমবার কোলন চিড়িয়াখানায় দেড় কেজি ওজনের এই ভালুক ছানাটির জন্ম হয়৷ এটাও যেন ছিল কার্নিভালের উৎসবের মতোই আনন্দের৷ কারণ এর আগে কখনো এ চিড়িয়াখানায় এই বিশেষ দিনে কোনো প্রাণীর জন্ম হয়নি৷
ছবি: Kölner Zoo
তুমিই কি আমার ‘মা’?
মিউনিখ: লম্বা লেজওয়ালা ‘কাটা’ প্রজাতির মা বানর তার শিশুটিকে সাথে নিয়ে ‘হেলাব্রুন’-এর পশু পার্ক থেকে মিউনিখ শহরে এসেছে৷ এই প্রজাতি বানরের আসল বাড়ি কিন্তু মাদাগাস্কারে৷
ছবি: Münchener Tierpark Hellabrunn AG
বিদেশিদের সাথে যোগাযোগ
বার্লিন: পূর্ব আফ্রিকার এই জেব্রাদের অন্য পশুদের কাছাকাছি যেতে বা থাকতে কোনো ভয় নেই৷ যে কোনো জায়গাতেই ওরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে৷
ছবি: Zoo Berlin
খেলনা নয়, আসল ভাল্লুক
হামবুর্গ: হামবুর্গের হাগেনবেক চিড়িয়াখানার প্রধান আকর্ষণ এখন ইগোর আর ইভান৷ এরা দু’জনই জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পৃথিবীর আলো দেখেছে৷
ছবি: Lutz Schnier
8 ছবি1 | 8
আবার নতুন করে আনন্দের কারণ ঘটেছে৷ সাদামুখো পাইথেসিড বানরের ঘরেও সন্তান এসেছে৷ জঙ্গলের এমন আদর্শ পরিবেশ তৈরি করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে৷ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ফ্লোরিডা থেকে প্রায় ৫০০ ধরনের গাছপালা আনা হয়েছে৷ তবে সরাসরি জঙ্গল থেকে নয়, বিভিন্ন গ্রিনহাউস ও পথের ধার থেকে সে সব সংগ্রহ করা হয়েছে৷
এই চিড়িয়াখানায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সরিসৃপ কমোডো ড্র্যাগনও রয়েছে৷ গোটা জার্মানিতে একমাত্র লাইপসিশ শহরের চিড়িয়াখানায় এই বিরল প্রাণী রাখার অনুমতি রয়েছে৷ ড. ইউনহল্ট বলেন, ‘‘এমন পথিকৃতের ভূমিকা পালন করতে পেরে আমরা খুশি৷ শীঘ্রই গোটা ইউরোপে আরও কমোডো ড্র্যাগন দেখা যাবে৷''ইউরোপের সবচেয়ে বড় ট্রপিকাল হলে মানুষ ও প্রাণীর আনন্দের শেষ নেই৷
চিড়িয়াখানায় জন্তু-জানোয়ারদের মাপজোক
হামবুর্গ শহরের চিড়িয়াখানায় বাৎসরিক পশু গণনা শুরু হয়েছে৷ বাসিন্দাদের সংখ্যা গোনা হচ্ছে, সঙ্গে তাদের মাপ ও ওজনও নথিভুক্ত করা হচ্ছে৷ সদ্য জন্ম নেওয়া সিন্ধুঘোটক শিশুর প্রথমবার এই অভিজ্ঞতা হচ্ছে৷
ছবি: Lutz Schnier
বয়স ছোট, আকার নয়
থর নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে৷ সদ্যোজাত সিন্ধুঘোটকের এখনো এক বছর বয়স হয়নি৷ কিন্তু এখনই তার ওজন প্রায় ২১৮ কিলো৷ গুটিয়ে না থেকে শরীর টান-টান করলে প্রায় ১ মিটার ৭০ সেন্টিমিটার লম্বা হতে পারে সে৷
ছবি: Lutz Schnier
মাছ পেলেই খুশি
থর-এর মা ডায়নার বয়স ১৮৷ শরীর প্রায় ৩ মিটার লম্বা৷ তবে তার মাপ নেওয়া সহজ নয়৷ সুস্বাদু মাছ খাইয়ে প্রথমে তার মন জয় করে খেলাচ্ছলে সেই কাজ করতে হয়েছে৷ সেইসঙ্গে জানা গেছে তার ওজনও – ৯৮০ কিলো!
ছবি: Lutz Schnier
বালতির মধ্যে একা কেভিন
গণনার সময় ছোট প্রাণীদের মোটেই ভোলা হয় না৷ মাত্র এক মাস বয়সি উত্তর অ্যামেরিকার এই শজারুর নাম কেভিন৷ দেখতে ছোট্ট খরগোসের মতো৷ তবে স্বভাবে বেজায় কুঁড়ে৷ সারাদিন গাছের ডালে শুয়ে ঘুমাতে ভালবাসে সে৷ ওজন মাপার সময়ও তাকে ঘুম থেকে তুলতে হয়েছিল৷
ছবি: Lutz Schnier
খাড়া কাঁটা, ভীষণ ক্লান্ত
বিশেষ রকমের দস্তানা পরে কেভিনকে ওজনযন্ত্রে বসানো হয়৷ খুব সাবধানে সেই কাজ করতে হয়, কারণ তার কাঁটা একেবারে সুচের মতো ধারালো৷ দেখা গেল, ওজন তার ১,২৮০ গ্রাম৷ কিন্তু এত কাণ্ডের দরকার ছিল কি? অবশ্যই – কারণ যে কোনো কোম্পানির মতো চিড়িয়াখানায়ও যে অ্যাকাউন্টস রাখতে হয়!
ছবি: Lutz Schnier
এখানে আরও একটা হরিণ!
গণনায় জানা গেল, চিড়িয়াখানায় ২৬টি ভিয়েতনামি সিকা হরিণ রয়েছে৷ গত বছরের গণনার পর অনেক প্রাণীর জন্ম-মৃত্যু ঘটেছে৷ অথবা নতুন অতিথি এসেছে৷ কিছু প্রাণী আবার অন্য চিড়িয়াখানায় চলে গেছে৷ এই মুহূর্তে হামবুর্গ চিড়িয়াখানায় প্রাণীর সংখ্যা ১,৮৫৯৷
ছবি: Götz Berlik
খাঁচার মধ্যে জীবন
চিড়িয়াখানার ২৬টি ভিয়েতনামি সিকা হরিণ গ্রীষ্মকালে তাদের সাদা ছাপ ফুটিয়ে তোলে৷ স্বদেশে তারা বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে৷ অন্য অনেক চিড়িয়াখানার মতো হামবুর্গও তাদের রক্ষা করতে প্রজনন কর্মসূচি চালাচ্ছে৷ তাই তাদের বংশবৃদ্ধি ঘটলে সেটা বড় আনন্দের কারণ৷
ছবি: Lutz Schnier
শুধু দেখতেই বিপজ্জনক
২০১৩ সালেই এই নর্দার্ন কেমেন আইল্যান্ড লিজার্ড-এর মাপ নেওয়া হয়েছিল৷ এই প্রজাতির গিরগিটি ১ মিটার ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে৷ তবে এই প্রাণীটিকে দিব্যি হাতের উপর রাখা চলে৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকার এই গিরগিটি দেখতে বিপজ্জনক হলেও বাস্তবে তারা বেশ শান্ত৷ তারা শামুক খেতে বড্ড ভালোবাসে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Heimken
রাজি করানো কঠিন
সবচেয়ে বড় প্রাণীদেরও মাপজোক থেকে বাদ দেওয়া হয় না৷ এবার এশিয়ার এই হাতি পরিবারের পালা৷ বেশি কসরত ছাড়াই ২০১৩ সালে ‘আসাম’ নামের শাবকটির উচ্চতা মাপা সম্ভব হয়েছিল৷ তখন তার উচ্চতা ছিল দেড় মিটার৷ তবে ব্যাপারটা তার পছন্দ হয় নি৷ অনেক বুঝিয়ে-সুজিয়ে তাকে রাজি করাতে হয়েছিল৷
ছবি: picture alliance/rtn
আরে, মুখের মধ্যে কী!
ছোট্ট থর-এর কারণে এ বছর সিন্ধুঘোটকের মাপজোকের ঘটনা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে৷ এই চিড়িয়াখানায় আগামী বছর বাসিন্দাদের সংখ্যা বাড়বে, এমনটাই কর্মীদের আশা৷ যেমন বাঘেদের ঘরে নতুন অতিথি আসার কথা৷ হামবুর্গের হাগেনবেক চিড়িয়াখানা সম্পর্কে আরও জানতে উপরের ডানদিকের লিংকে ক্লিক করুন৷