লাইপজিশ চিড়িয়াখানা থেকে একটি বিরল প্রজাতির ছোট লেজওয়ালা বাঁদর নিখোঁজ! কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বাঁদরের খাঁচার ভেতর ঢুকে পড়েছিল৷ তারপর থেকেই বাঁদরটি আর নেই৷
বিজ্ঞাপন
‘লায়ন টেলড ম্যাকাক' ছোট লেজওয়ালা বাঁদর বিশ্বের অন্যতম বিপন্ন প্রজাতি৷ জার্মানির পূর্বাঞ্চলের শহর লাইপসিশ চিড়িয়াখানা থেকে মঙ্গলবার এমন একটি বাঁদর চুরির ঘটনা প্রকাশ হবার পর থেকে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, শুরু হয়েছে তদন্ত৷
‘খাঁচা ভাঙার চিহ্ন স্পষ্ট'
রোববার ইস্টারের ছুটির দিনে প্রাণীদের থাকার নির্দিষ্ট জায়গা ও খাঁচার অংশগুলি পরীক্ষা করার সময়েই চিড়িয়াখানার কর্মীরা দেখেন বাঁদরটি নেই৷
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে যে, রীতিমতো জোর করে খাঁচা ভাঙা হয়েছে, এবং সেই চিহ্ন স্পষ্ট৷ তাদের মতে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ফাঁদ পেতে বাঁদরটিকে চুরি করে৷
চুরি যাওয়া নারী-বাঁদরটির বয়স ১৫ বছর, নাম রুমা৷ লায়ন টেলড ম্যাকাক বাঁদরদের লেজের আগা অনেকটা সিংহের লেজের মতো৷
এই বাঁদরটির পাশেই বাস আরেকটি ১২ বছর বয়সি ম্যাকাক বাঁদরের৷ তাকে চুরি না করা হলেও চিড়িয়াখানা কর্মীরা জানান, খাঁচা ভাঙায় বাঁদরটির কোনো হেলদোল নেই৷
জার্মান সংবাদ পত্র বিল্ডকে চিড়িয়াখানার এক মুখপাত্র বলেন, ইয়েমুর নামের পুরুষ ম্যাকাকটি- তার সঙ্গীর কথা ভাবছে, কারণ, বাঁদরদের একটি বিশেষ সামাজিক চরিত্র থাকে৷ ১৭টি ভিন্ন ডাক ও শরীরী ভাষায় এমনটাই বোঝাতে চাইছে বাঁদরটি৷
এশিয়ায় হুমকির মুখে থাকা আট প্রাণী
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড নেচার বা আইইউসিএন বলছে, বিশ্বের ২৭ হাজারেরও বেশি প্রজাতি হুমকির মুখে রয়েছে৷ ছবিঘরে এশিয়া বাস করা কয়েকটি প্রজাতির তথ্য থাকছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Lisnawati
সুমাত্রান ওরাংওটান
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড নেচার, আইইউসিএন সুমাত্রার ওরাংওটানকে অতিবিপন্নের তালিকায় রেখেছে৷ শিকার ও আবাস কমে যাওয়া একদিন তারা হারিয়ে যেতে পারে৷
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন বা ডাব্লিউডাব্লিউএফ বলছে, সাউথ চায়না টাইগার বা চাইনিজ টাইগার প্রায় বিলুপ্তির পথে৷ তবে চীনের বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় প্রায় ৬০টির মতো এমন বাঘ রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Joe
সান্ডা প্যানগোলিন
আট প্রজাতির প্যানগোলিনের মধ্যে এটি একটি৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের দেখা যায়৷ মাঝারি থেকে বিশাল হুমকির মুখে রয়েছে তারা৷ সব প্যানগোলিনের মধ্য সান্ডা আর চাইনিজ প্যানগোলিনের বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Lisnawati
জাভার গণ্ডার
এটি সান্ডা গণ্ডার কিংবা এক শিংওয়ালা গণ্ডার নামেও পরিচিত৷ গণ্ডার গোত্রের মধ্যে এই প্রজাতিটি বিরল৷ অন্য জাতের গণ্ডারদের চেয়ে তাদের শিং সাধারণত আকারে ছোট হয়৷
ছবি: Colourbox/Jean Vaillancourt
সুমাত্রান টাইগার
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে এদের বসবাস৷ ২০০৮ সাল থেকে তাদের নাম আইইউসিএন-এর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে৷ পাম অয়েলের ব্যবসা প্রসারের কারণে তারা হুমকির মুখে রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Fabi
ব্যাকট্রিয়ান ক্যামেল
আরবের উটে কুঁজ আছে একটি৷ কিন্তু খেয়াল করে দেখুন ছবির উটে কুঁজের সংখ্যা দুটি৷ উত্তর চীন ও দক্ষিণ মঙ্গোলিয়া এলাকায় এদের পাওয়া যায়৷ মানুষের জন্য আবাসিক এলাকা সম্প্রসারণ, কৃষিকাজ ও নতুন নতুন খামার গড়ে তোলার জন্য ব্যাকট্রিয়ান ক্যামেলের সংখ্যা কমে যাচ্ছে৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press/Chapman
সাইগা
হরিণজাতীয় এই প্রাণীটি কাজাখস্তান ও রাশিয়ার কিছু অংশে পাওয়া যায়৷ কৃষিকাজ ও খামার সম্প্রসারণ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট খরা ও অতিরিক্ত তাপমাত্রা তাদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ৷
ছবি: Imago/blickwinkel
কালো ঝুঁটির গিবন
দক্ষিণ-পূর্ব চীন ও উত্তর ভিয়েতনামে গেলে এই বানরদের পাওয়া যাবে৷ ২০০০ সালে এরা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করা হয়েছিল৷ পরে ২০০২ সালে উত্তর-পূর্ব ভিয়েতনামে তাদের আবার দেখা মেলে৷
ছবি: picture-alliance/Xinhua/Tang Yun
8 ছবি1 | 8
বাঁদর কাণ্ডে পুলিশি তৎপরতা
এই চিড়িয়াখানাটি স্যাক্সনি রাজ্য পুলিশের আওতায়৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের আহ্বান জানিয়ে এই চুরির তদন্ত শুরু করেছে তারা৷ বাড়ানো হয়েছে চিড়িয়াখানা ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তাও৷
লাইপসিশ চিড়িয়াখানার পরিচালক ইয়্যোর্গ ইয়ুনহোল্ড এই ঘটনাকে ‘খারাপ খবর' বলেন৷ তার মতে, ‘‘এই চুরির কারণ ঠিক কী, তা না জানলেও মধ্যবয়স্ক প্রাণীটির অবস্থা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত৷ তার দেখভালের জন্য বিশেষ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন৷ আমরা খুব আশা করছি যাতে এই প্রাণীটিকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারি৷''
এই প্রজাতির বাঁদর মূলত বাস করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের পশ্চিম ঘাটে৷ বনাঞ্চল কমতে থাকায় এই প্রজাতির মাত্র কয়েক হাজার বাঁদর এখন পাওয়া যায়৷
এছাড়া, তাদের মাংস ও পশমের জন্যেও তাদের খোঁজে থাকে চোরাশিকারীরা৷ কিছু কিছু বিতর্কিত ‘চিকিৎসা' পন্থার জন্যেও এই প্রাণীর শিকার করে থাকেন কেউ কেউ৷
জার্মানির চিড়িয়াখানার ইতিহাস
প্রতি বছর কোটি কোটি মানুষ জার্মানির চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে৷ একজন দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় গিয়ে এখন যা দেখেন, তা এ রকম ছিল না৷ সময়ে সময়ে বদলেছে ধরণ, সমৃদ্ধ হয়েছে কালে কালে৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel/K. Hennig
জার্মানির প্রথম চিড়িয়াখানা
প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক মার্টিন হিনরিশ লিশটেনস্টাইন লন্ডনে জুলোজিক্যাল গার্ডেন দেখে এ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন৷ এরপর তাঁর মধ্যে এ বিষয়ে কিছু একটা করার ইচ্ছা জাগে৷ ১৮৪১ সালে প্রুশিয়ার রাজা চতুর্থ ফ্রিডরিশ ভিলহেল্মকে রাজি করান৷ রাজা এক ডিক্রির মাধ্যমে বার্লিনের টিয়ারগার্টেনে ৫৪ একর জমি বরাদ্দ দেন৷ সেখানেই গড়ে ওঠে জার্মানির প্রথম জুলোজিক্যাল গার্ডেন৷
ছবি: picture alliance/dpa/arkivi
প্রথম প্রাণী
১৮৪৫ সালের মধ্যে দু’টি কোয়াটি, তিনটি সুমেরুর শিয়াল, একটি লাল শিয়াল, দু’টি ব্যাজার, ২৪টি বানর এবং তিনটি সাইবেরিয়ার ভাল্লুক এখানেআনা হয়৷ ১৮৪৬ সালে সিংহ এবং বাঘকে পৃথক ভবনে নিয়ে আসা হয়৷ ১৮৫৭ সালে প্রথম হাতি আনা হয়৷ ১৮৬১ সালে আনা হয় প্রথম জেবরা৷ তবে তখন প্রাণীর মৃত্যুর হার ছিল অত্যন্ত বেশি৷
ছবি: picture alliance/dpa/arkivi
রোল মডেলের ভূমিকায় ভিয়েনা
ভিয়েনার শ্যোনব্রুন চিড়িয়াখানা ছিল একেবারে অন্য রকম৷এ জগতে নানা সংযোজনে তাদের অবদান রয়েছে৷ ১৯০৬ সালে এখানে প্রথম হাতির বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে৷ ৭২৭ প্রজাতির ৩৫শ’ প্রাণী নিয়ে ১৯১৪ সালে এটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম চিড়িয়াখানায় পরিণত হয়৷ এটা বার্লিনের চিড়িয়াখানার রোল মডেল হয়ে দাঁড়ায়৷ এটি বিদ্যমান সবচেয়ে পুরাতন চিড়িয়াখানাগুলোর একটি৷ বলা হয়ে থাকে, ইউরোপের মধ্যে এই চিড়িয়াখানাতেই সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী যায়৷
ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে জার্মান ভাষাভাষী দেশগুলোতে বহু চিড়িয়াখানা গড়ে ওঠে৷ তবে এসব চিড়িয়াখানার পূর্বসুরী হিসাবে রয়েল পার্কের কথাই বলা হয়৷ এটাও প্রুশিয়ার রাজপরিবার গড়ে তুলেছে৷ সেখানে রাজা কেবল শিকারই করতেন না, বরং এখানে প্রকৃতি গবেষকদের বসবাস করার অনুমতি দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P.Pleul
ভবন সংরক্ষণ এবং প্রাণী সুরক্ষা
বার্লিন জুলোজিক্যাল গার্ডেনে অবস্থিত অ্যান্টিলোপ হাউজের মতো অনেক ভবনই ঊনিশ শতকে নির্মাণ করা হয়৷ এর মাধ্যমে এখানে প্রাণীদের জন্য একটা ভিন্ন আবহ আনার চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু এটা যতটা না নান্দনিক করা হয়েছে, নির্মাণের সময় সংশ্লিষ্ট প্রজাতির প্রাণীদের সুবিধার কথা ততটা ভাবা হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb/B. Setnik
শিক্ষা
২০ শতকে এসে জার্মানি জুড়ে অনেক চিড়িয়াখানা হয়৷ মানকি পার্ক, ওশান পার্ক, বার্ড পার্ক প্রভৃতি ক্রেজ জেঁকে বসে৷ এমনকি মানুষ সাফারি পার্কের মাঝে নিজেদের গাড়ি বা বাস নিয়ে যাওয়ারও সুযোগ পায়৷ ৫০ ও ৬০-এর দশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছোট শহরগুলোও চিড়িয়াখানা বা প্রাণী পার্ক গড়ে তোলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Leonhardt
গতির ঝড়
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে চিড়িয়াখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটা উন্মাদনা দেখা দেয়৷ দূর দূর ভূখণ্ডের প্রাণী দেখতে মানুষ আকুল হয়ে উঠে৷ একটা সময়ে এসব চিড়িয়াখানা জীবন্ত ক্লাসরুমে পরিণত হয়৷ কিন্তু প্রাণীদের রাখার ক্ষেত্রে তাদের উপযোগী করে পরিবেশ তৈরির বিষয়টি তখনও অগ্রাধিকারে ছিল না৷ ৭০-এর দশকের পর প্রাণী-মনস্তত্ত্ব নিয়ে নতুন নতুন দিক বের হয়ে আসে৷ তখন চিড়িয়াখানাগুলো তাদের ডিজাইন বদলাতে শুরু করে৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel/K. Hennig
প্রকৃতিতে ফিরে আসা
চিড়িয়াখানা ডিজাইনে বিস্তৃত পরিসর রাখার বিষয়টি পুরো ব্যাপারটাই বদলে দেয়৷ যেমনটা হয়েছিল হামবুর্গের কার্ল হাগেনবেকে৷ সিংহ বাস করত জিরাফ, হাতি এবং জেব্রার কাছাকাছি৷ চিড়িয়াখানায় অঞ্চলভেদেও বিভক্তি ছিল৷ যেমন, চিড়িয়াখানার আফ্রিকা অঞ্চল৷ ছবিতে উঠে আসা কোলন চিড়িয়াখানার গ্রিনজোনের সব প্রাণী, যারা তাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকতে পারে৷
ছবি: DW/Nelioubin
ভবিষ্যতের চিড়িয়াখানা
চিড়িয়াখানার ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা নির্ভর করবে দক্ষ ব্যবস্থাপনার উপর৷ কিছু কিছু চিড়িয়াখানা কিছু প্রাণী রাখা বন্ধ করে দিচ্ছে৷ যেমন, ফ্রাঙ্কফুট চিড়িয়াখানা তাদের হাতির ঘর বন্ধ করে দিচ্ছে৷ শহরের মাঝখানে ২৭ একর জমি নিয়ে গড়ে ওঠা এই চিড়িয়াখানা প্রাণীদের পর্যাপ্ত জায়গা দিতে পারছে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken
আসছে পান্ডা
চড়ার জন্য গাছ, কৃত্রিম নদী, পছন্দসই গাছ– এ সবই করা হচ্ছে চীনের দুই পান্ডা জিয়াও কুয়িং (ছবিতে) এবং মেং মেং-এর জন্য৷ আগামী ২৪ জুন বিমানের প্রথম শ্রেণির আসনে চড়ে তারা আসছে জার্মানিতে৷ তারা আসার পর বার্লিন জুলোজিক্যাল গার্ডেনে চালু করা হবে পান্ডাপ্লাজা৷ দুই পান্ডার জন্য এত সব আয়োজনই বলে দিচ্ছে, চিড়িয়াখানায় এসব প্রাণীর জীবন পাল্টে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিড়িয়াখানা গবেষণা
চিড়িয়াখানার নতুন নতুন প্রজাতির জন্ম হচ্ছে, যাদেরকে তাদের নিজস্ব পরিবেশে ছেড়ে দেয়া হবে৷ পরিবেশ সংরক্ষণেও তারা কাজ করছে এবং প্রাণীর প্রাকৃতিক বাসস্থান সম্পর্কে দর্শনার্থীদের জানাচ্ছে৷ কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, বিভিন্ন প্রাণীর কিছু কিছু প্রজাতিকে কেবল চিড়িয়াখানায় বাঁচিয়ে রাখা অনৈতিক৷ অবিকৃত প্রাকৃতিক বাসস্থান দেয়া লক্ষ্য হওয়া উচিত৷
জার্মানিতে খেলাধুলার চেয়ে চিড়িয়াখানায় বেশি দর্শনার্থী যায়৷ মানুষ বিনোদনের জন্য এই দিকে বেশি ঝুঁকছে৷ সম্প্রতি কোলন চিড়িয়াখানায় একটা ছোট্ট খামার উদ্বোধন করা হয়েছে৷ সেখানে দর্শনার্থীরা গরু ও ছাগলের যত্ন নিতে পারবেন৷ চিড়িয়াখানা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, কোনো কিছুই এর স্থলাভিসিক্ত হতে পারে না৷ এটা কেবল প্রাণীকে মানুষের সঙ্গে যুক্ত করতেই ভূমিকা রাখছে না৷ বরং বহু বিপন্ন প্রাণীর সংরক্ষণেও কাজ করছে৷