জার্মানিতে ডানপন্থি রাজনীতি কতটা শক্তিশালী – জার্মানির নির্বাচনকে সামনে রেখে ডয়চে ভেলের দু'জন প্রতিবেদক সুমি সমাস্কান্দা এবং নিনা হাসে জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় শহর ড্রেসডেন এবং এর আশেপাশের এলাকায় এ প্রশ্নেরই জবাব খুঁজেছেন৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির বড় শহরগুলোর মধ্যে কেবলমাত্র এই ড্রেসডেনে বামপন্থার চেয়ে ডানপন্থার আধিপত্য দেখা যায়৷ ঐতিহাসিক ও পুরনো এই শহরের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে রাজকীয় মহিমা৷ এখানে সেখানে যেন এককালের সমৃদ্ধ অতীত নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে যাচ্ছে৷ একইসঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার করুণ স্মৃতির ক্ষতও যেন এখনো দগদগ করছে৷
জার্মানির স্যাক্সনি রাজ্যের এই রাজধানী শহরে ডানপন্থার উত্থানের পেছেন এই সবকে কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন ইতিহাসবিদ এবং বিশ্লেষকরা৷
ডানধারার উগ্রতা যেন পুরো অঞ্চলকেই ধীরে ধীরে ছেয়ে ফেলছে৷ ২০১৫ সালে যখন প্রায় ১ মিলিয়ন অভিবাসী এবং উদ্বাস্তু জার্মানিতে পৌঁছে, এরপর এই ধারাটি হঠাৎ করে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে৷ আশ্রয়প্রার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যকার উত্তেজনা আরো বেড়ে গেছে৷
ড্রেসডেন থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বের শহর ফ্রাইটাল৷ যেখানে ন'জনের একটা দলের বিচার হচ্ছে৷ যাদের বিরুদ্ধে উদ্বাস্তুদের পাঁচটি ক্যাম্পে হামলার অভিযোগে রয়েছে৷
জার্মানি জুড়ে উদ্বাস্তুদের স্বার্থ এবং এমনকি সরাসরি উদ্বাস্তুদের উপর হামলার ঘটনা বাড়ছে৷ ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ দপ্তরের (বিকেএ) মতে, ২০১৫ সালে এই হামলার পরিমাণ বেড়েছে৷ যার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে স্যাক্সনি রাজ্য৷
পেগিডার কেন্দ্র ড্রেসডেন
জার্মানির ইসলাম বিরোধী আন্দোলন পেগিডা৷ সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানিতে গড়ে উঠা ডানপন্থি এই আন্দোলন কেন্দ্রীভূত হয়েছে এই শহরেই৷ পেগিডা, এই শব্দটি যে জার্মান কথাগুলির অর্থ হচ্ছে, প্রতীচ্যের ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমী ইউরোপীয়রা৷
তাঁরা ২০১৪ সালে ১০ হাজার মানুষকে এই শহরের রাস্তায় আনতে সক্ষম হয়েছিল৷ যদিও সে সময় অন্য শহরগুলোতে তেমন একটা আবেদন সৃষ্টি হয়নি৷ তবে শরণার্থীরা আসার পর এই আন্দোলনে মানুষের অংশগ্রহণ আরো বেড়েছে৷
এখানকার মানুষ এমনিতে বিনয়ী হলেও গর্বিত৷ ডানপন্থি চিন্তা ধারণ করলেও আন্দোলনের মাঠে ব্যবহার করে বামপন্থিদের কলাকৌশল৷
অবশ্য সেখানে এমন মানুষও রয়েছেন, যারা নতুনকে স্বাগত জানাতে চান৷ একটি বহুত্ববাদী সমাজ গড়ে সেটার অংশ হতে চান৷
ডান-বাম যাইহোক, এখানকার মানুষের মাঝে রাজনীতি ও সরকার নিয়ে ক্রমেই হতাশা বাড়ছে৷ কয়েট্শগ্রাবেন জেলার সিটি সেন্টারের কাছে একটি ম্যাজেস্টিক ভিলা থেকে কয়েক মিনিটের পথ পার হলে ৬-৭ তলা বিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক দেখা যাবে৷ ৭০ ও ৮০'র দশকে এগুলো ছিল ঝকঝকে তকতকে৷ তখন এ রকম হাজার হাজার অ্যাপার্টমেন্টের চাহিদা ছিল৷
কয়েট্শগ্রাবেনকে এখন সংগ্রাম করতে হয় দারিদ্রের সঙ্গে৷ রয়েছে উচ্চ বেকারত্ব, বাড়ছে ছোট ছোট অপরাধও৷ অনেকেই বলেছেন, ক্রমবর্ধমান এই অসন্তোষই ডানপন্থার বিস্তারকে ত্বরান্বিত করছে৷
ডয়চে ভেলের দুই প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা হয়, মিশেল হোনাওয়ার সাথে৷ তিনি খেলা মাঠের পাশে একটি আইসক্রিমের দোকান তৈরিতে কাজ করছেন৷
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাঁকে অনেক উত্থান পতনের মাঝ দিয়ে যেতে হয়েছে৷ মায়ের অসুস্থতা, কোনো কাজে স্থির হতে না পারা, পরিবারের প্রয়োজন ঠিকমতো মেটাতে না পারার ঘটনা ঘটেছে৷ একটা সময়ে গিয়ে তিনি প্রতিবেশী তরুণদের একটি দলে যোগ দিয়েছিলেন৷
জার্মানির যে সাত রাজনৈতিক দলের নামও শোনেননি আপনি
জার্মানরা শুধু সিডিইউ বা এসপিডি নয়, কিছু ছোট এবং বিরল দলকেও ভোট দিতে পারে৷ এই যেমন, প্রাণী সুরক্ষা পার্টি কিংবা মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি৷ ভাবছেন, এরা কারা? চলুন দেখে নিই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
প্রাণী সুরক্ষা দল
জার্মানিতে প্রাণী অধিকার বিষয়ক অ্যাক্টিভিস্টরা সুযোগ পেলে পুরো হাইওয়ে বন্ধ করে দেন যাতে ব্যাঙেরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারে৷ এমন দেশে তাই ‘অ্যানিমেল প্রোটেকশন পার্টি’ বা প্রাণী সুরক্ষা দল থাকবে না, তা কি হতে পারে? তবে গ্রিন পার্টির কারণে এ দলের পালে হাওয়া কম থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
দ্য রিপাবলিকানস
ব্যাপারটা কিছুটা বিভ্রান্তিকর৷ জার্মানির রয়েছে নিজস্ব রিপাবলিকান পার্টি, নাম আরইপি৷ তবে এই দলের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই৷ জার্মান রিপাবলিকনরা হচ্ছেন ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী, যারা নিজেদের ‘রক্ষণশীল দেশপ্রেমিক’ এবং দেশের ‘সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয়’ রক্ষায় লড়াইরত বলে মনে করেন৷
ছবি: DW
দ্য পার্টি
হ্যাঁ, এই দলের নাম ‘দ্য পার্টি’৷ জার্মানির স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘টাইটানিক’ এর সম্পাদকরা ২০০৪ সালে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ দলটির প্রধান হচ্ছেন মার্টিন স্যোনেবর্ন (ছবিতে)৷ ২০১৪ সালে তিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে দলটির জন্য একটি আসন নিশ্চিত করেন৷ ভবিষ্যতে দলটির অবস্থা আরো ভালো হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/Sven Simon/M. Ossowski
গণভোট দল
জার্মানির রেফারেন্ডাম পার্টি বা গণভোট দলের কাছে সুইজারল্যান্ড এক বিশাল অনুপ্রেরণা৷ দলটি চায় দেশের সব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গনভোটের মাধ্যমে জনগণ নেবে৷ সুইজারল্যান্ডে ২০১৬ সালে তেরোটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি
জার্মানির এমএলপিডি একটি ছোট দল, যদিও দেশটির অর্ধেক মানুষ এক সময় কমিউনিস্ট ছিলেন৷ মানে ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৯ সাল অবধি যখন জার্মানি দুই ভাগে বিভক্ত ছিল৷ তৎকালীন পূর্ব জার্মানি তখন শাসন করেছিল সোশ্যালিস্ট ইউনিটি পার্টি৷ বর্তমানে উগ্র বামপন্থি এমএলপিডি’র জার্মান রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Link
ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি
‘অ্যালায়েন্স সি - ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি’ একটি ক্রিশ্চিয়ান পার্টি, যেটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে৷ খ্রিষ্টান-মৌলবাদীদের একটি দল এবং শ্রমিক, পরিবেশ এবং পরিবারভিত্তিক একটি দল একত্র হয়ে এই দল গড়ে৷ বাইবেলের মান রক্ষা করে দেশ পরিচালনা করতে চায় এই দল৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. MacDougall
6 ছবি1 | 6
অভিবাসীদের প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি বলেন, তাঁদের মানসিকতা একেবারেই ভিন্ন৷ তাঁরা এক ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে গেছেন৷ যেটা তাদের প্রাত্যহিক জীবনেরও অংশ হয়ে গেছে৷
‘‘অবশ্যই আমাদের উচিত তাদের সাথে ভালো আচরণ করা৷ কিন্তু তাঁদেরও এটা মনে রাখতে হবে, তাঁরা এখানে অতিথি হিসেবে এসেছেন৷ যখন আপনি অন্য কারো বাড়িতে অতিথি হিসাবে যাবেন, তখন আপনাকে অতিথি হিসাবেই আচরণ করতে হবে৷’’
‘‘একজন অতিথি কেমন থাকে? তাঁকে বন্ধুত্বপূর্ণ থাকতে হবে, প্রয়োজনে বাড়িয়ে দিতে হবে সহায়তার হাত৷ অন্যের প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠ হতে হবে৷ কিন্তু এখানেই সমস্যা৷ তাঁরা এভাবে আচরণ করে না৷
রাজনীতি নিয়ে কিছুটা আগ্রহ রয়েছে তাঁর, রয়েছে হতাশাও, যেটা অকপটেই জানিয়েছেন ২৬ বছরের এই যুবক৷ তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো নানা অঙ্গীকার করে৷ ক্ষমতায় এসে এমন সব কাজ করে, যেটা তাদের নির্বাচনি অঙ্গীকারে ছিল না৷ সুতরাং কে ক্ষমতায় আসলো, তাতে কিছুই যায় আসে না৷
কয়েট্শগ্রাবেনের এই দিকে এখন উদ্বাস্তুরাও আসছে৷ বাড়ছে চাপা ক্ষোভ৷ বিশেষ করে যখন তাঁরা এসেই সাজানো গোছানো একটা অ্যাপার্টমেন্ট পেয়ে যান৷ অন্যদিকে এখানে বসবাসকারীদেরকে চার রুমের একটা বাসার জন্য মাসে গড়পড়তা ৬০০ ইউরো খরচ করতে হয়৷
এ রকম একটি ফ্ল্যাটেই বাস করেন কারমেন নামে চার সন্তানের একজন মা৷ তিনি বলেন, আমার বাসাটি ছেড়ে দিলে মালিক এটি সাজিয়ে গুছিয়ে ভাড়া আরো দেড়শ' ইউরো বাড়িয়ে দেবেন৷ তিনি বলেন, আমি এখনো এখানেই বাস করতে চাই৷ সমাজে বিভেদ বাড়ছে৷ এরপরও আমি বিশ্বাস করি, একটি সহিষ্ণু সমাজের জন্য আমাদেরকে আরো অনেকদূর যেতে হবে৷
জার্মানির জাতীয় নির্বাচন ২০১৭: কবে, কী হচ্ছে
তিনটি রাজ্যে নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৭ সালে৷ চলুন জেনে নেই জাতীয় নির্বাচনের টাইমলাইন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
জার্মানির বড় নির্বাচনের বছর
জার্মানিতে চলতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে একের পর এক নির্বাচন৷ একদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন, অন্যদিকে পপুলিস্ট পার্টি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) অভিবাসীবিরোধী অবস্থানের কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চিত যে, ২০১৭ সালের শেষে জার্মানির রাজনৈতিক অবস্থা এখনকার মতো থাকবে না৷
ছবি: Getty Images
জুন ১৯: দলের মনোনয়ন জমা দেয়ার দিন ছিল
জার্মানির সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল জুন ১৯৷ সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আগ্রহী দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আবেদন জানাতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
জুলাই ৭: কোন কোন দল লড়ছে?
সংসদ নির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নিতে পারবে তা ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ যদি কোন দল নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে পরবর্তী চারদিনের মধ্যে জার্মানির সাংবিধানিক আদালতে নালিশ করতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
জুলাই ১৭: কারা কারা থাকছেন?
চলতি বছরের ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কোন কোন প্রার্থী কোন কোন এলাকায় লড়বেন, তা চূড়ান্ত করতে হবে৷ জার্মানিতে একসঙ্গে দু’টি ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ প্রথমটি প্রার্থীকে, দ্বিতীয়টি দলকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
জুলাই ২৭: ব্যালটে নাম উঠানোর লড়াই
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে সাংবিধানিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাদের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ ২০১৩ সালে এই পন্থা চালু করা হয়েছিল৷ সেবছর এগারোটি দল আদালতের স্মরণাপন্ন হলেও কেউই মামলা জেতেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Steinberg
আগস্ট ১৩: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা
জার্মানিতে নির্বাচন শুরুর ছয় সপ্তাহ আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিক প্রচারণার পোস্টার বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে না৷ চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর তারিখ ১৩ আগস্ট৷ এই দিন থেকে দলগুলো তাদের প্রচারণায় কোনো ঘাটতি রাখবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
আগস্ট ২০: কে ভোট দিতে পারবেন?
নির্বাচনের মাসখানেক আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তালিকা চূড়ান্ত হবে৷ ভোটার লিস্ট ঘোষণা করবে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ৷ জার্মানিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি যে কোনো জার্মান নাগরিক ভোট দিতে পারবেন৷ সে হিসেবে চলতি বছর ভোটারের সংখ্যা সাড়ে ৬১ মিলিয়ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K.-D. Gabbert
সেপ্টেম্বর ৩: তিন সপ্তাহ বাকি
এই সময়ের মধ্যে সকল ভোটার পোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে ভোট দেয়ার সার্টিফিকেট পাবেন৷ যারা তখন অবধি ভোটার লিস্টে নিজেদের নাম পাননি, তারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন৷ আর যারা পোস্টের মাধ্যমে ভোট দিতে চান, তারা ব্যালট পেপার চাইতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
সেপ্টেম্বর ২৪: নির্বাচনের দিন
অবশেষে সেই মহেন্দ্রক্ষণ৷ জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ সেপ্টেম্বর৷ সেদিন সকাল আটটায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত৷ ভোটগণনা সেদিনই শেষ হবে এবং নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ রাতে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেপ্টেম্বর ২৫: বিজয়ী এবং বিজিত
সকল প্রতিনিধি এবং দলগত ভোট গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেয়া হবে ২৫ সেপ্টেম্বর৷ যদি কোনো প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জিততে ব্যর্থ হন, তা সত্ত্বেও দলগত জয়ের কারণে তিনি সংসদে একটি আসন পেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
অক্টোবর ২৪: নতুন সাংসদরা সংসদে
নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে নতুন সাংসদদের সংসদে মিলিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে৷ এ বছর সেই দিনটি হচ্ছে অক্টোবর ২৪৷ সেদিন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর নির্বাচিত হবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নভেম্বর ২৪: সবকিছু কি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে?
যদি কেউ জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে তার হাতে সময় থাকে নির্বাচন পরবর্তী দুই মাস৷ ভোটাররাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে কেউ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার রাখেন এই সময়ের মধ্যে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
12 ছবি1 | 12
খেলার মাঠে বিভিন্ন ধরনের শিশুদের দেখিয়ে তিনি বলেন, এখানে (উদ্বাস্তুরা আসায়) আরো রং হচ্ছে৷ এটা একটা ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতারও বিষয়৷ কিন্তু অনেকেই বিষয়টাকে এভাবে দেখেন না৷
কয়েট্শগ্রাবেনের খেলার মাঠে মায়েদের ভিড়ে আমাদের দেখা হয় আবদুল কাদির আহাদি এবং তাঁর চার কন্যার সাথে৷ উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফে আহাদি জার্মান সেনাবাহিনীর অনুবাদের কাজ করতেন৷ এই কাজের ফলে দ্রুত তাঁর জীবন অনিরাপদ হয়ে উঠে৷ তিনি জার্মানির ভিসার জন্য আবেদন করেন৷ ২০১৪ সালে জার্মানি এসে পৌঁছেছেন৷
পরিবার নিয়ে এখানে ঘর বাঁধতে এবং সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে তাঁকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে৷ আফগানিস্তান থেকে আসা নবাগতদের তিনি এখন সহায়তা দিচ্ছেন৷ কিন্তু এই নবাগতদের অনেকের আবেদন খারিজ হয়ে যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, আফগানিস্তান নিরাপদ নয়৷
যাদের প্রয়োজন তাদের জন্য দুয়ার খোলা রাখতে তিনি জার্মানির প্রতি আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, আমি আশা করি, জার্মান সরকার, বিশেষ করে স্যাক্সন সরকার, এই সব মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে আসবে৷ এই মুহূর্তে বিশ্বের সব দেশের মধ্যে জার্মানিতে এমন প্রচুর মানুষ রয়েছে, যারা অন্যদেরকে, বিশেষ করে অভিবাসীদেরকে সহায়তা করতে চায়৷