ইয়োহানেস কিং ও ইয়ান-ফিলিপ ব্যার্নার জার্মানির ‘শেফ অফ দ্য ইয়ার ২০১৯’ নির্বাচিত হয়েছেন৷ রেস্তোরাঁ বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘গো মিয়ো’র জার্মান সংস্করণ এই খেতাব দিয়েছে৷ তাঁরা উত্তর সাগরের জুল্ট দ্বীপের এক রেস্তোরাঁয় কাজ করেন৷
বিজ্ঞাপন
বিশ বছর ধরে ইয়োহানেস কিং জুল্ট দ্বীপে বাস করছেন৷ ভালো ঝিনুক কীভাবে চেনা যায়? তিনি বললেন, ‘‘গন্ধটা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ তাছাড়া একটি ঝিনুক দেখতে ভালো হতে হবে, সেক্সি মনে হতে হবে৷ ভাঙা থাকলে চলবে না, আর খোসার গায়ে দাগ না থাকলেই ভালো৷ ঝিনুক দেখতে অভিজাত হতে হবে, গন্ধ হতে হবে লবণ কিংবা আয়োডিনের মতো৷ ভেতরে পানি থাকতে হবে৷’’
ইয়ান-ফিলিপ ব্যার্নার জানালেন, ‘‘শীতের সময় সাগরের পানি যত ঠান্ডা থাকে, সি-ফুডের স্বাদ তত ভালো হয়৷ তাই আমাদের রেস্তোরাঁয় শীতের সময় সি-ফুড থাকে৷ তবে তার মানে এই নয় যে, আমরা মাংস রাঁধি না৷ আমরা সবসময় বিভিন্ন রকমের খাবার রাখার চেষ্টা করি৷ অতিথিদের আমরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শস্য খাওয়াতে চাই৷ আমরা নতুন ধরনের খাবার রান্নারও চেষ্টা করি৷’’
জার্মানির ‘শেফ অফ দ্য ইয়ার ২০১৯’
04:06
জার্মানির এই দুই তারকা রাঁধুনি সাগর পাড়ের যে রেস্তোরাঁয় কাজ করেন তার নাম ‘স্যোলরিং-হোফ’৷ হোটেলের অতিথিরা উত্তর সাগরের খুব কাছে থাকতে পারেন৷ ইচ্ছে করলে সেখানকার সৈকতে হাঁটতেও যেতে পারেন৷
ইয়োহানেস ঠিক জানেন দ্বীপের কোথায় শামুক, ঝিনুক আর শৈবাল পাওয়া যায়৷
রাঁধুনি তারকাদের রান্নায় গাছগাছালির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে৷ তাই ইয়োহানেস নিজেই বাগান তৈরি করেছেন৷ সেখানে ব্রকলি, বাঁধা কপি, গোলাপ ইত্যাদির চাষ হয়৷ বিশেষ করে জুল্ট দ্বীপে বন্য গোলাপ ভালো জন্মে৷
ইয়ান-ফিলিপ ব্যার্নার বলেন, ‘‘সারাবছর আমরা যত খাবার তৈরি করি তার প্রায় সবগুলোতে অন্তত একবার গোলাপের পাঁপড়ি ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়৷’’
দ্বীপের কোথায় কী আছে সে সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আর ভালো কিছু করার ইচ্ছা – এ সব কারণে ইয়োহানেস কিং ও ইয়ান-ফিলিপ ব্যার্নার জার্মানির ‘শেফ অফ দ্য ইয়ার ২০১৯’ খেতাব জিতেছেন৷
সুজানে ডাউস/জেডএইচ
২০১৭ সালের মে মাসের ছবিঘরটি দেখুন...
রান্নাবান্নার রাজধানী বার্লিন
ডয়চে ভেলের ‘৫০ ধরনের রান্না, একটি শহর’ পর্যায়ে বার্লিনের ৫০টি রেস্টুরেন্টের ৫০টি দেশ থেকে আগত ৫০ জন ‘শেফ’-এর ৫০টি রেসিপি পরিবেশন করা হয়েছে৷
ছবি: DW/Holger Talinski
মিশর থেকে ভিয়েতনাম
ইংরেজি-জার্মান দু’টি ভাষায় ছাপা ‘ফিফটি কিচেনস, ওয়ান সিটি’ বইটিতে বার্লিনের রেস্টুরেন্টগুলির বহুজাতিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে৷ মিশর থেকে ভিয়েতনাম অবধি নানা দেশের রন্ধনশিল্পীরা তাদের বিচিত্র সব রেসিপির কথা জানিয়েছেন৷
ছবি: DW/Holger Talinski
৫০টি দেশ থেকে আসা ৫০ রকমের রান্না
তার মধ্যে দক্ষিণ ভারতীয় রেস্টুরেন্ট ‘চাটনিফাই’-এর ডোসাও আছে৷ প্রত্যেক রেসিপির নীচে যে কিউআর কোড আছে, স্মার্টফোন দিয়ে তা স্ক্যান করলে সরাসরি ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে পৌঁছে সংশ্লিষ্ট ভিডিওটি দেখা যাবে৷
ছবি: Lena Ganssmann
চেখে দেখতে পারেন
‘দাও বাই মেও’ রেস্টুরেন্টে প্রতিনা ক্রসের রান্না করা থাই কারিই হোক, আর ‘বাস্ক কান্ট্রি’ রেস্টুরেন্টের সুইশ ভিল স্টু-ই হোক, এই সব রেসিপি আর রান্নার ভিডিও দেখলে জিভে জল আসতে বাধ্য৷
ছবি: Lena Ganssmann
আকাশে রান্নাঘর
বার্লিনের ‘স্কাইকিচেন’ রেস্টুরেন্টে মিশেলিনের তারকা পাওয়া শেফ আলেক্সান্ডার কপে এ ধরনের অতি সৌখিন খানা প্রস্তুত করে থাকেন: ফুলকপির সাথে পোচ করা ডিমের কুসুম৷ রেস্টুরেন্টটি থেকে বার্লিনের প্যানোরামা উপভোগ করা যায়৷
ছবি: Lena Ganssmann
সারা বিশ্বের খানা আর রেসিপি
জুন মাসের ৯ তারিখ থেকে ডয়চে ভেলের লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ইউরোম্যাক্সে বইয়ের টিভি ইনস্টলমেন্টগুলি দেখা যাবে৷ বার্লিনে ১৮০টির বেশি দেশের মানুষের বাস৷ তাদের অনেকেই নাইজেরিয়ার ফ্র্যাঙ্ক অনিয়াংবে-র মতো রেস্টুরেন্ট খুলে স্বদেশের খানা পরিবেশন করে থাকেন৷
ছবি: Lena Ganssmann
ধাপে ধাপে রান্না
বইয়ের ৫০টি রেসিপির প্রতিটি সংশ্লিষ্ট ওয়েবপেজের সঙ্গে যুক্ত: www.dw.com/50kitchens, এই ঠিকানায়৷ সেখানে রান্না, রেস্টুরেন্ট, কোন দেশের খাবার, এসব খবর আর ধাপে ধাপে রান্নার পদ্ধতি ও তার ভিডিও পাওয়া যাবে৷
ছবি: Lena Ganssmann
রাস্তার খানা থেকে রেস্টুরেন্টের খানা
এটাই হল বার্লিনের মজা: এই শহরের খাদ্যরসিকরা শুধু পাঁচতারা শেফদের রান্না খেয়ে মুগ্ধ হন না, তারা চান বৈচিত্র্য ও রোমাঞ্চ৷ তাই মিশরের জাতীয় খাবার কুশারি এখানে ভালোই চলে৷