আগামী সাধারণ নির্বাচনে জার্মানদের কাছে কোন কোন বিষয় সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে, এ সব বিষয়ে তারা কী ভাবছে, পাঠক-দর্শক-শ্রোতাদের তা জানাতে বিশেষ আয়োজন করেছে ডয়চে ভেলে৷
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনকে সামনে রেখে দুজন রিপোর্টার ৬টি বিষয়ে দেশের নানা প্রান্তে পথে পথে ঘুরে সাধারণ মানুষের মনোভাব জানবেন৷ একটি সুনির্দিষ্ট স্থানে এক সপ্তাহ ধরে তারা থাকবেন, কথা বলবেন সেখানকার মানুষের সঙ্গে৷ এরপর তা জানাবেন সকলকে৷
এই নির্বাচন কভারেজের জন্য #GermanyDecides এবং #Deutschlandwählt নামে দুটি হ্যাশট্যাগ ঠিক করা হয়েছে৷
ডয়চে ভেলের দুইজন প্রতিবেদক সুমি সমাস্কান্দা এবং নিনা হাসে তাদের ৬ সপ্তাহের এই ‘রিপোর্টিং ট্রিপ’ ১২ জুন বার্লিন থেকে শুরু হচ্ছে৷
ফল্কসভাগেন বাসে করে সেখান থেকে তারা যাবেন স্যাক্সনি অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ড্রেসডেনে৷ ২৪ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনকে কোন কোন বিষয় প্রভাবিত করতে পারে, তান নিয়ে তারা একটা আলাপ শুরু করতে চান৷ সেখানে জার্মানি সম্পর্কে আসা প্রশ্নেরও জবাব দেবেন৷
জার্মানির জাতীয় নির্বাচন ২০১৭: কবে, কী হচ্ছে
তিনটি রাজ্যে নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৭ সালে৷ চলুন জেনে নেই জাতীয় নির্বাচনের টাইমলাইন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
জার্মানির বড় নির্বাচনের বছর
জার্মানিতে চলতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে একের পর এক নির্বাচন৷ একদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন, অন্যদিকে পপুলিস্ট পার্টি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) অভিবাসীবিরোধী অবস্থানের কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চিত যে, ২০১৭ সালের শেষে জার্মানির রাজনৈতিক অবস্থা এখনকার মতো থাকবে না৷
ছবি: Getty Images
জুন ১৯: দলের মনোনয়ন জমা দেয়ার দিন ছিল
জার্মানির সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল জুন ১৯৷ সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আগ্রহী দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আবেদন জানাতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
জুলাই ৭: কোন কোন দল লড়ছে?
সংসদ নির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নিতে পারবে তা ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ যদি কোন দল নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে পরবর্তী চারদিনের মধ্যে জার্মানির সাংবিধানিক আদালতে নালিশ করতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
জুলাই ১৭: কারা কারা থাকছেন?
চলতি বছরের ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কোন কোন প্রার্থী কোন কোন এলাকায় লড়বেন, তা চূড়ান্ত করতে হবে৷ জার্মানিতে একসঙ্গে দু’টি ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ প্রথমটি প্রার্থীকে, দ্বিতীয়টি দলকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
জুলাই ২৭: ব্যালটে নাম উঠানোর লড়াই
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে সাংবিধানিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাদের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ ২০১৩ সালে এই পন্থা চালু করা হয়েছিল৷ সেবছর এগারোটি দল আদালতের স্মরণাপন্ন হলেও কেউই মামলা জেতেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Steinberg
আগস্ট ১৩: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা
জার্মানিতে নির্বাচন শুরুর ছয় সপ্তাহ আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিক প্রচারণার পোস্টার বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে না৷ চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর তারিখ ১৩ আগস্ট৷ এই দিন থেকে দলগুলো তাদের প্রচারণায় কোনো ঘাটতি রাখবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
আগস্ট ২০: কে ভোট দিতে পারবেন?
নির্বাচনের মাসখানেক আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তালিকা চূড়ান্ত হবে৷ ভোটার লিস্ট ঘোষণা করবে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ৷ জার্মানিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি যে কোনো জার্মান নাগরিক ভোট দিতে পারবেন৷ সে হিসেবে চলতি বছর ভোটারের সংখ্যা সাড়ে ৬১ মিলিয়ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K.-D. Gabbert
সেপ্টেম্বর ৩: তিন সপ্তাহ বাকি
এই সময়ের মধ্যে সকল ভোটার পোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে ভোট দেয়ার সার্টিফিকেট পাবেন৷ যারা তখন অবধি ভোটার লিস্টে নিজেদের নাম পাননি, তারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন৷ আর যারা পোস্টের মাধ্যমে ভোট দিতে চান, তারা ব্যালট পেপার চাইতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
সেপ্টেম্বর ২৪: নির্বাচনের দিন
অবশেষে সেই মহেন্দ্রক্ষণ৷ জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ সেপ্টেম্বর৷ সেদিন সকাল আটটায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত৷ ভোটগণনা সেদিনই শেষ হবে এবং নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ রাতে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেপ্টেম্বর ২৫: বিজয়ী এবং বিজিত
সকল প্রতিনিধি এবং দলগত ভোট গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেয়া হবে ২৫ সেপ্টেম্বর৷ যদি কোনো প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জিততে ব্যর্থ হন, তা সত্ত্বেও দলগত জয়ের কারণে তিনি সংসদে একটি আসন পেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
অক্টোবর ২৪: নতুন সাংসদরা সংসদে
নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে নতুন সাংসদদের সংসদে মিলিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে৷ এ বছর সেই দিনটি হচ্ছে অক্টোবর ২৪৷ সেদিন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর নির্বাচিত হবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নভেম্বর ২৪: সবকিছু কি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে?
যদি কেউ জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে তার হাতে সময় থাকে নির্বাচন পরবর্তী দুই মাস৷ ভোটাররাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে কেউ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার রাখেন এই সময়ের মধ্যে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
12 ছবি1 | 12
‘ছয় শহর, ছয় প্রশ্ন’
কোন দিকে যাচ্ছে জার্মানি? রাজধানী বার্লিনে এই প্রশ্নের জবাব খোঁজা হবে৷
জার্মানিতে ডানপন্থি রাজনীতি কতটা শক্তিশালী? ড্রেসডেন এবং এর আশেপাশের এলাকায় এই প্রশ্নের জবাব খোঁজা হবে৷ সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানিতে গড়ে উঠা ডানপন্থি পেগিডা আন্দোলন কেন্দ্রীভূত হয়েছে এই শহরেই৷
উদ্বাস্তুদেরকে কি এখনো স্বাগত জানানো হয়? ভেগশাইডসহ বাভারিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এই প্রশ্ন ধরে অনুসন্ধান চলবে৷ বাভারিয়া রাজ্যে সামাজিক রক্ষণশীলতা বেশি৷ এই রাজ্যভিত্তিক দল খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়নের (সিএসইউ) চাপেই ক্ষমতাসীন সরকারকে উদ্বাস্তু নীতিতে কঠোরতা আনতে হয়েছে বলে মনে করা হয়৷
জার্মান অর্থনীতি কি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত? বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ রাজ্যের রাজধানী স্টুটগার্ট এবং আশপাশের এলাকায় এই প্রশ্ন ধরে কাজ হবে৷ এই জায়গাটি নির্মাণ শিল্পের জন্য বিখ্যাত৷
ইসলাম কি জার্মানিকে বদলে দিচ্ছে? জার্মানির দুই হাজার বছরের পুরাতন শহর কোলন এবং আশপাশের এলাকায় এই অনুসন্ধান চালানো হবে৷ কোলনকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মনে করা হয়৷
জার্মানিতে সমতা ও স্বচ্ছতা কতটা রয়েছে? বাণিজ্যিক ও শিল্প শহর ব্রেমেনে এই অনুসন্ধান চালানো হবে৷
জার্মানির মানুষ এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোই টিভি এবং অনলাইন-উভয়ক্ষেত্রে মনোযোগের কেন্দ্রে থাকবে৷ রাজনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কনটেক্সট দেয়া হবে৷
এই ‘সুপার ইলেকশন ইয়ারে’ প্রতিবেদকরা এমন বিষয়েও দৃষ্টি দেবেন, যেগুলো সাধারণত আড়ালে থেকে যায়৷ সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন নির্বাচন এবং ব্রিটেনের ব্রেক্সিট গণভোটের মাধ্যমে বোঝা গিয়েছিলো যে, বড় শহরগুলোর বাইরে মানুষের মানসিকতা বোঝা ও তুলে ধরা গণমাধ্যমের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ৷
টুইটার, ফেসবুক (লাইভ), ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় যে কেউ রিপোর্টারদেরকে ফলো করতে পারেন৷ তাদের অনুসন্ধানের ফলাফল অনলাইন এবং টিভিতেও পাওয়া যাবে৷
জার্মানির যে সাত রাজনৈতিক দলের নামও শোনেননি আপনি
জার্মানরা শুধু সিডিইউ বা এসপিডি নয়, কিছু ছোট এবং বিরল দলকেও ভোট দিতে পারে৷ এই যেমন, প্রাণী সুরক্ষা পার্টি কিংবা মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি৷ ভাবছেন, এরা কারা? চলুন দেখে নিই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
প্রাণী সুরক্ষা দল
জার্মানিতে প্রাণী অধিকার বিষয়ক অ্যাক্টিভিস্টরা সুযোগ পেলে পুরো হাইওয়ে বন্ধ করে দেন যাতে ব্যাঙেরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারে৷ এমন দেশে তাই ‘অ্যানিমেল প্রোটেকশন পার্টি’ বা প্রাণী সুরক্ষা দল থাকবে না, তা কি হতে পারে? তবে গ্রিন পার্টির কারণে এ দলের পালে হাওয়া কম থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
দ্য রিপাবলিকানস
ব্যাপারটা কিছুটা বিভ্রান্তিকর৷ জার্মানির রয়েছে নিজস্ব রিপাবলিকান পার্টি, নাম আরইপি৷ তবে এই দলের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই৷ জার্মান রিপাবলিকনরা হচ্ছেন ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী, যারা নিজেদের ‘রক্ষণশীল দেশপ্রেমিক’ এবং দেশের ‘সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয়’ রক্ষায় লড়াইরত বলে মনে করেন৷
ছবি: DW
দ্য পার্টি
হ্যাঁ, এই দলের নাম ‘দ্য পার্টি’৷ জার্মানির স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘টাইটানিক’ এর সম্পাদকরা ২০০৪ সালে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ দলটির প্রধান হচ্ছেন মার্টিন স্যোনেবর্ন (ছবিতে)৷ ২০১৪ সালে তিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে দলটির জন্য একটি আসন নিশ্চিত করেন৷ ভবিষ্যতে দলটির অবস্থা আরো ভালো হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/Sven Simon/M. Ossowski
গণভোট দল
জার্মানির রেফারেন্ডাম পার্টি বা গণভোট দলের কাছে সুইজারল্যান্ড এক বিশাল অনুপ্রেরণা৷ দলটি চায় দেশের সব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গনভোটের মাধ্যমে জনগণ নেবে৷ সুইজারল্যান্ডে ২০১৬ সালে তেরোটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি
জার্মানির এমএলপিডি একটি ছোট দল, যদিও দেশটির অর্ধেক মানুষ এক সময় কমিউনিস্ট ছিলেন৷ মানে ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৯ সাল অবধি যখন জার্মানি দুই ভাগে বিভক্ত ছিল৷ তৎকালীন পূর্ব জার্মানি তখন শাসন করেছিল সোশ্যালিস্ট ইউনিটি পার্টি৷ বর্তমানে উগ্র বামপন্থি এমএলপিডি’র জার্মান রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Link
ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি
‘অ্যালায়েন্স সি - ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি’ একটি ক্রিশ্চিয়ান পার্টি, যেটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে৷ খ্রিষ্টান-মৌলবাদীদের একটি দল এবং শ্রমিক, পরিবেশ এবং পরিবারভিত্তিক একটি দল একত্র হয়ে এই দল গড়ে৷ বাইবেলের মান রক্ষা করে দেশ পরিচালনা করতে চায় এই দল৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. MacDougall
6 ছবি1 | 6
যে দুই প্রতিবেদক ঘুরবেন দেশজুড়ে
সুমি সমাস্কান্দা ২০১১ সাল থেকে ডয়চে ভেলে ইংরেজি বিভাগের উপস্থাপক হিসাবে কাজ করছেন৷ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অনলাইন এবং টিভিতে তাঁর বহু বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণকারী এই সাংবাদিক শিকাগোতে পড়াশোনা করেন৷ কর্মজীবন শুরু করেন সান ফ্রান্সিসকোতে৷ বশ কোম্পানির ফেলোশিপে কাজ করতে এসে তিনি জার্মানিতে থেকে যান৷ ৯ বছর যাবত তিনি বার্লিনে বাস করছেন৷
তিনি বলেন, ৮০ মিলিয়নের বেশি মানুষের জার্মানি তাঁর ব্যাপক বৈচিত্র্য দিয়ে সব সময়ই আমাকে বিস্মিত করেছে৷ এই বৈচিত্র্য কেবল ভৌগলিকভাবেই নয়, বরং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত দিক থেকেও৷ জার্মানির এপার-ওপার, উত্তর থেকে দক্ষিণে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে আমি ভোটারদের সাথে কথা বলতে যাবো৷
এই যাত্রা কেন গুরুত্বপূর্ণ-এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনকে ঘিরে জার্মানদের বিভিন্ন ধারা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে জার্মানদের বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে৷ আসলেই সেটা হয়েছ কি-না, হলে কেন হয়েছে? কোন কোন ইস্যুগুলো আগামী সেপ্টেম্বরের নির্বাচনকে তাড়না দেবে? জাতীয় পর্যায়ে যেমনি এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বৈশ্বিক ক্ষেত্রেও এটা সত্য৷ পথে ঘাটে ঘুরে প্রতিবেদন সংগ্রহে এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না৷
নিনা হাসে ২০০৫ সাল থেকে ডয়চে ভেলের ইংরেজি এবং জার্মান সংস্করণে প্রতিবেদক, সম্পাদক, অনলাইন লেখক এবং উপস্থাপক হিসাবে কাজ করছেন৷ তিনি জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন৷ দেশের রাজনৈতিক অবস্থা কতটা স্থিতিশীল রয়েছে – এই যাত্রায় এটা তার মূল জিজ্ঞাসা৷
তিনি বলেন, সব জায়গায় রাজনৈতিক চালচিত্র বদলে যাচ্ছে৷ প্রশ্নের মুখে পড়ছে পুরাতন জোটগুলো৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন এবং ব্রেক্সিট গণভোটে দেখা গেছে, প্রথাবিরোধী বক্তব্য দিয়ে রাজনীতিকরা জিতে যাচ্ছেন৷ অন্যদিকে জার্মানির মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলো পশ্চিমা মূল্যবোধকে বহন করে চলেছেন৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেল বিদেশী গণমাধ্যমের দৃষ্টিতে বিশ্বনেতা বনে গেছেন৷ তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এসপিডির মার্টিন শুলৎস৷
তিনি বলেন, তবে একের পর এক প্রাদেশিক নির্বাচনে জার্মানির জন্য বিকল্প (এএফডি) দলটি আসন পেয়ে চলছে৷ জার্মানিতে আসলে কতটা অসন্তোষ রয়েছে? মাঠে নেমে মানুষের সাথে কথা বললেই এর সবচেয়ে ভালো জবাব পাওয়া যাবে৷