1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছোট দলগুলির অবস্থান

কাই আলেক্সান্ডার শলস/আরবি৩১ আগস্ট ২০১৩

জার্মানির আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনে বরাবরের মতো এবারও বেশ কিছু অল্প পরিচিত ও নাম না জানা ছোট ছোট দল অংশ করবে৷ তবে সংসদে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা তাদের খুব কম৷

ছবি: picture-alliance/dpa

এবারের সংসদীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ৩৯টি দল অনুমোদন পেয়েছে৷ তবে পার্লামেন্টে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা হাতে গোণা বড় কয়েকটি দলেরই রয়েছে৷ জার্মানির আইন অনুযায়ী পাঁচ শতাংশ ভোট না পেলে সংসদের বেড়া ডিঙাতে পারে না কোনো দল৷

এক সময়ের ছোট দল, সবুজ দল ও বামদল

সবশেষে এই সাফল্য দেখাতে পেরেছিল ১৯৯৮ সালে সাবেক পূর্ব জার্মানির শেকড় থেকে উঠে আসা ডি লিংকে বা বামদল৷ পার হতে পেরেছিল পাঁচ শতাংশের বাধা৷

১৯৮৩ সালে সবুজ দল প্রথমবারের মতো সংসদে আসন পেয়েছিল৷ সেই সময় বেশ সাড়া জাগিয়েছিল ঘটনাটি৷ জার্মানিতে রাজনৈতিক জগতের চালচিত্র অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটা স্থিতিশীল৷ এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কার্ল রুডল্ফ কর্টে বলেন, ‘‘জার্মানিতে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে মধ্যপন্থার প্রতি ঝোঁক দেখা যায়৷ প্রতিষ্ঠিত দলগুলির কর্মসূচিতে পার্থক্য খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না৷'' এদিক দিয়ে অন্যান্য দেশে বেশ বৈচিত্র্য রয়েছে৷ জার্মানি রাজনৈতিক দিক দিয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকলেও ভোটারদের কাছে তা কিছুটা নিস্প্রাণ ও একঘেয়ে হয়ে ওঠে৷ আর এক্ষেত্রে ছোট পার্টিগুলি লাভবান হতে পারে৷

পিরাট পার্টি স্ফূলিঙ্গের মতোই জ্বলে উঠেছিল রাজনৈতিক অঙ্গনে, কিন্তু ২০১২ সালের শেষ দিকে তাদের আবার ধস নামেছবি: picture-alliance/dpa

নতুন দুটি রাজনৈতিক দল সাড়া জাগিয়েছে

ইদানীং দুটি নতুন রাজনৈতিক দল মানুষের কিছুটা মনোযোগ কেড়েছে৷ একটি হলো কিছুটা বামঘেঁষা পিরাট পার্টি৷ আরেকটি হলো দক্ষিণপন্থি দল ‘আল্টারনাটিভ ফ্যুর ডয়চলান্ড' বা জার্মানির জন্য বিকল্প, সংক্ষেপে এএফডি৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের ইউরো রক্ষা রাজনীতির প্রতিবাদে রক্ষণশীল ঘরানা থেকে উৎপত্তি হয়েছে এই দলটির৷

পিরাট দল গঠিত হয়েছে ২০০৬ সালে৷ ইতোমধ্যে চারটি রাজ্য সভায় আসন পেয়েছে দলটি৷ সারা জার্মানিতে ৩১০০০ সদস্য রয়েছে পিরাটদের৷ এএফডি এবছরের ফেব্রুয়ারিতে আত্মপ্রকাশ করেছে৷ সদস্যের সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৫০০০ দাঁড়িয়েছে৷ এরমধ্যে সিডিইউ সিএসইউ ও এফডিপি থেকে বের হয়ে আসা সদস্যও রয়েছেন৷ এই দুটি পার্টিই জার্মানির ১৬টি রাজ্যেই নিজস্ব লিস্ট নিয়ে দাঁড়াবে৷ এইভাবে সারা দেশেই বিস্তৃত হয়েছে দলদুটি৷ সিডিইউ/সিএসইউ, এসপিডি, এফডিপি, সবুজদল ও বামদলের পাশাপাশি ছোটদলগুলির মধ্যে আরো রয়েছে চরম দক্ষিণপন্থি এনডিপি, কমিউনিস্ট পার্টি এমএলপিডি এবং মুক্ত ভোটারদের নাগরিক সংঘ৷

জরিপের ফলাফল সবসময় সঠিক হয় না

জরিপের ফলাফল যাই হোক না কেন পিরাট ও এএফডি পার্টির সংসদে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ নির্বাচনের জরিপের জন্য সাধারণত ল্যান্ডফোনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ অল্পবয়সিদের মধ্যে অনেকেই আবার শুধু মোবাইল ফোন রাখে৷ জরিপের জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ হয়নি৷

অন্যদিকে এএফডি-এর ভোটাররা প্রতিষ্ঠিত পার্টি থেকে বের হয়ে আসা প্রতিবাদী এক দলকে ভোট দেওয়ার কথা টেলিফোনে জানাতে চান না৷ গোপন ব্যালট বাক্সে ক্রস চিহ্নটি দেওয়ার ব্যাপারে অবশ্য তাঁদের এই আড়ষ্টতা থাকে না৷

‘আল্টারনাটিভ ফ্যুর ডয়চলান্ড' বা জার্মানির জন্য বিকল্প দলের জন্ম এই ফেব্রুয়ারিতেছবি: picture-alliance/dpa

প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলি নড়েচড়ে ওঠে

প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলি নতুন দল দুটির উঠে আসাকে খুব ভালো চোখে দেখে না৷ কেননা এই দুটি দল সংসদে পাঁচ দলের ফ্র্যাকশনকে দুরূহ করে তুলতে পারে৷

২০১২ সাল পিরাটদের ঊর্ধ্বগতি দেখে ইন্টারনেটের ব্যাপারে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলি৷ অন্যদিকে এএফডির মূল ইস্যু ইউরো সংকটকে বাইরে রাখার চেষ্টা করছে রক্ষণশীল ঘরানার দলগুলি৷ এএফডির প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র ব্যার্নড লুকে এক সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন যে, তাদের দল শুধু একটি মাত্র বিষয়কে নিয়েই গড়ে ওঠেনি৷ এই ধরনের ইমেজ ভোটার ও মিডিয়ার কাছে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করে৷ তাই তাড়াহুড়া করে এক পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি উপস্থাপন করে দলটি৷ যাতে জ্বালানিশক্তি, স্বাস্থ্য ও প্রতিরক্ষাকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে৷ কিন্তু ইউরো রক্ষার মতো এই বিষয়গুলিতেও সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার একটা আভাস লক্ষ্য করা যায়৷ তাই মিডিয়াতে এইসব বিষয়ও তেমন সাড়া জাগায়নি৷ ব্যার্নড লুকে অবশ্য স্বীকার করেন যে মাত্র জার্মানির মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ তাদের দলের কথা শুনেছে৷ তাই রাস্তাঘাটে জোরেসোরে নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে নিজেদের পরিচিতি বাড়াতে চায় এখন এএফডি৷ কিন্তু ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের মতো জার্মানিতে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করে তেমন সাফল্য দেখাতে পারেনি কোনো রাজনৈতিক দল৷ এমনকি রক্ষণশীল ঘরানার গণমাধ্যমগুলিও এইসব দল সম্পর্কে সমালোচনার সুরে কথা বলে৷

পিরাটদের ইমেজে ভাটা

পিরাট পার্টি স্ফূলিঙ্গের মতোই জ্বলে উঠেছিল রাজনৈতিক অঙ্গনে৷ কিন্তু ২০১২ সালের শেষ দিকে তাদের আবার ধস নামে৷ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ঝগড়া বিবাদে একটা নেতিবাচক চিত্রই উঠে আসে মানুষের কাছে৷ ফলে ভোটারদের আস্থাও অনেকাংশে হারিয়ে ফেলে এই দল৷ তাই বিষয়ভিত্তিক পার্টি থেকে পূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার সম্ভাবনা পিরাটদের জন্য সুদূরপরাহত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ