1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনে প্রিজম কেলেংকারি

১৫ জুলাই ২০১৩

সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখে জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ জরিপ বলছে, বর্তমান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল হয়ত তাঁর পদে থেকে যাবেন৷ তবে তাঁকে কিছুটা হলেও সমস্যায় ফেলেছেন সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা এডোয়ার্ড স্নোডেন৷

Bundeskanzlerin Angela Merkel (CDU) kommt am 14.07.2013 in Berlin zum ARD-Sommerinterview mit Ulrich Deppendorf und Rainald Becker. Foto: Soeren Stache/dpa
ছবি: picture-alliance/dpa

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) এবং অন্যান্য সংস্থা অনলাইন ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি করছে, এমন তথ্য ফাঁস করে সম্প্রতি হৈচৈ ফেলে দেন স্নোডেন৷

মার্কিন গোয়েন্দারা নিজ দেশের নাগরিক ছাড়াও জার্মানি সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দপ্তর ও নাগরিকদের উপরও নজরদারি করছে বলে জানা যায়৷ অথচ জার্মানির তিন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানত না৷ যদিও জার্মানির সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা ‘বিল্ড আম জনটাগ' এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জার্মানির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অনেক বছর ধরেই এনএসএ-র গোয়েন্দাগিরি সম্পর্কে অবহিত ছিল৷

এডোয়ার্ড স্নোডেনছবি: Reuters

এসব খবর প্রকাশের পর জার্মানিতে আলোচনার ঝড় ওঠে৷ বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরা ম্যার্কেল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠেন৷ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদে ম্যার্কেলের প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়ার স্টাইনব্রুক ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘জার্মান নাগরিকদের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানোর শপথ নিয়েছিলেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ এখন দেখা যাচ্ছে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে৷''

এসব ব্যাপারে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এআরডি-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করে নেন যে, মার্কিন গোয়েন্দাদের কাজের প্রক্রিয়া হয়ত জার্মান আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে৷ ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র যেন জার্মানির মাটিতে তথ্য সংগ্রহের সময় জার্মান আইন না ভাঙে, সে আশা প্রকাশ করেন তিনি৷

এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের আরও সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে তিনি একটি আইন করারও প্রস্তাব দেন৷ তিনি বলেন, জার্মানিতে তথ্য সুরক্ষার যে আইন রয়েছে, সেটা বেশ শক্তিশালী৷ কিন্তু কোনো জার্মান নাগরিক যদি এমন কোনো ওয়েবসাইট ব্যবহার করে যেটা জার্মানিতে নিবন্ধিত নয় তাহলে ঐ ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে কিছু করার ক্ষমতা সীমিত৷ তাই একটা সমন্বিত আইন প্রয়োজন৷ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ধরুন, ফেসবুক যদি আয়ারল্যান্ডে নিবন্ধিত থাকে তাহলে তার ক্ষেত্রে সেখানকার আইন প্রযোজ্য হবে৷''

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ