গেল জুন মাসে জার্মানি গণপরিবহণগুলোর জন্য সম্প্রতি ৯-ইউরো টিকিট চালু করেছে৷ এই টিকিট কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে?
ছবি: Christoph Soeder/dpa/picture alliance
বিজ্ঞাপন
জার্মানির বর্তমান সরকার সম্প্রতি দেশব্যাপী ব্যাপক ছাড়ে একটি টিকিট চালু করেছে৷ এটি ৯-ইউরো টিকিট নামে পরিচিত৷ জুন, জুলাই ও আগষ্ট মাসের জন্য এই টিকিটটি পরীক্ষামূলকভাবে ছাড়া হয়৷ প্রতিটি টিকিটের মেয়াদ এক মাস৷ দাম ৯ ইউরো বা প্রায় ৯০০ টাকা৷ এই এক মাসের জন্য সমস্ত গণপরিবহণে একটি টিকিটেই চলাফেরা করা যাবে৷ তবে সবচেয়ে দ্রুতগামীর ট্রেন আইসিই ও আইসিতে এই টিকিট কার্যকর হবে না৷
মূল লক্ষ্য ছিল, জার্মানির অধিবাসীদের গণপরিবহণ ব্যবহারে আগ্রহী করা৷ টিকিট চালুর পর এক মাস পার হয়েছে৷ কতটা কার্যকর হল এই টিকিট?
ট্রেনেবাড়তিচাপ
অনেকে ধারণা করেছিলেন, এতে আঞ্চলিক ট্রেনগুলোর ওপর চাপ বাড়বে৷ হয়েছেও তাই৷ জুনের ছুটিতে দেখা গেছে, পর্যটকদের প্রিয় বাল্টিক ও নর্দ সি উপকূলগামী ট্রেনগুলোতে উপচে পড়া ভিড়৷ এতটাই ভিড় ছিল যে, ট্রেনগুলোর গতিপথ পরিবর্তন করে দিতে হয়েছে৷ মানুষেরই জায়গা হচ্ছিল না, তাই কোন বাইসাইকেল পরিবহণ বন্ধ করে দেয়া হয়৷
বার্লিন ও ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যেও ‘হুইটসন' ছুটিতে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ দেখা গেছে৷
স্টাফসংকট
সুলভে টিকিট পেয়ে অনেকেই ভ্রমণ করছেন, যারা হয়তো অন্য সময় এতটা ভ্রমণ করতেন না৷ ট্রেন স্টেশনে এই অনিয়মিত যাত্রীদের বাড়তি সেবার প্রয়োজন পড়ে৷ কারণ তারা তাদের স্টেশন কোনটি, প্লাটফর্ম কোনটি এসব অনেক কিছুই বুঝতে পারেন না৷ সে কারণে ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়৷ এমনকি অনিয়মিত যাত্রীদের চাপের কারণে দেরি হয় নিয়মিতদেরও৷ এত লোককে সামাল দেয়া কষ্ট হয়ে যায় স্টাফদের জন্য৷ ভবিষ্যতে স্টাফ সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
৯ ইউরোর টিকিটে ঘোরার জন্য জার্মানির সবচেয়ে সুন্দর কয়েকটি রুট
জার্মানিতে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসে ৯ ইউরো বা সাড়ে আটশ টাকা দিয়ে একটি টিকিট কেনা যাবে৷ এই টিকিটে ট্রেনে করে জার্মানির যে কোনো জায়গায় যাওয়া যাবে৷
ছবি: Peter Schickert/picture alliance
ব্ল্যাক ফরেস্ট
এটি সম্ভবত জার্মানির ট্রেন ভ্রমণের ইতিহাসে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অফার৷ মাত্র ৯ ইউরো বা সাড়ে আটশ টাকা খরচ করে কেনা টিকিট দিয়ে পুরো এক মাস ট্রেনে (দ্রুতগামী ট্রেন ছাড়া) করে জার্মানির যে কোনো জায়গায় যাওয়া যাবে৷ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির বাড়তি খরচ সামাল দিতে সরকার এই অফার নিয়ে এসেছে৷ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ব্ল্যাক ফরেস্ট রুটে ঘুরে আসা যেতে পারে৷
ছবি: Jürgen Wiesler/Zoonar/picture alliance
আপার মিডল রাইন
বিঙেন, ব়্যুডেসহাইম ও কোবলেনৎসের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া এই রুটে চলার সময় ট্রেনের জানালা দিয়ে দুর্গ আর মনোরম সব গ্রাম দেখা যাবে৷ আরও চোখে পড়বে আঙুর খেত৷
ছবি: Peter Schickert/picture alliance
মোজেল রিভার রুট
কোবলেনৎস শহরে রাইন ও মোজেল নদী একসঙ্গে মিশেছে৷ জার্মান ট্রেন সংস্থা ডয়চে বানের মোজল রুট শুরু হয়ে কোবলেনৎস থেকে৷ শেষ হয় কার্ল মার্ক্সের জন্মভূমি ট্রিয়ারে গিয়ে৷ পথে পড়বে কখেমের মতো অসাধারণ সুন্দর গ্রাম৷ আঙুর ক্ষেত আর দুর্গতো আছেই৷ মন চাইলে কোথাও নেমে ওয়াইনের স্বাদও গ্রহণ করা যেতে পারে৷
ছবি: Peter Schickert/picture alliance
স্টুটগার্ট-লিন্ডাও
জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ড সীমান্তে অবস্থিত লেক কন্সটান্সের জার্মান অংশের দ্বীপ শহর লিন্ডাও৷ স্টুটগার্ট থেকে আরই৫ ট্রেনে চড়ে সেখানে যাওয়া যায়৷ চলতি পথে বুনো ফুলের অবারিত মাঠ আর প্রকৃতি এবং আল্পসের দৃশ্য দেখে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে৷
ছবি: Werner Thoma/Zoonar/picture alliance
মিউনিখ-জালৎসবুর্গ
জার্মানির মিউনিখ থেকে যাত্রা শুরু করে ৯ ইউরোর টিকিট দিয়ে আপনি চলে যেতে পারবেন অস্ট্রিয়ায় মোৎসার্টের জন্মভূমি জালৎসবুর্গে৷
ছবি: fabio lotti/Zoonar/picture alliance
হামবুর্গ-জ্যুলট
জার্মানির অন্যতম আকর্ষণীয় দ্বীপ জ্যুলট৷ হামবুর্গের আলটোনা থেকে আরই৬ ট্রেনে চেপে চার ঘণ্টারও কম সময়ে সরাসরি জ্যুলটে চলে যাওয়া যায়৷
ছবি: Axel Heimken/dpa/picture alliance
ড্রেসডেন-ডিয়েচিন, চেক প্রজাতন্ত্র
ড্রেসডেন থেকে শুরু করে যেতে পারেন বাড শান্ডাও পর্যন্ত৷ বেশিরভাগ পথই এলবে নদীর ধার ঘেঁষে চলে গেছে৷ এছাড়া দেখতে পাবেন অদ্ভুত গঠনের স্যান্ডস্টোনের পাহাড়৷ স্যাক্সোন সুইজারল্যান্ড জাতীয় পার্কের জার্মান অংশে হাইকিংয়ের জন্য হাইকাররা বাড শান্ডাও থেকে যাত্রা শুরু করেন৷ চাইলে বাড শান্ডাও থেকে চেক প্রজাতন্ত্রের ডিয়েচিন পর্যন্ত চলে যাওয়া যাবে৷ সেখানে আছে জাতীয় পার্কের চেক অংশ- বোহেমিয়ান সুইজারল্যান্ড৷
ছবি: Michal Fludra/NurPhoto/picture alliance
গেরা-শেব, চেক প্রজাতন্ত্র
ইটের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু গ্যোলচ্স ভায়াডাক্ট দেখতে চাইলে গেরা থেকে আরবি৪ বা আরবি২-তে চড়তে পারেন৷ ট্রেন আপনাকে নিয়ে যাবে চেক প্রজাতন্ত্রের শেব পর্যন্ত৷
ছবি: Wolfgang Thieme/dpa/picture-alliance
মিউনিখ-টেগানজে লেক
আল্পসে ঘেরা জার্মানির অন্যতম যাদুময় স্থান টেগানজে লেক৷ মিউনিখ থেকে সেখানে ট্রেনে করে পৌঁছানো যাবে৷ লেকের পাড়ে অবস্থিত দুটি সুন্দর শহর হচ্ছে গুমুন্ট ও টেগানজে৷
ছবি: Matthias Balk/dpa/picture alliance
বার্লিন-বাল্টিক সাগর
বার্লিনবাসী গ্রীষ্মে বাল্টিক সাগরপাড়ের বিভিন্ন শহরে যেতে পছন্দ করেন৷ ছবিতে তেমনই একটি শহর দেখতে পাচ্ছেন, নাম স্ট্রালসুন্ড৷ তবে ডয়চে বান বলছে আগস্ট মাসে ট্রেনে ভিড়ের কারণে সাইকেল হয়ত নাও নেয়া যেতে পারে৷ তাই গন্তব্যে পৌঁছে সাইকেল ভাড়া নেয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন৷
ছবি: H. Blossey/blickwinkel/picture alliance
10 ছবি1 | 10
টিকিটবিক্রিকেমনহচ্ছে?
এখন পর্যন্ত ৯-ইউরো টিকিটের অনেক চাহিদা দেখা যাচ্ছে৷ মে মাসে যখন টিকিট ছাড়া হয়, তখন থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২.১ কোটি বিক্রি হয়েছে৷ এর বাইরে প্রায় ১ কোটি মৌসুমী টিকিটের ক্রেতাও ছাড় পেয়েছেন৷ ফলে প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে কর্তৃপক্ষের৷ জার্মানির রেল যোগাযোগ সংস্থা ডয়চে বানের হিসেবে তাদের আঞ্চলিক ট্রেনে ১০ ভাগ যাত্রী বেড়েছে৷ বার্লিন ও ব্রান্ডেনবুর্গে বেড়েছে ২৫ ভাগ৷
দেখা যাচ্ছে, যাত্রী সংখ্যা মহামারির আগের মতো হয়ে গেছে৷
কতটাকার্যকর?
অনেকেই মনে করেন, মানুষ এখন আগের চেয়ে বেশি ট্রেন ও বাস ব্যবহার করছে৷ এর অর্থ ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ কমেছে৷ বিশেষ করে বার্লিন ও ব্রান্ডেনবুর্গে এটি একটি বড় সাফল্য৷
কেউ কেউ অবশ্য একটু সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখেন একে৷ তাদের মতে, পরিবহণ মন্ত্রণালয় তিন মাসে ২.৫ বিলিয়ন ইউরো ভর্তুকি দিচ্ছে কম দামে টিকিট বিক্রির জন্য৷ কিন্তু তারা বাড়তি জনবল নিয়োগ কিংবা অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অর্থ খরচ করছে না৷ এভাবে কতটা সফল হবে এই উদ্যোগ তা এখনো বলার সময় আসেনি বলে মত তাদের৷
জার্মান ট্রেন সম্পর্কে যে দশটি বিষয় জানা উচিত
টিকিট, রিজার্ভেশন এবং ট্রেনের ধরন: জার্মানিতে ট্রেনে চলাচলে আগ্রহীদের জন্য এখানে থাকছে দশটি তথ্য বা পরামর্শ যা আপনার কাজে লাগতে পারে৷
ছবি: Deutsche Bahn AG
আপনি কি বুঝতে পারছেন?
জার্মানির ট্রেন স্টেশনগুলোতে প্রায়ই লাউডস্পিকারে নানা ঘোষণা দেয়া হয়৷ তবে, সেগুলো ট্রেন স্টেশনের অন্যান্য শব্দের কারণে অনেকসময়ই বোধগম্য হয়না৷ তাই, সেসব ঘোষণা নিয়ে বেশি ভাবার দরকার নেই৷ বরং এক্ষেত্রে একটি জনপ্রিয় জার্মান বাগধারা মনে রাখবেন, ‘‘ইস্ ফার্স্টেহে ন্যুর বানহফ’’ অর্থাৎ ‘‘আমি শুধু ট্রেন স্টেশন বুঝতে পারছি৷’’ একথার অর্থ হচ্ছে আপনি ঘোষণার অন্য কোন তথ্যই বুঝতে পারেননি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ট্রেনের নানা ধরন
জার্মানির অধিকাংশ শিশুও এটা জানে: ‘দ্য ইন্টারসিটি-এক্সপ্রেস (আইসিই)’ হচ্ছে ডয়চে বানের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন৷ এসব ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে৷ আইসিই’র পরেই অবস্থান ‘দ্য ইন্টারসিটি’ ট্রেনের৷ ঘণ্টায় দু’শো কিলোমিটার অবধি গতিতে চলা এসব ট্রেন দেখতে আইসিই’র মতো সাদা এবং লাল রংয়ের হলেও এগুলো আসলে একটু পুরনো৷ এই দুই ধরনের ট্রেন ছাড়াও রয়েছে লালরংয়ের ‘রিজিওনাল বান (আরবি)’৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Woitas
সব ট্রেন সময়মত আসে না
সময়ানুবর্তিতার জন্য জার্মানদের সুখ্যাতি থাকলেও সময়মত ট্রেন আসার বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে৷ বরং ইদানিংকালে ট্রেন দেরিতে আসার বিষয়টি নিয়ে অনেককে আলোচনা করতে দেখা যায়৷ ডয়চে বান অবশ্য দাবি করেছে, ২০১৮ সালে প্রায় ৭৫ শতাংশ ইন্টারসিটি ট্রেন সময়মত বা নির্ধারিত সময় অতিক্রম করার পাঁচ মিনিটের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Tschauner
টিকিট অপরিহার্য
জার্মানিতে ট্রেনে ওঠার আগে টিকিট কাটা হচ্ছে সাধারণ নিয়ম৷ তবে, যদি কোন কারণে আপনার স্টেশনের টিকিট ভেন্ডিং মেশিনটি কাজ না করে কিংবা টিকিট কাটার পর্যাপ্ত সময় না পান, তাহলে আইসিই বা ইন্টারসিটি ট্রেনে উঠে সঙ্গে সঙ্গে কন্ডাক্টরের কাছ থেকে টিকিট কিনতে পারেন৷ আরবিতে অবশ্য এই সুবিধা নেই৷ সেটিতে বরং টিকিট না কেটে ওঠায় জরিমানা গুনতে হতে পারে৷
ছবি: Deutsche Bahn AG/P. Castagnola
টাকা বাঁচাতে দলবদ্ধ ভ্রমণ
আঞ্চলিক ট্রেনের ক্ষেত্রে অনেক সময় পাঁচজন মিলে এক টিকিট কেটে সস্তায় ভ্রমণ করা যায়৷ একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেলে এ ধরনের টিকিট লাভজনক হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Kalaene
সাইকেল নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ কঠিন
আপনার বাইসাইকেলটি যদি ভাঁজ করা না যায়, তাহলে আইসিইতে সেটি নিয়ে চড়া বারণ৷ তবে ইন্টারসিটি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ট্রেনে একটি বিশেষ কামরা রয়েছে, যেখানে সাইকেলসহ ওঠা যায়৷ বলাবাহুল্য, জার্মানিতে গ্রীষ্মের সময় অনেকেই সাইকেল চালাতে পছন্দ করেন৷ তাই সেসময় ট্রেনে সাইকেলসহ উঠতে চাইলে একটু আগেভাগে স্টেশনে গেলে ভালো৷
ছবি: DW/Elizabeth Grenier
সিট রিজার্ভ করাও জরুরি
জার্মানিতে ট্রেনের টিকিটের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিট দেয়া থাকে না৷ দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটার পর নির্দিষ্ট সিট রিজার্ভ করতে বাড়তি টাকা গুনতে হয়৷ ট্রেনের সিটের সঙ্গে থাকা ট্যাগে সেটি রিজার্ভ করা কিনা, সে তথ্য থাকে৷ তাই সিট রিজার্ভ না করে শুধু টিকিট কেটে ট্রেনে উঠলে এমন সিটে বসাই উত্তম যেটি অন্য কেউ রিজার্ভ করেননি৷
ছবি: Deutsche Bahn AG/O. Lang
সঠিক স্থানে দাঁড়ান
ডয়চে বানের আইসিই ট্রেন ঠিক কোথায় দাঁড়াবে এবং সেটির কোন বগির অবস্থান কোথায় হবে - তা আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে৷ তাই আপনি টিকিটে উল্লেখিত বগি এবং সিট নম্বর অনুসারে প্লাটফর্মে দাঁড়ালে ট্রেন আসার পর বেশি দৌঁড়ঝাপ করতে হবে না৷
ছবি: DW/Elizabeth Grenier
ট্রেনের নানা জায়গা
আপনি কি টেবিলসহ একটি সিট চান নাকি করিডোরে সিট চান - তা সিট রিজার্ভ করার সময় ঠিক করে দিতে পারেন৷ এমনকি ট্রেনের মধ্যে এমন স্থানও আছে যেখানে বসে জোরে কিংবা ফোনে কথা বলা নিষেধ৷ তাই, সিট রিজার্ভ করার সময় এসব বিষয় খেয়াল রাখলে পরবর্তীতে সুবিধা হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/N. Schmidt
শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ করা অভিভাবকদের জন্য ডয়চে বানের আইসিই ট্রেনে রয়েছে বিশেষ কামরা৷ সেখানে শিশুরা শব্দ করলেও কোন সমস্যা নেই৷ তবে, এক্ষেত্রেও সেই কামরা আগে থেকে বুক করে রাখলে ভালো৷ পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুরা ট্রেনে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করতে পারে৷ তবে, পনেরো বছর অবধিও এই সুবিধা পাওয়া যেতে পারে যদি তাদের সঙ্গে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছেন এমন কোন অভিভাবক থাকেন৷