1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির পানি কি সিসামুক্ত?

আন্ড্রেয়াস নল/আরবি৫ ডিসেম্বর ২০১৩

বলা হয় জার্মানির পানি যেমন নিরাপদ তেমন সস্তা৷ তবে অনেক সময় পানির লাইন ও পাইপে সিসার মতো ধাতুর আধিক্য থাকায় পানিও বিষাক্ত হয়ে ওঠে৷ তাই পানীয়জলকে দূষণমুক্ত করতে সম্প্রতি জার্মানিতে একটি আইন পাস হয়েছে৷

Freizeitpark Schloss Dankern
ছবি: imago/imagebroker

এই আইন অনুযায়ী প্রতি লিটার পানিতে ১০ মাইক্রোগ্রামের বেশি সিসা থাকতে পারবে না৷ এজন্য বন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীদের কাজকর্ম এখন বেড়ে গেছে৷ উদ্বিগ্ন বাড়ির মালিক, ভাড়াটে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে হচ্ছে তাঁদের৷

সিসার কারণে বিষক্রিয়া

সিসার পরিমাণ মাত্রা অতিক্রম করলে স্নায়ু ও রক্তে বিষক্রিয়া হয়৷ বিশেষ করে ঝুঁকির মুখে পড়ে গর্ভস্থ শিশু ও ছোট বাচ্চারা৷ বিভিন্ন সমীক্ষায় জানা গেছে, সিসা মিশ্রিত পানি পান করলে বাচ্চাদের বুদ্ধির বিকাশে বাধা পড়ে৷ শ্রবণ শক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷ অল্পবয়সি মেয়েদেরও এই ধাতু মিশ্রিত পানি পান করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিজ্ঞানীরা৷ সিসা দেহে জমা হয়ে থাকে৷ গর্ভাবস্থায় এটি সচল হয়ে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করতে পারে৷

ছবি: ABDELHAK SENNA/AFP/Getty Images

সহজে বাঁকানো যায় বলে সেই ২০০০ বছর আগে থেকেই পাইপ তৈরির কাজে সিসার ব্যবহার চলে আসছে৷ তখন থেকেই এই ধাতুর ক্ষতিকর দিকটি সম্পর্কে জানা গেছে৷ কিন্তু তবুও জার্মানিতে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত পানীয় জলের লাইন ও পাইপে সিসা ব্যবহার করা হয়েছে৷

জার্মানির দক্ষিণাঞ্চল এগিয়ে আছে

তবে জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলে ১০০ বছরেরও আগে সিসা দিয়ে পানির পাইপ তৈরি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ অন্যদিকে জার্মানির উত্তরাঞ্চলে ৭০-এর দশকেও নতুন লাইন তৈরিতে এই ধাতু কাজে লাগানো হয়েছে৷ খাদ্যদ্রব্যের রসায়নবিদ ফ্যার্বার জানান, ‘‘খুব অল্প পরিমাণ সিসাও নির্ধারিত বিপদসীমা অতিক্রম করার পক্ষে যথেষ্ট৷''

ছবি: DW

১০ বছর আগে প্রতি লিটার পানিতে সিসার মাত্রা ২৫ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত থাকা যাবে বলে আইন করা হয়৷ সেসময় অনেক বাড়ির মালিক সিসার লাইন বদলে ফেলেন৷ তবে অনেকেই অপেক্ষা করেন৷ কেননা সেই সময় পানিতে সিসা থাকার নির্ধারিত পরিমাণটা তাদের আয়ত্তের মধ্যেই ছিল৷ কিন্তু এখন এই বিপদসীমা ১০ মাইক্রোগামে নিয়ে আসায় তাদের অপেক্ষা করার সুযোগ নেই৷ নতুন এই মাত্রা নির্ধারণে সিসা দিয়ে তৈরি পানির পাইপগুলি এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেল৷

আইন অনুযায়ী, পয়লা ডিসেম্বরের পরও সিসা নির্মিত পানির পাইপ ব্যবহার করলে বাড়িওয়ালাদের অবশ্যই ভাড়াটের এর ঝুঁকি সম্পর্কে জানাতে হবে৷ সিসার পাইপগুলি বদলানোর ব্যাপারেও উদ্যোগ নিতে হবে তাদের৷ এই কাজটা না হওয়া পর্যন্ত সন্তান-সম্ভবা ও ছোট বাচ্চাদের কলের পানি পান না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এর বদলে বোতলের পানি দিয়েই কাজ চালাতে পারেন এই জনগোষ্ঠী৷

পুরানো বাড়িগুলিতে সমস্যা বেশি

উল্লেখ্য বন অঞ্চলে পুরানো বাড়িগুলির মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশেরই রয়েছে সিসা সমস্যা, জানান পানীয়জল বিশেষজ্ঞ ফ্যার্বার৷ এই বছর চার হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করেছেন তিনি৷ হামবুর্গে ৫০ হাজার বাসিন্দা নিয়মিত এমন পানি পান করছে, যাতে সিসার পরিমাণ আইন নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি, জানিয়েছে ভোক্তারক্ষা সংগঠনগুলি৷ এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্যোগের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ইউরোপ