1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতি

৪ অক্টোবর ২০১৪

বার্লিন প্রাচীরের পতনের ২৫ বছর পরও পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক শক্তি পশ্চিমের তুলনায় কম৷ জার্মানির পুনরেকত্রিকরণ নিয়ে একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলি অর্থনৈতিক মন্দাভাব কাটিয়ে উঠলেও এখনও অনেক পিছিয়ে৷

Symbolbild Bewerbungsgespräch
ছবি: Fotolia/Africa Studio

স্লথ গতি

‘‘অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সাবেক পশ্চিম জার্মানির কাছাকাছি আসার প্রক্রিয়াটা গত বছরগুলিতে স্লথ গতিতে এগিয়েছে পূর্বাঞ্চলে৷'' জানান পূর্ব জার্মানি-বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ইরিস গ্লাইকে৷ হতাশাবাদীরা আরেক ধাপ এগিয়ে বলছেন, প্রক্রিয়াটা থেমে আছে৷

পূর্বাঞ্চলের জন্য ‘সংহতি কর' প্রদানের মেয়াদ ২০১৯ সালে শেষ হয়ে যাবে৷ পূর্ব ও পশ্চিমের কাঠামোগত দিক দিয়ে দুর্বল অঞ্চলগুলির জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান ইরিস গ্লাইকে৷

অন্যদিকে মিউনিখের অর্থনৈতিক গবেষণা ইন্সটিটিউট ‘ইফো' এ ব্যাপারে একটি হতাশাব্যঞ্জক চিত্র তুলে ধরেছে: ‘‘পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের দূরত্বটা অনেক বছর ধরে একই রকম রয়েছে৷ পশ্চিমের জীবনমানের সমকক্ষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ দুই অঞ্চলের মধ্যে সমতা আনার প্রচেষ্টায় সফল হয়নি জার্মানি৷''

ফারাকটা বেশি

১৯৯৫ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে পূর্বাঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ হলেও পশ্চিমাঞ্চলে তা হয়েছে ২৭ শতাংশ৷ রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে পূর্ব ও পশ্চিমের ফারাকটা এখনও অনেক বেশি৷ বেকারত্বের হার পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে তুলনামূলকভাবে বেশি৷ ২০১৩ সালে পূর্বাঞ্চলে বেকারের হার ছিল ১০.৩ শতাংশ, পশ্চিমাঞ্চলে ৬.০ শতাংশ৷ পুব থেকে পশ্চিমে অভিবাসন করার প্রবণতা গত বছরগুলিতে অনেক কমে গেলেও ভবিষ্যতে পুর্বাঞ্চলের জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷

পুবের চোখে ইতিবাচক

এক জরিপে জানা গিয়েছে সাবেক পূর্ব জার্মানির ৭৫ শতাংশ মানুষ বিশেষ করে অল্পবয়সিরা জার্মানির পুনরেকত্রিকরণকে ইতিবাচক হিসাবে দেখে৷ অন্যদিকে সাবেক পশ্চিম জার্মানির উত্তরদাতাদের মাত্র ৪৮ শতাংশ দুই জার্মানির মিলনকে ইতিবাচক মনে করে৷

সাবেক পূর্ব জার্মানির মানুষরা ভ্রমণের ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে সবার ওপরে মূল্য দেন৷ এরপরের স্থানে রয়েছে অর্থনীতি, জীবনযাত্রার মান ও পেশাগত উন্নতি৷


আরবি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ