আরিয়ানা যখন স্টেজে ওঠেন, তার ভক্তদের মধ্যে তখন তীব্র উন্মাদনা সৃষ্টি হয়৷ এই তারকা চার স্বরগ্রামে, কখনো হালকা, কখনো গভীর গলায় গাইতে পারেন৷ তাঁর এই বিশেষ দক্ষতার জন্য তাঁকে তুলনা করা হয় মারায়া ক্যারি’র মতো প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর সঙ্গে৷ বয়স মাত্র ২৩ হলেও স্টেজ পারফর্মেন্সে তাঁর অভিজ্ঞতা দশ বছরের৷

শিশুদের টিভি সিরিজ ‘ভিক্টোরিয়াসে’ মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন আরিয়ানা৷ আর নিজের ইউটিউব চ্যানেলও চালু করেন অল্প বয়সে৷ সেই চ্যানেলের সাবসক্রাইবার প্রায় দুই কোটি৷

আরিয়ানার মধ্যে এক সরল কিন্তু সেক্সি ‘লুক’ খুঁজে পান অনেকে৷ তাঁকে প্রায়শই মিনি স্কার্ট এবং ক্রপটপের সঙ্গে লম্বা স্টিফেল পরতে দেখা যায়৷ তাঁর বদৌলতে এই পোশাক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও এগুলো যে তাঁর জন্য সেক্সশপ থেকে কেনা হতো তা নাকি তিনি জানতেনই না৷

আরিয়ানা মাত্র ২৩ বছর বয়সেই জয় করেছেন অসংখ্য পুরস্কার৷ শুধু সঙ্গীত শিল্পী হিসেবেই নয়, মঞ্চে অভিনয় এবং টিভি অভিনয়ের জন্যও তিনি জয় করেছেন অনেক অ্যাওয়ার্ড৷ এত সম্মাননা রিহানা বা জাস্টিন বিবার পেয়েছেন কিনা সন্দেহ৷

বিশ্বের সবপ্রান্তেই আরিয়ানার ভক্ত মিলবে৷ আর তিনি জানেনও কিভাবে লাইমলাইটে থাকতে হয়৷ নিজের অ্যালবাম ‘মাই এভরিথিং-’এর প্রোমো ট্যুরে গিয়ে তিনি টোকিও’র এক শপিং মলে নেচেছিলেন, যা তাঁর জাপানি ভক্তদের হৃদয় জয় করেছে৷

অন্যদের সঙ্গে পারফর্মেন্স, বিশেষ করে ছয়জন একসঙ্গে নাচার মতো বিষয়াদি বেশ পছন্দ করেন আরিয়ানা৷ ছবিতে নিকি মিনহাজ এবং আরো কয়েকজন সহশিল্পীর সঙ্গে ‘সাইড টু সাইড’ গানে তাঁকে পারফর্ম করতে দেখা যাচ্ছে৷ গানটি ইউটিউবে প্রায় একশ’ কোটিবার দেখা হয়েছে৷

আরিয়ানা গ্রান্ডের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিয়োগান্তক ঘটনা সম্ভবত ঘটেছে সম্প্রতি৷ ম্যানচেষ্টারে তাঁর কনসার্ট চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান তাঁর বেশ কয়েকজন ভক্ত৷ সেই ঘটনার পর টুইটারে আরিয়ানা লেখেন, ‘‘হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আমি অত্যন্ত দুঃখিত৷’’