1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুটবল মাঠে হিংসা

২০ নভেম্বর ২০১২

জার্মানরা ফুটবল পাগল জাত, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে জার্মান ফুটবলের ধারাবাহিক সাফল্যও কারো অজানা নয়৷ কিন্তু জার্মানির মাঠে হিংসার অস্বাভাবিক মাত্রা ফুটবল জগতের জন্য কলঙ্ক হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷

ছবি: picture-alliance/dpa

ফুটবল মাঠে হিংসা সম্পর্কে সম্প্রতি জার্মান পুলিশ এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে৷ তাতে এক ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে৷ ২০১১-২০১২ সালে ফুটবল সংক্রান্ত যে সব হিংসাত্মক ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, তা এক রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে৷ হুলিগানদের দৌরাত্ম্য তো বেড়ে চলেছেই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে নব্য নাৎসিদের সুপরিকল্পিত হামলার ঘটনাও৷ আহতের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও৷ রিপোর্টে নানা ধরণের হিংসার ঘটনা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে৷ পুলিশ বাহিনীর কর্মী সংগঠন হিংসাত্মক ফুটবল ফ্যানদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স' নীতি গ্রহণ করতে চায়৷ অর্থাৎ তাদের দৌরাত্ম্য কোনোমতেই বরদাস্ত করা যাবে না৷ ফুটবল ক্লাবগুলিকেই এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে তারা মনে করে৷

২০১১-২০১২ সালে ফুটবল সংক্রান্ত যে সব হিংসাত্মক ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, তা এক রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছেছবি: Reuters

জার্মান ফুটবল লিগ ও জার্মান ফুটবল সংগঠন সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যান দেখে কিছুটা দমে গেছে৷ তাদের ভয় হচ্ছে, বেড়ে চলা হিংসার ঘটনায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের কর্তৃত্ব খর্ব করা হবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বাড়বে৷ আগামী ১২ই ডিসেম্বর জার্মান ফুটবল লিগ ফুটবল মাঠে নিরাপত্তা বাড়াতে এক বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরতে চলেছে৷ ফুটবল ক্লাব ও তাদের ফ্যানদের নিয়ে বাস্তবসম্মত সমাধানসূত্র পেশ করতে চাইছে এই সংগঠন৷

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স পেটার ফ্রিডরিশ ফুটবল মাঠে বিস্ফোরকের বেড়ে চলা ব্যবহার সম্পর্কে বিশেষ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ প্রতিপক্ষ দলের ফ্যান ও পুলিশের উপর আতশবাজি সহ নানা রকম বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হচ্ছে৷

তবে পুলিশের রিপোর্টে যথেষ্ট তথ্য-পরিসংখ্যান স্থান পেলেও বেড়ে চলা হিংসাত্মক ঘটনার পেছনে নব্য নাৎসিদের ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট চিত্র উঠে আসে নি৷ হিংসাত্মক নব্য নাৎসিরা যেভাবে ফুটবল ফ্যানদের মধ্যে মিশে গিয়ে বর্ণবাদী হামলা চালাচ্ছে, তাও দুশ্চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ বেশ কিছু ক্লাব ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে এমন প্রবণতা লক্ষ্য করে জার্মান ফুটবল লিগ প্রয়োজনীয় সতর্কতার ডাক দিয়েছে৷

এসবি/ডিজি (এসআইডি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ