জার্মানির বড় সংকট ইহুদি বিদ্বেষ
২৮ জানুয়ারি ২০১৯মঙ্গলবার প্রকাশিত সেই জরিপে বলা হয়, জার্মানির ও ফ্রান্সে নতুন করে ইহুদি বিদ্বেষ মাথা চাড়া দিচ্ছে৷ ইউরোপের পশ্চিমাদেশগুলো এই বিষয়ে জোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইতোমধ্যে৷
জরিপটিতে দেখা যায় জার্মানির ৬৬ শতাংশ লোক মনে করেন ইহুদি বিদ্বেষ তার দেশের একটি বড় সমস্যা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫০ শতাংশ লোক এটিকে সমস্যা বলেমনে করছেন৷ ৪০-এর নীচের বয়সিদের একাংশ এটিকে শুধু জার্মানির নয় গোটা ইউরোপের সমস্যা বলে মনে করছেন৷
২৯ শতাংশ জার্মান এটিকে সমস্যা বলেই মনে করছেন না৷ ৫ শতাংশ জার্মান এ বিষয়ে কিচ্ছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন৷ অন্যদিকে জরিপে অংশ নেওয়া ইউরোপের অন্যদেশগুলোর জনগণর ৫০ শতাংশ ইহুদিবিদ্বেষকে বড় করে দেখছেন৷ কিন্তু ৪৩ শতাংশ এটিকে সমস্যা বলে মনে করছেন না৷
জরিপটি প্রকাশের সময় ইউরোপীয় কমিশন প্রাপ্তফলকে ‘মানবিক আচরণের ঘাটতি' বলে আখ্যা দেয়৷ ইউরোব্যারোমিটার নামে সেই জরিপ প্রকাশের সময় টুইটে কমিশন জানায়, এটি দুঃখজনক যে গোটা ইউরোপের জনগণের মস্তিষ্কে ইহুদি বিদ্বেষের মতো কুৎসিত একটি বিষয় এখনও সযতনে লালিত হচ্ছে৷ এমন সময় এই সমীক্ষাটি পাওয়া গেল, যখন ঘৃণাকে রাজনীতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷ তবে বিবৃতিতে এও বলা হয় যে, ইহুদিবিদ্বেষের পাশাপাশি এই আচরণ বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এটিকে আশাব্যঞ্জক বলে দাবি করা হয় সেই বিবৃতিতে৷
২০১৫ সাল থেকে জার্মানিতে ইহুদিবিদ্বেষ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে৷ ২০১৮ সালেই এক সিরিয়ান আশ্রয়প্রার্থীকে দেখা গেছে ক্রুদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তির ওপর আঘাত করছেন এবং তাকে আরবী ভাষায় ইহুদি বলে সম্বোধন করছেন৷
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইসরায়েলের টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারেও ইহুদিবিদ্বেষকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বলে স্বীকার করেন৷
তবে জার্মান সরকার ইতোমোধ্যে এই সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টায় নানা প্রকল্প নিয়েছে৷ তারই অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে ফেলিক্স ক্লেইনকে জার্মানির ইহুদিবিষয়ক কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷ কমিশনটি বিদ্বেষের শিকার এমন ইহুদিদের অভিযোগ দাখিল করার জন্য একটি ওয়েবসাইট উন্মুক্ত করেছে৷
লুইস স্যান্ডার্স/এফএ