বুলগেরিয়ায় ৮০ লাখ মানুষের বাস৷ অথচ সেখানে মঠের সংখ্যা ২৩৭টি৷ এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই৷ কেননা ১১শ’ বছর আগে বুলগেরিয়া ছিল গোঁড়া খ্রিস্টানদের আখড়া৷ এই মনাস্ট্রিটা ১০৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত৷

যদিও রাজধানী সোফিয়া হাজার বছরের পুরোনো, কিন্তু একে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন এটা একেবারে নতুন এবং চিরসবুজ৷ ন্যাশনাল থিয়েটারের সামনে যে উদ্যানটি রয়েছে সেটা মানুষের আড্ডা দেয়ার জন্য ভীষণ জনপ্রিয়৷

ব্রোঞ্জের এই মূর্তিটিকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই৷ এটি দৈর্ঘ্যে ৮ দশমিক ৮ মিটার, ওজন ৫ টন৷ ২০০১ সালে শহরের মেয়র এই মূর্তিটি নির্মাণ করান৷ আপনার কাছে এটিকে সুন্দর মনে হোক আর না হোক এটি সোফিয়ার একটি নতুন ল্যান্ডমার্ক৷

৫ শতক ধরে বুলগেরিয়া তুর্কিদের দখলে ছিল৷ এই বিশাল মসজিদটি অটোমান সাম্রাজ্যের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ ষোড়শ শতাব্দীতে এটি নিমার্ণ করা হয় এবং এখনও এখানে নামাজ পড়েন মুসল্লিরা৷

১৮৭৮ সালে রাশিয়ার সহযোগিতায় বুলগেরিয়া স্বাধীনতা লাভ করে৷

এই বলকান রেঞ্জ ৬০০ কিলোমিটার বিস্তৃত লম্বা পাহাড়ি রেঞ্জ, যা একই নামে পরিচিত৷ উত্তর ও দক্ষিণে এটি বুলগেরিয়াকে বিভক্ত করেছে৷ বুলগেরিয়ার পুরোনো রাজধানী ভেলিকো তারনোভো, উত্তরে অবস্থিত৷

ডেভেতাকি গ্রামের কাছে ডেভেতাস্কা গুহাটি বুলগেরিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি৷

রোমের মত প্লোভদিভ সাতটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত৷ তবে বুলগেরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ৮ হাজার বছরের পুরোনো৷

এই প্রাচীন মার্বেল থিয়েটারটি রোমানদের অন্যতম সুন্দর নিদর্শনের একটি৷ ত্রাজান সম্রাটের অধীনে থাকাকালীন এটি নির্মিত হয়৷

খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশমুখে ‘খাগড়াছড়ি গেইট’৷

কুয়াশায় ঢাকা খাগড়াছড়ি শহরের ‘বার্ডস আই ভিউ’৷ পুরো খাগড়াছড়ি জেলা জুড়ে পাহাড় আর পাহাড় থাকলেও, এর জেলা শহরটি ‍কিন্তু একেবারেই সমতলে অবস্থিত৷

খাগড়াছড়ি শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সর্পিল আঁকা বাঁকা পাহাড়ি নদী ‘চেঙ্গী’৷ শীতে পাহাড়ি এ নদী শুকিয়ে গেলেও বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে৷

খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীতে বাঁশের ভেলা৷ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পাহাড় থেকে বাঁশ কেটে এ নদী দিয়ে ভাসিয়ে নেয়া হয় দেশের নানান প্রান্তে৷

পুরো খাগড়াছড়ি জেলাজুড়েই আছে এমন দুর্গম পাহাড়ি পথ৷ আঁকা বাঁকা এ সব পথে চলতে চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের৷

খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার নুনছড়ি এলাকায় ‘দেবতার পাহাড়’৷ দুর্গম এ পাহাড়ে দেখা মিলবে এ সব এলাকায় বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠী, তাঁদের সংগ্রামী জীবনধারা৷

নুনছড়ি এলাকার দেবতার পাহাড়ের চূড়ায় দেবতার পুকুর৷ এর আরেক নাম ‘মাতাই পুখিরি’৷ ত্রিপুরা ভাষায় ‘মাতাই’ শব্দের অর্থ দেবতা আর ‘পুখিরি’ শব্দের অর্থ পুকুর৷ স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেবতার আশীর্বাদে পাহাড় চূড়ার এ পুকুরের পানি কখনো কমে না৷ দেবতার পুকুরের পাড়েই আছে একটি শিব মন্দির৷ এই মন্দিরকে ঘিরেই প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সেখানে বসে তীর্থ মেলা৷

খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে মনোরম প্রাকৃতিক ঝরনা রিসাং৷ বিশাল পাথুরে জায়গার এক প্রান্ত থেকে অঝোরে বইছে এই জলপ্রপাত৷ রিসাংয়ের চারপাশে পাহাড়ের নিস্তব্ধতা ভেঙে অবিরাম বয়ে চলছে রিসাংয়ের জলধারা৷ শীতের শুরু থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত ঝরনায় পানির প্রবাহ কম থাকে, বর্ষায়ে বেড়ে যায়৷

খাগড়াছড়ির আলুটিলা পাহাড়ে সূর্যাস্ত৷ শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরের এ পাহাড় থেকে খাগড়াছড়ি শহর আর চেঙ্গী নদীকে পাখির চোখে দেখা যায়৷

আলুটিলা পাহাড়ের নীচে প্রাচীন গুহা৷ পাহাড়ের চূড়া থেকে ২৬৬টি ধাপের একটি সিঁড়ি নেমে গেছে গুহাপথের মুখে৷ গুহার ভেতর দিয়ে বয়ে চলছে শীতল জলধারা৷

আলুটিলা গুহাপথে পর্যটক৷ এ গুহার একপ্রান্ত থেকে ঢুকে অন্য প্রান্তে পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১৫ মিনিট৷ ঘুটঘুটে অন্ধকার এ গুহায় প্রবেশ করতে হয় মশাল নিয়ে৷ প্রবেশ পথেই কিনতে পাওয়া যায় এ মশাল৷

খাগড়াছড়ি শহরের পাশেই জেলা পরিষদের হর্টিকালচার পার্ক৷ লেক ঘেরা এ জায়গাটির মূল আকর্ষণ দোদুল্যমান ঝুলন্ত সেতু৷

খাগড়াছড়ি জেলায় চাকমা, ত্রিপুরা, মারমাসহ নানান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা বাস করেন৷ জেলার সর্বত্রই পর্যটকদের জন্য এ সব নৃ-গোষ্ঠীর জীবনধারা দেখার সুযোগ আছে৷

খাগড়াছড়ির পাহাড়ে জুম চাষের জন্য পাহাড় প্রস্তুত করছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা মানুষেরা৷

জুমের ফসলে ছেয়ে গেছে পাহাড়৷ জেলার সর্বত্রই দেখা যায় জুমের ফসলে ভরপুর সবুজ এরকম পাহাড়৷

খাগড়াছড়ির দীঘি-নালায় মাইনি নদীর তীরে তামাক চাষ৷ স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আগাম ঋণপ্রাপ্তি ও ক্ষেত থেকেই বিক্রির সুযোগ থাকায় ব্যাপকহারে তামাক চাষে ঝুঁকছেন খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষকরা৷