1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির ‘লুফৎহানসা' ফ্লাইটে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা

ডান হিয়র্শফেল্ড/জেডএইচ৬ নভেম্বর ২০১৪

দীর্ঘ বিমানযাত্রার বিরক্তি কমাতে অনেক বিমান সংস্থা ফ্লাইটে সিনেমা দেখা, গান শোনা, গেম খেলা ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছে৷ জার্মানির বিমান সংস্থা ‘লুফৎহানসা' যাত্রীদের ফ্লাইটে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছে৷

Lufthansa nimmt Flugverkehr nach Tel Aviv wieder auf
ছবি: picture-alliance/dpa

এর গতি আবার এমন যে যাত্রীরা বিমানে বসে টিভিও দেখতে পাচ্ছেন৷ বলা বাহুল্য, পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা সফল হওয়ার পরই জার্মানির বৃহত্তম এয়ারলাইন্স এই সেবা চালু করেছে৷ তথ্য আদানপ্রদানের গতি এত ভালো, যে অনলাইনে টেলিভিশনও দেখা যাচ্ছে৷

বিমানের উপরে বসানো স্যাটেলাইট অ্যান্টেনা থেকে তথ্য বিমানের ভেতরে আসে৷ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যে গতির ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে, বিমানেও সে ধরনের গতি দেয়ার সামর্থ্য খুব কম এয়ারলাইন্সেরই রয়েছে৷ একেকটি বিমানের জন্য লুফটহানসা ছয় ডিজিট অংকের সমপরিমাণ ইউরো বিনিয়োগ করেছে৷

এর মাধ্যমে তারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চায়৷ কারণ এমনিতেই বিমান ভাড়া নির্ধারণে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে৷ লুফৎহানসা-র এক কর্মকর্তা মিশায়েল লামব্যারটি বলেন, ‘‘বিমান পরিবহণ শিল্পে লাভের পরিমাণ এমনিতেই কমে এসেছে৷ তাই আমরা ব্যবসার জন্য অন্যান্য উপায় ব্যবহার করছি৷ ফ্লাইটে ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া তারই একটি অংশ৷ এর মাধ্যমে আমরা পুরনো ক্রেতা ধরে রাখার পাশাপাশি নতুনদেরও আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি৷ সেটা যদি হয় বিজেনস ক্লাসের, তাহলে তো আরও ভালো৷''

ওয়াইফাই-এর মাধ্যমে যাত্রীদের স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে সবকিছু সরাসরি পাঠিয়ে দেয়া হবেছবি: picture-alliance/dpa

ইতিমধ্যে বার্লিনে পরবর্তী ধাপ নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে, যার নাম ‘তারহীন ইন্টারনেট'৷ এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও মাঝারি পাল্লার ফ্লাইটে ওয়াইফাই যন্ত্র বসিয়ে যাত্রীদের ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া যায়৷

লামব্যারটি বলেন, ‘‘বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ যাত্রীর স্মার্টফোন কিংবা নোটবুক থাকে৷ ওয়াইফাই-এর মজা হচ্ছে, এর ফলে প্রতিটি সিটের সামনে আপনাকে ‘ডিসপ্লে মনিটর' বসাতে হচ্ছে না৷ এর পরিবর্তে ওয়াইফাই-এর মাধ্যমে যাত্রীদের স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে সবকিছু সরাসরি পাঠিয়ে দেয়া হবে৷ এতে করে বিমানের ওজনও কম হবে৷''

এই নতুন প্রযুক্তি প্রায় ৩০০ কেজি ওজন কমাবে৷ এর ফলে একটি বিমান বছরে প্রায় ৫০ টন কম জ্বালানি ব্যবহার করবে৷ পুরো ‘ফ্লিট' হিসেব করলে পরিমাণটা হবে কয়েক মিলিয়ন৷

এটা এমন এক সুবিধা, যেটা অন্য এয়ারলাইন্সগুলো দেখে নিজেরাও ব্যবহার করতে চাইছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ