সপ্তাহান্তে জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়ার শহরগুলোতে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়৷ অভিযানে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে শুল্ক ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারাও অংশ নেন৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউ শাসিত রাজ্য নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ার পুলিশ সম্প্রতি জানায়, গত তিন বছরে এ রাজ্যে অন্তত ১৪ হাজার অপরাধের ঘটনা ঘটেছে৷ এসব ঘটনায় ১০৪টিরও বেশি গ্রুপ জড়িত বলেও জানায় পুলিশ৷ তারপর থেকে অপরাধ দমনে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে আসছে রাজ্য সরকার৷
শনিবার তারই অংশ হিসেবে নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের ডুসেলডর্ফ, এসেন, ডর্টমুন্ড, বোখুম, গেলজেনকির্শেন, ভুপার্টালেসহ ১০টি শহরে অভিযান চালাানো হয়৷ ডুইসবুর্গের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার ১৭টি অনিবন্ধিত মেশিন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ৷
ডর্টমুন্ডে দুটি হুকা বার থেকে বিপুল পরিমাণে কর ফাঁকি দেয়া তামাক উদ্ধার করা হয়৷ এসেন শহরের এক ইন্টারনেট ক্যাফের গোপন কুঠুরিতে পাওয়া যায় জুয়া খেলার টেবিল ও অটোমেটিক মেশিন৷ এক রেস্তোরাঁ থেকেও বাজেয়াপ্ত করা হয় এসব জিনিস৷
মন্ত্রীর ঘোষণা
শনিবার এসেন শহরের অভিযান শেষে নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্বার্ট রয়ল বলেন, ‘‘এ শহরের মানুষের জীবনকে যারা অনিরাপদ করছেন তাদের দিন যে শেষ, তাদের যে এখন থেকে প্রতিদিনই (কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে) প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হবে, এ কথা জানানোর জন্যই এই অভিযান৷''
এসিবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)
জার্মানিতে অস্ত্র কোথায় যায়, কোথা থেকে আসে
সেনাবাহিনীর অস্ত্রাগার থেকে খোয়া গেছে বিপুল পরিমাণ গুলি ও বিস্ফেরক৷ অন্যদিকে গত তিন বছরে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷কোথায় গেল গুলি, বিস্ফোরক; পুলিশের উদ্ধার করা অস্ত্রের উৎসই বা কী?
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Seidel
সেনাবাহিনীর গুলি ও বিস্ফোরক চুরি!
জার্মানির সেনাবাহিনীর কমান্ডো ইউনিট কেএসকে-র অস্ত্রাগার থেকে ৬০ হাজার রাউন্ড গুলি এবং অন্তত ৬২ কিলোগ্রাম ওজনের বিস্ফোরক লাপাত্তা! গত মাসে খোদ জার্মান সেনাবাহিনীই জানিয়েছে এই তথ্য৷
ছবি: picture-alliance/Chromorange/bilderbox
কোথায়, কার কাছে গেল?
এত বিপুল পরিমাণ গুলি ও বিস্ফোরক কোথায়, কার হাতে গেল এই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে জার্মানিতে৷ সম্প্রতি কেএসকে-র সঙ্গে চরম ডানপন্থিদের সম্পৃক্ততার খবর জার্মানিতে বেশ সাড়া জাগায়৷এ কারণে কেএসকে-র কিছু সেনাকে বরখাস্ত করেছে জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Gollnow
চরম ডানপন্থিদের উত্থান
সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানিতে চরম ডানপন্থিদের সক্রিয়তা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে৷ গত জুলাই মাসে এক প্রতিবেদনে জার্মানির অভ্যন্তরীন গোয়েন্দা সংস্থা বিএফভিও-ও এমন তথ্যই তুলে ধরেছে৷ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে জার্মানিতে ৩২ হাজার ৮০ জন সক্রিয় চরম ডানপন্থিকে চিহ্নিত করে বিএফভি৷ ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ২৪ হাজার ১০০৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Pfeiffer
চরম ডানপন্থিদের হামলা
গত বছর হানাউ এবং হালেতে হামলা চালায় চরম ডানপন্থি বন্দুকধারী৷
সে বছর বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ ভাল্টার ল্যুবক৷ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক দুই চরম ডানপন্থির বিচার সম্প্রতি ফ্রাঙ্কফুর্টে শুরু হয়েছে৷
ছবি: AFP/J. McDougall
বাজেয়াপ্ত অস্ত্রের বিষয়ে অনেক তথ্য অজানা
এদিকে ২০১৭ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে জার্মানির বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷ অস্ত্রগুলোর বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন জার্মানির বাম দলের সাংসদ মার্টিনা রেনার৷ অস্ত্রগুলো কোনো চরম ডানপন্থিদের কাছে পাওয়া গিয়েছিল কিনা, সেগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা তা জানতে কয়টি তদন্ত হয়েছে - এমন ২০টি প্রশ্নের ১৪টিরই জবাব পাননি৷ সংসদে জানানো হয়েছে, এসব বিষয়ে সরকার এখনো অন্ধকারে৷