এক বছরেরও বেশি সময়ের চেষ্টায় জার্মানির সবচেয়ে বড় অনলাইন মাদকের বাজারের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ৷ এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তিনটি দেশ থেকে ধরা হয়েছে তাদের৷
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার পুলিশ এবং আইনজীবীরা এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানান৷ বিবৃতিতে জানানো হয়, কেমিক্যাল রেভোল্যুশন নামের একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতরা গাঁজা, এমডিএমএ, কোকেন, হেরোইন, এক্সট্যাসি, এলএসডিসহ নানা ধরনের মাদক বিক্রি করতো৷ ইউরো বা ডলারে নয় মাদক বিক্রি হতো বিটকয়েনে৷ মোট কী পরিমাণ মাদক কেমন দামে বিক্রি করা হয়েছে তা জানানো হয়নি৷
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ২৬ বছর বয়সি এক জার্মান তরুণকে গ্রেপ্তারের পর থেকে তারা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন৷ স্পেন থেকে ফেরা এ তরুণকে জার্মানির ব্রান্ডেনবুর্গ থেকে তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং পোল্যান্ড থেকে আরো দশজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বয়স ২৪ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে৷
মাদক উৎপাদনে শীর্ষ কয়েকটি দেশ
জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনওডিসি (ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম) সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ মাদক উৎপাদনকারী দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে৷
ছবি: Abdelhak Senna/AFP/Getty Images
মিয়ানমার
আফিম উৎপাদনকারী দেশের তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে মিয়ানমার। নানা কারণে আফগানিস্তানে আফিমের আবাদ কমে যাওয়ায় মিয়ানমার এই অবস্থানে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। ইউএনওডিসির প্রতিবেদন মতে, মিয়ানমারের আফিম চাষীরা এখন অন্য যেকোনো পণ্য চাষের তুলনায় গড়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ বেশি উপার্জন করছেন। দেশটিতে এখন প্রতি কেজি আফিম ৩৫৫ ডলারে বিক্রি হচ্ছে ।
ছবি: picture-alliance/AP Photo
আফগানিস্তান
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আফিম চাষ হত আফগানিস্তানে৷ ২০২২ সালে তালেবান শাসক মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর দেশটিতে আফিম চাষ ৯৫ শতাংশ কমে যায়।জাতিসংঘের হিসেবে, প্রতি বছর প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টন কাঁচা আফিম উৎপাদন হত সেখানে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
কলম্বিয়া
কোকেন উৎপাদনে বিশ্বে সেরা কলম্বিয়া৷ জাতিসংঘের হিসেবে কলম্বিয়ায় প্রতি বছর তিন থেকে চার’শ টন কোকেন উৎপাদিত হয়৷ এছাড়া পেরু ও বলিভিয়াতেও কোকেনের চাষ হয়৷ ল্যাটিন অ্যামেরিকা, উত্তর অ্যামেরিকা আর ইউরোপ কোকেনের সবচেয়ে বড় বাজার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মরক্কো
উত্তর আফ্রিকার মরক্কোতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দেড় হাজার টন মারিজুয়ানা ও হাশিশ উৎপাদিত হয়৷ যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে সীমিত আকারে মারিজুয়ানা বা গাঁজার ব্যবহার বৈধ করায় এর চাষ আরও বেড়েছে৷
ছবি: Abdelhak Senna/AFP/Getty Images
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল
মাদক উৎপাদনে এশিয়ার তিন দেশ মিয়ানমার, লাওস আর থাইল্যান্ড ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ নামে পরিচিত৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই তিন দেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় এক হাজার টন আফিম উৎপাদিত হয়৷
ছবি: AP
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো
মেথাম্ফেটামিন বা ক্রিস্টাল মেথ হলো এক ধরণের মাদক, যেটা এক ধরণের সুখানুভূতি এনে দেয় বলে মনে করেন এর সেবনকারীরা৷ ইদানীং এই মাদক সেবনের হার বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ তবে কোন দেশে এটা সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় তা জানা যায়নি৷ তবে ক্রিস্টাল মেথ ল্যাবেও তৈরি করা যায়৷ তাই সারা বিশ্বে পুলিশ এ ধরনের ল্যাবে অভিযান চালাচ্ছে৷ এ পর্যন্ত যত অভিযান হয়েছে, তার ৮০ ভাগই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর মেক্সিকোর ল্যাবে৷