1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বযুদ্ধের মৃত্যু-আতঙ্ক

জুলিয়ান বনে/এসিবি১০ নভেম্বর ২০১২

জার্মানির সাগরতলে বোমা, মাইন, কামানের গোলা- আরো কত কী! পর্যটকরা জানেনই না৷ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনীতি৷ বিস্ফোরণ ঘটাতে গেলে আবার সামুদ্রিক প্রাণীদের জীবন বিপন্ন হবার আশঙ্কা৷

Blick auf eine Fünf-Tonnen-Bombe am 14.10.1961 am Strand von Helgoland. Bei der Bombe aus dem 2. Weltkrieg, die von der britischen Luftwaffe abgeworfen wurde, handelt es sich vermutlich um die größte die während des Krieges auf Deutschland abgeworfen wurde. Der 3,60m lange Blindgänger wurde bei starkem Seegang vom Chef der schleswig-holsteinischen Munitionsräumgruppe, Klaus Kinder, unter Wasser entschärft und dann geborgen.
ছবি: picture alliance/Gerd Herold

১৯৪৫ থেকে ১৯৪৮ সালের মধ্যে মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই একটা কাজ করেছিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনী৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের বাহিনী পরাজিত হওয়ায় জার্মানি তখন ব্রিটিশদের দখলে৷ গোটা দেশই যেন ধ্বংসস্তুপ৷ এখানে-সেখানে পড়ে আছে বোমা-মাইন-গোলাবারুদ, শেল৷ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সাধারণ মানুষকে অপঘাত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে ব্রিটিশ সৈন্যরা সব গোলা বারুদ, বোমা, মাইন সাগরের গভীর জলে ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়৷ জার্মানির সব জাহাজ আর নৌকাকে ব্যবহার করা হয় এই কাজে৷ ওভাবে তখন মানুষের প্রাণ বাঁচানো গিয়েছিল ঠিকই৷ কিন্তু ৬৭ বছর পর তা আবার দেখা দিয়েছে বড় সমস্যা হয়ে৷ প্রাণনাশের আতঙ্ক হয়েও৷

জার্মানিতে বায়ুচালিত যন্ত্র অর্থাৎ উইন্ড টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় ব্যাপক হারে৷ এসব সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাতেতো হয়ই, এমনকি সাগরেও হয়৷ কিন্তু সাগরতলে সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার বোমা, মাইন, কামানের গোলা ইত্যাদি থেকে যাওয়ায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে৷ একটা-দুটো তো নয়, লক্ষ লক্ষ মৃত্যু আতঙ্ক লুকিয়ে আছে পানির নীচে৷ শ্লেসভিক হলস্টাইন রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানালেন, জার্মানির সাগরের নীচে নাকি ১৬ লক্ষ টন বিস্ফোরণযোগ্য যুদ্ধের রসদ পড়ে আছে৷ এ তথ্য জানলে কে না ভয় পাবে বলুন!

ছবি: picture-alliance/dpa

এখনো অবশ্য ব্যাপারটা সবাই জানেন না৷ তাই জার্মানির উত্তরের ছোট্ট এক পর্যটন নগরী নর্ডডাইশে প্রতিদিন ছুটে যান শত শত পর্যটক৷ সাগরের হাতছানিতে ছুটে যেতে হয় এমন জায়গা আরো আছে জার্মানিতে৷ অনেকগুলোরই সৈকতের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে বিশ্বযুদ্ধের রেখে যাওয়া সেই আতঙ্ক৷

ক‘দিন আগে ইয়ান ক্যোলবেলের মনেও আতঙ্ক ছড়িয়েছিল পানির নীচের বোমা, মাইনগুলো৷ ক্যোলবেল বোকালিস হিরডেস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর৷ প্রতিষ্ঠানটির কাজ অবিস্ফোরিত বোমা বা এ জাতীয় যুদ্ধরসদগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো৷ পূর্ব ফ্রিসিয়ান দ্বীপে উইন্ড পার্কের জন্য পানির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ দিতে যাবার আগে একটা হিসেব কষেছিলেন ক্যোলবেল৷ অনুমাননির্ভর সেই হিসেব অনুযায়ী ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় যেখানে বড়জোর হয়তো ৫০ জায়গায় বোমা, মাইন বা কামানের গোলা থাকার কথা গিয়ে দেখেন ওই একই এলাকায় রয়েছে ২,০০০টির মতো এমন জায়গা!

এ অবস্থা অনেক জায়গাতেই৷ পরিবেশবাদীরা ভীষণ চিন্তিত, কেননা, এই বোমা বা মাইনগুলোর বিস্ফোরণ ঘটালেও সামুদ্রিক প্রাণীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে৷ আর রেখে দিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে, তাছাড়া মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা তো থাকবেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ