জার্মানি কি শীঘ্রই সামরিক খাতে ব্যয় বাড়াতে চলেছে? খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রীরা তার পক্ষে; সামাজিক গণতন্ত্রীদের কাছে তা নিরর্থক৷ প্রতিরক্ষা বাজেট এখন নির্বাচনি প্রচারের একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির অর্থনৈতিক শক্তি যেমন বেশি, তার সামরিক শক্তি ঠিক সেই পরিমাণে কম৷ জার্মান সেনাবাহিনী ‘বুন্ডেসভের'-এর সৈন্যসংখ্যা মাত্র ১,৭৮,০০০; সেনাবাহিনীর সাজসরঞ্জামের একাংশ মান্ধাতার আমলের৷ কাজেই উন্নততর অস্ত্রসজ্জা ও লোকবল বৃদ্ধির জন্য বছরের পর বছর ‘বুন্ডেসভের'-এর বরাদ্দ বাড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে৷
চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মন্ত্রীসভার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও তাঁর সিডিইউ দলের সদস্য উর্সুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন সামরিক বাজেটের ঘাটতি দূর করতে চান – সরকারের ছোট তরফ এসপিডি দলও তা সমর্থন করে৷ এসপিডির আপত্তি ফন ডেয়ার লাইয়েনের পরিকল্পনার আয়তন নিয়ে: প্রতিরক্ষামন্ত্রী ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বাড়িয়ে দেশের জিডিপির দুই শতাংশ করতে চান৷
ন্যাটোর সদস্যদেশগুলি ২০১৪ সালে ওয়েলস-এ তাদের শীর্ষবৈঠকে ঠিক ঐ মাত্রাই স্থির করেছিল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারংবার ইউরোপীয়দের সামরিক খাতে জিডিপির দুই শতাংশ ব্যয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন৷ কিন্তু এসপিডির কাছে এই পরিকল্পনা স্রেফ ‘পাগলামো' – ‘আমাদের দিয়ে ও কাজ করানো যাবে না,' বলছে এসপিডি৷
জার্মান নির্বাচন বদলে দিল অনেক হিসাব
জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী শিবির বিপুল জয় অর্জন করেছে৷ তবে বদলে গেছে অনেক হিসাবনিকাশ৷ চলুন দেখা যাক নির্বাচন পরবর্তী অবস্থা৷
ছবি: Reuters
বিজয়ী হাসি
২০১৩ সালের জার্মান নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং তাঁর দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী শিবির৷ তবে ভবিষ্যতে তাদের আগাতে হবে মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপির সঙ্গ ছাড়াই৷ নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল বলছে, অন্তত একটি দলকে সঙ্গে নিয়ে হলেও জোট বাঁধতে হবে ম্যার্কেলকে৷
ছবি: Reuters
একদিকে জয় অন্যদিকে বেদনা
২২শে সেপ্টেম্বর ভোটাভুটির পর জরিপের ভিত্তিতে প্রকাশিত আনুমানিক ফলাফলই বলে দিচ্ছিল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রীদের সমর্থনে ভোট পড়েছে প্রচুর৷ স্বভাবতই এই ফলাফলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে দলের সমর্থকরা৷ কিন্তু অন্যদিকে এফডিপি ন্যূনতম পাঁচ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় ভেঙে গেছে খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রীদের জোট৷
ছবি: Reuters
উদারপন্থিদের বড় ব্যর্থতা
নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, এফডিপি পাঁচ শতাংশ ভোটও পায়নি৷ ফলে ১৯৪৯ সালের পর এই প্রথম বারের মতো জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগ থেকে বাদ পড়লো সে দল৷ একই সঙ্গে তাদের নিয়ে সিডিইউ/সিএসইউ-র গড়া জোটও ভেঙে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্বপ্ন ভঙ্গ
সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী পেয়ার স্টাইনব্রুক সবুজ দলের সঙ্গে জোট গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন৷ কিন্তু নির্বাচনে এসপিডি আগের বারের চেয়ে খানিকটা ভালো করলেও সবুজ দল খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি৷ ফলে জোট গড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছাতে পারেনি তারা৷ আর বাম দলকে সঙ্গে নিয়ে এসপিডি-সবুজ-বাম জোট গড়ার ইচ্ছা নেই স্টাইনব্রুকের৷
ছবি: Reuters
আপেক্ষিক বিজয়
সর্বশেষ নির্বাচনে আগের বারের চেয়ে আরো খারাপ করেছে বাম দল৷ তা সত্ত্বেও সামান্য ব্যবধানে সবুজ দলের ঠিক পরেই তাদের স্থান হয়েছে৷ প্রাথমিক ফলাফলে কিছুক্ষণের জন্য তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল দলটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শুরুটা মন্দ নয়
ইউরো বিরোধী দল ‘আল্টারনেটিভে ফ্যুর ডয়চলান্ড’ বা ‘জার্মানির জন্য বিকল্প’ দল প্রথম বারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রায় পাঁচ শতাংশ জনসমর্থন জুটিয়ে ফেলেছে৷ পুরো পাঁচ শতাংশ সমর্থন অর্জন হলে জার্মান সংসদে যেতে পারতো সে দল৷ এই অর্জনকে মোটেই খাটো করে দেখছেন না সে দলের চেয়ারম্যান ব্যার্ন্ট ল্যুকে৷ বরং নতুন একটি দলের জন্য এই অর্জন অনেক৷
ছবি: Reuters
অনেক সুযোগ
জার্মানিতে ভোটারের সংখ্যা ৬১.৮ মিলিয়নের মতো৷ সর্বশেষ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৭৩ শতাংশ ভোটার৷ মোট ৩৪টি দলের ৪,৫০০ প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন৷ প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, সিডিইউ, সিএসইউ, এসপিডি, সবুজ এবং বাম দল জার্মান সংসদে প্রবেশের যোগ্যতা অর্জন করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
7 ছবি1 | 7
প্রতিরক্ষা বাজেট দ্বিগুণ করতে হবে
জার্মানি প্রতিবছর প্রতিরক্ষা খাতে ৩৭ বিলিয়ন ইউরো (৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় করে থাকে, যা কিনা জার্মানির জিডিপির ১ দশমিক ২৬ শতাংশ৷ জিডিপির দুই শতাংশে পৌঁছাতে জার্মানিকে সামরিক খাতে বছরে ৭০ বিলিয়ন ইউরোর বেশি ব্যয় করতে হবে, যা কিনা বর্তমান বাজেটের প্রায় দ্বিগুণ৷
এসপিডি প্রতিরক্ষা বাজেট এই পরিমাণে বাড়াতে রাজি নয়৷ দলের চ্যান্সেলর-পদপ্রার্থী মার্টিন শুলৎস এই লক্ষ্যকে অবাস্তব ও ভ্রান্ত বলে অভিহিত করেছেন৷ এর ফলে জার্মানি ইউরোপের বৃহত্তম সামরিক শক্তিতে পরিণত হবে, যা কারো পক্ষেই কাম্য হতে পারে না – শুলৎস স্মরণ করিয়ে দেন৷
এসপিডি দলের রাজনীতিক ও জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েলও বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গে একটি নির্বাচনি সমাবেশে ভাষণ দেবার সময় সামরিক খাতে জিডিপির দুই শতাংশ ব্যয়কে একটি ‘‘ভ্রান্ত ধারণা'' বলে অভিহিত করেছেন ও পরিবর্তে শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলেছেন৷ কিছুদিন আগে গাব্রিয়েল রসিকতা করে বলেছিলেন যে, ৭০ বিলিয়ন ইউরো খরচা করতে জার্মানিকে কতোগুলো বিমানবাহী পোত তৈরি করতে হবে, তা তিনি জানেন না৷
এসপিডি জার্মান সেনাবাহিনীকে আরো ভালোভাবে সজ্জিত করার উদ্দেশ্য পরিত্যাগ করেছে, বলে ফন ডেয়ার লাইয়েন অভিযোগ করেছেন৷ এসপিডির ‘‘পুরোপুরি লক্ষ্যহীন নির্বাচনি প্রচার অভিযান'' জার্মান সেনাসদস্য ও জার্মানির মিত্রদেশগুলির আস্থার বিনাশ ঘটাচ্ছে, বলে ফন ডেয়ার লাইয়েন মন্তব্য করেছেন৷
ইউরোপে ন্যাটোর অধিকাংশ সদস্যদেশ প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির দুই শতাংশের অনেক কম ব্যয় করে থাকে৷ যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ড সহ মাত্র কয়েকটি দেশ দুই শতাংশের বেশি ব্যয় করে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করে থাকে৷
লক্ষ্য না দায়িত্ব?
জিডিপির দুই শতাংশ ব্যয় সংক্রান্ত ন্যাটো প্রস্তাবটি বাধ্যতামূলক কিনা, তা নিয়েও সিডিইউ-সিএসইউ ও এসপিডি দলগুলির মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে৷ এসপিডি-র কাছে যা একটি লক্ষ্য বা মান নির্দেশ, সিডিইউ দলের কাছে তা একটি দায়িত্ব৷
কাজেই নির্বাচনি প্রচার অভিযানে সিডিইউ-সিএসইউ ‘‘সামরিক খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধীরে ধীরে জিডিপির দুই শতাংশ'' করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে; অপরদিকে এসপিডি কোনো ‘‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যের'' বিরুদ্ধে সাবধান করে দিচ্ছে ও প্রতিরক্ষা খাতে ‘‘পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয় ও অবাস্তব'' ব্যয়বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে৷ পরিবর্তে এসপিডি সংকট প্রতিরোধ ও মানবিক সাহায্যে বিনিয়োগ করতে চায়৷
অন্য দলেরা কী চায়?
বাম আর সবুজরাও সামরিক খাতে ব্যয়বরাদ্দ বৃদ্ধির বিপক্ষে৷ সবুজরা কোনো নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা কামনা করে না৷ অপরদিকে বামদল বস্তুত ন্যাটো ভেঙে দেওয়ার সপক্ষে – তারা চায় অস্ত্রসজ্জার পরিবর্তে নিরস্ত্রীকরণ৷
মুক্ত গণতন্ত্রীরা ২০১৩ সালের ভরাডুবির পর এবার জার্মান সংসদে ফেরার আশা করছে৷ তারা ন্যাটো ও ন্যাটো শীর্ষবৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবসমূহের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য পোষণ করে, বলে এফডিপি জানিয়েছে৷ এফডিপি ২০২৪ সাল অবধি ধাপে ধাপে প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর সপক্ষে – যদিও তারা জিডিপির দুই শতাংশ লক্ষ্যের কোনো উল্লেখ করেনি৷
দক্ষিণপন্থি এএফডি দল ‘‘সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার'' ডাক দিয়েছে৷ তারা ন্যাটোর অভ্যন্তরে ইউরোপীয় প্রভাব বৃদ্ধি কামনা করলেও, সেজন্য তারা প্রতিরক্ষা খাতে আরো বেশি ব্যয় করতে রাজি কিনা, সে বিষয়ে এএফডি কিছু বলেনি৷
নিনা ভ্যার্কহয়জার/এসি
জার্মানির জাতীয় নির্বাচন ২০১৭: কবে, কী হচ্ছে
তিনটি রাজ্যে নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৭ সালে৷ চলুন জেনে নেই জাতীয় নির্বাচনের টাইমলাইন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
জার্মানির বড় নির্বাচনের বছর
জার্মানিতে চলতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে একের পর এক নির্বাচন৷ একদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন, অন্যদিকে পপুলিস্ট পার্টি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) অভিবাসীবিরোধী অবস্থানের কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চিত যে, ২০১৭ সালের শেষে জার্মানির রাজনৈতিক অবস্থা এখনকার মতো থাকবে না৷
ছবি: Getty Images
জুন ১৯: দলের মনোনয়ন জমা দেয়ার দিন ছিল
জার্মানির সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল জুন ১৯৷ সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আগ্রহী দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আবেদন জানাতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
জুলাই ৭: কোন কোন দল লড়ছে?
সংসদ নির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নিতে পারবে তা ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ যদি কোন দল নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে পরবর্তী চারদিনের মধ্যে জার্মানির সাংবিধানিক আদালতে নালিশ করতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
জুলাই ১৭: কারা কারা থাকছেন?
চলতি বছরের ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কোন কোন প্রার্থী কোন কোন এলাকায় লড়বেন, তা চূড়ান্ত করতে হবে৷ জার্মানিতে একসঙ্গে দু’টি ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ প্রথমটি প্রার্থীকে, দ্বিতীয়টি দলকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
জুলাই ২৭: ব্যালটে নাম উঠানোর লড়াই
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে সাংবিধানিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাদের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ ২০১৩ সালে এই পন্থা চালু করা হয়েছিল৷ সেবছর এগারোটি দল আদালতের স্মরণাপন্ন হলেও কেউই মামলা জেতেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Steinberg
আগস্ট ১৩: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা
জার্মানিতে নির্বাচন শুরুর ছয় সপ্তাহ আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিক প্রচারণার পোস্টার বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে না৷ চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর তারিখ ১৩ আগস্ট৷ এই দিন থেকে দলগুলো তাদের প্রচারণায় কোনো ঘাটতি রাখবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
আগস্ট ২০: কে ভোট দিতে পারবেন?
নির্বাচনের মাসখানেক আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তালিকা চূড়ান্ত হবে৷ ভোটার লিস্ট ঘোষণা করবে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ৷ জার্মানিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি যে কোনো জার্মান নাগরিক ভোট দিতে পারবেন৷ সে হিসেবে চলতি বছর ভোটারের সংখ্যা সাড়ে ৬১ মিলিয়ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K.-D. Gabbert
সেপ্টেম্বর ৩: তিন সপ্তাহ বাকি
এই সময়ের মধ্যে সকল ভোটার পোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে ভোট দেয়ার সার্টিফিকেট পাবেন৷ যারা তখন অবধি ভোটার লিস্টে নিজেদের নাম পাননি, তারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন৷ আর যারা পোস্টের মাধ্যমে ভোট দিতে চান, তারা ব্যালট পেপার চাইতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
সেপ্টেম্বর ২৪: নির্বাচনের দিন
অবশেষে সেই মহেন্দ্রক্ষণ৷ জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ সেপ্টেম্বর৷ সেদিন সকাল আটটায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত৷ ভোটগণনা সেদিনই শেষ হবে এবং নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ রাতে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেপ্টেম্বর ২৫: বিজয়ী এবং বিজিত
সকল প্রতিনিধি এবং দলগত ভোট গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেয়া হবে ২৫ সেপ্টেম্বর৷ যদি কোনো প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জিততে ব্যর্থ হন, তা সত্ত্বেও দলগত জয়ের কারণে তিনি সংসদে একটি আসন পেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
অক্টোবর ২৪: নতুন সাংসদরা সংসদে
নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে নতুন সাংসদদের সংসদে মিলিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে৷ এ বছর সেই দিনটি হচ্ছে অক্টোবর ২৪৷ সেদিন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর নির্বাচিত হবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নভেম্বর ২৪: সবকিছু কি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে?
যদি কেউ জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে তার হাতে সময় থাকে নির্বাচন পরবর্তী দুই মাস৷ ভোটাররাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে কেউ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার রাখেন এই সময়ের মধ্যে৷