1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির সুপারমার্কেটেও করোনার আতঙ্ক

২ মার্চ ২০২০

করোনা ভাইরাসের কবলে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চল৷ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের জেরে সুপারমার্কেট থেকে দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য৷

Deutschland Sonsbeck, NRW | Coronavirus | Leeres Regal in Supermarkt
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Stoffel

বিশ্বের ৫০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস৷ এর মধ্যে রয়েছে জার্মানিও৷ সম্প্রতি জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে বেশ কয়েকজনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়৷ এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে৷বিপদ বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাসায় মজুত রাখতে শুরু করেছেন তারা৷ ভাইরাস ছড়ালে একঘরে করে রাখা হতে পারে আক্রান্তদের৷ বন্ধ হয়ে যেতে পারে দোকানপাট, সেই ভয়ে বেশি মাত্রায় খাবার কিনে জমিয়ে রাখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ কিন্তু এর ফলে সুপারমার্কেটে গিয়েও প্রয়োজনীয় পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসছেন অনেকে৷

জার্মানির সবচেয়ে বড় সুপারমার্কেট সংস্থা রেওয়ের এক মুখপাত্র শুক্রবার ডয়চে ভেলেকে জানান যে, গত সপ্তাহে এমন কোনো আতঙ্ক না থাকলেও নতুন সপ্তাহের শুরুতে হঠাৎ করে পরিস্থিতি বদলে যায়৷ রেভে গ্রুপের ক্রিস্টিনা শ্যুটজ বলেন, ‘‘ক্যানড খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয়

খাদ্যদ্রব্যের বিক্রি হঠাৎ বেড়ে গেছে৷'' একই বক্তব্য সাশ্রয়ী সুপারমার্কেট সংস্থা লিডলেরও৷ এইসব সংস্থার মতে, খাবারের পাশাপাশি জীবাণুরোধ করে এমন সামগ্রী, টয়লেট পেপার ও অন্যান্য জিনিসের বিক্রিও বেড়েছে৷ সুপারমার্কেটে ঢুকলেই সারি সারি খালি তাক চোখে পড়ছে ক্রেতাদের৷ অনেকে এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সোচ্চার হচ্ছেন৷

পরিস্থিতি সামাল দিতে যা যা করণীয়

যেসব পণ্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় নয়, তেমন জিনিস খুব বেশি না কিনতে স্থানীয়দের পরামর্শ দিচ্ছে জার্মানির নাগরিক সুরক্ষা ও দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগ বা বিবিকে৷ তাদের মতে, দশদিনের জন্য যতটুকু দরকার, ঠিক ততটুকু পণ্যই কিনে রাখা উচিত৷ কীভাবে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনবেন ও সঠিকভাবে মজুত রাখবেন, তা বোঝার সুবিধার্থে পণ্যের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ‘বিবিকে'৷ এই তালিকা মেনে চললে অন্যান্য নাগরিকের অসুবিধা কমবে ও পণ্যের সদ্ব্যবহার করা সহজ হবে বলে মনে করছে বুলগেরিয়ার পত্রিকা ২৪ শাশা৷

এক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাও খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে জার্মান সাংবাদিক সংস্থা ডিজেভি৷ ডিজেভি প্রধান ফ্রাঙ্ক উ্যবারাল বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতে মানুষের স্পষ্ট তথ্যের দরকার৷ অহেতুক জোরালো শিরোনাম নতুন করে ভয় বা আশঙ্কার সৃষ্টি করতে পারে, যা দায়বদ্ধ সাংবাদিকতার আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক৷''

ইয়েন্স ঠুরাও/এসএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ