স্যাক্সনি রাজ্যের একটি শহরের সুপারমার্কেটে অজ্ঞাত এক ধরনের গ্যাস ছড়ায় কয়েকজন৷ সেই গ্যাসের কারণে ১৫জন ক্রেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়৷
বিজ্ঞাপন
শনিবার জার্মানির পূর্বাঞ্চলের রাজ্য স্যাক্সনির ভাল্ডহাইম শহরের কয়েকটি সুপারমার্কটে ক্রেতারা অসুস্থ হয়ে পড়েন৷
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একটি ‘ইরিটান্ট গ্যাস'-এর কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা৷ ঘটনার তদন্ত করছে স্থানীয় পুলিশ৷
যা জানা গেছে
ভাল্ডহাইম শহরের একটি সুপারমার্কেটে বাজার করার সময় কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এসে গ্যাস ছড়াতে থাকে৷
পুলিশের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, একটি ‘অজ্ঞাত পদার্থ' সুপারমার্কেটে ছড়ানো হয়৷ এর ফলে ৪১জনের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তাদের মধ্যে ১৫জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷
দমকল কর্মী, অ্যামবুলেন্স ও পুলিশকর্মীরা পৌঁছান ঘটনাস্থলে৷ঘটনাস্থলে পৌঁছান জার্মান রেডক্রস কর্মীরাও৷ এ ঘটনার পর সুপামার্কেটটি বন্ধ রাখা হয়৷
এই অজ্ঞাত গ্যাসটি কী এবং তা কেনই বা এভাবে ছড়ানো হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
এসএস/এসিবি (ডিপিএ, ডয়চে ভেলে সূত্র)
সুপারমার্কেটে যাওয়ার আগে যা জানা উচিত
ডিম কোথায়? বাজার করার ট্রলি কেন একটির সঙ্গে অন্যটি আটকানো থাকে? জার্মানির সুপারমার্কেটে যাঁরা নতুন, তাঁদের জন্য কয়েকটি পরামর্শ থাকছে এখানে৷
ছবি: DW/E. Grenier
সুপারমার্কেটের রকমভেদ সম্পর্কে জেনে নিন
জার্মানিতে নতুন আগতদের পক্ষে সুপারমার্কেটের বিভিন্ন ধরন নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা যায়৷ জার্মানিতে কয়েকটি সুপারমার্কেট চেইন যেমন আছে, তেমনি আরো কিছু চেইনশপ আছে যেগুলো আসলে ‘ডিসকাউন্টার’ হিসেবে পরিচিত৷ পাশাপাশি ‘বায়ো’ হিসেবে আখ্যায়িত কিছু সুপারমার্কেট আছে, যেখানে শুধুমাত্র ‘অর্গানিক’ খাদ্য বিক্রি করা হয়৷ এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, চীন, কিংবা দক্ষিণ এশিয়ার খাদ্যপণ্য বিক্রি করার বিশেষায়িত দোকান রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Anspach
‘ডিসকাউন্টার’-এ বৈচিত্র্য কম থাকে
সুপারমার্কেটে যেমন বিভিন্ন ধরনের পণ্যের সমাহার দেখা যায়, তেমনটি ‘ডিসকাউন্ট’ চেইনগুলোতে থাকে না৷ সেখানে পণ্যের বৈচিত্র্য খুব কম থাকে৷ এসব দোকানের লক্ষ্য থাকে সস্তায় পণ্য বিক্রি করা৷ ফলে, আপনি যদি সুনির্দিষ্ট কিছুর খোঁজে কোনো ডিসকাউন্টারে ঢোকেন, সেখানে সেটি পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে৷ লিডেল এবং আলডি’র মতো দোকানগুলো ‘ডিসকাউন্ট চেইন’ হিসেবে বিবেচিত৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Murat
‘শপিং কার্ট’-এর জন্য কয়েন নিয়ে যান
জার্মানিতে নবাগতরা শপিং কার্ট বা বাজারের ট্রলি একটির সঙ্গে আরেকটির আটকে থাকা দেখে অবাক হন৷ এসব ট্রলি আলাদা করতে এক বা দুই ইউরোর কয়েন ব্যবহার করতে হয়৷ কেউ কেউ ভাবেন, চোরের হাত থেকে ট্রলি বাঁচাতে বুঝি এভাবে সেগুলো আটকে রাখা হয়৷ বিষয়টি আসলে তা নয়, ট্রলিগুলো যাতে ব্যবহারের পর আবার নির্দিষ্ট স্থানে রেখে আসা হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা৷
ছবি: DW/E. Grenier
কখনো কখনো বেশি সস্তা
ডিসকাউন্ট স্টোরে মাঝেমাঝে অবিশ্বাস্য সস্তায় পণ্য কেনা যায়৷ যেমন, এই পুডিংয়ের দাম মাত্র ২৫ সেন্ট৷ কয়েকদিন আগে এক ইসরায়েলি নিজের পরিচয় গোপন রেখে ইসরায়েল এবং জার্মানিতে খাদ্যপণ্যের দামের ব্যবধান দেখিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন, যা ভাইরাল হয়ে যায়৷ তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, তাঁর দেশের তুলনায় জার্মানিতে খাবারদাবারের দাম অনেক কম৷ তাই, সবার বার্লিনে চলে যাওয়া উচিত৷
ছবি: DW/E. Grenier
ফ্রিজে ডিম খুঁজবেন না
উত্তর আমেরিকা থেকে আসা যে কেউ মুদি দোকানের ফ্রিজে ডিম খুঁজবেন৷ এটা তাঁরা এজন্য করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘সালমোনেলা’ ঠেকাতে দোকানে পাঠানোর আগে ডিম পরিষ্কার করতে হয়৷ আর সেই প্রক্রিয়ায় ডিমের খোসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ ফলে সেটিকে ফ্রিজে রাখতে হয়৷ জার্মানিতে ডিম পরিষ্কার করা নিষিদ্ধ৷ রোগবালাই প্রতিরোধে বরং মুরগিকে টিকা দেয়া হয়৷ তাই দোকানে ডিম থাকে সাধারণত তাকে, স্বাভাবিক তাপমাত্রায়৷
ছবি: picture-alliance/Eibner-Pressefoto
রবিবারের খাবারের পরিকল্পনা আগেই করুন
জার্মানিতে অধিকাংশ দোকানই রবিবার বন্ধ থাকে৷ তাই সেদিন কী খাবেন, সেটা আগে থেকে কিনে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন৷ রবিবার দিনটা আসলে জার্মানদের কাছে বিশ্রামের দিন হিসেবে বিবেচিত৷ তাই এই দিনে তাঁরা কোনো রকমের ঝক্কিঝামেলা ছাড়া শান্তিতে কাটাতে চান৷ তবে বছরের নির্দিষ্ট কয়েকটি রবিবার সব দোকানপাট খোলা রাখা হয়৷ আর ইস্টার কিংবা বড়দিনের সময় রবিবার ছাড়াও কয়েকদিন সুপারমার্কেট বন্ধ থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা
সুপারমার্কেট বা ‘ডিসকাউন্ট’ চেইনে ভিড় বেড়ে গেলে দাম চুকানোর জন্য বাড়তি লেন চালু করা হয়৷ প্রায়ই দেখা যায়, বাড়তি লেনে যাওয়ার জন্য অন্য লেনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষরা তাড়াহুড়া শুরু করেন৷ এক্ষেত্রে লাইন মেনে চলার নিয়ম ভুলে যান জার্মানরা৷ ভাবটা এমন, আমি আগে বুঝেছি নতুন লেন চালু হবে, তাই আমি আগে যাবো৷
ছবি: DW/E. Grenier
চেকআউট ডিভাইডার ব্যবহার করুন
সুপারমার্কেটে পণ্যের দাম দেয়ার জন্য সেগুলো চেকআউট পয়েন্টে একটি ‘কনভেয়র বেল্ট’-এর উপর রাখতে হয়৷ সবসময় আপনার পণ্য রাখার পর চেকআউট ডিভাইডার রেখে দেবেন৷ তাহলে আপনার পেছনে থাকা ব্যক্তিটি তাঁর পণ্য বেল্টে রাখা শুরু করতে পারবেন৷ অনেক জার্মান এটাকে ভদ্রতা হিসেবে বিবেচনা করেন৷
ছবি: DW/E. Grenier
সবকিছু দ্রুত গুছিয়ে ফেলুন
কেনাকাটার পর সেগুলো দ্রুত ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলতে হবে৷ সুপারমার্কেট বা ডিসকাউন্ট শপগুলোতে ‘চেকআউট’-এর পর পণ্য ব্যাগে ঢোকানোর জন্য কাউন্টারে যথেষ্ট জায়গা বা সময় থাকে না৷ সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে যদি আপনি আপনার পণ্য আবার শপিং কার্টে তুলে নিয়ে একটু নিরিবিলি কোথাও গিয়ে সেগুলো ব্যাগে ভরে ফেলেন৷