জার্মানির স্কুলগুলোতে এ মুহূর্তে ৫৪ হাজার শিক্ষার্থী ইসলাম ধর্ম পড়ছে৷কিন্তু বাস্তবে অনেক বেশি শিক্ষার্থী মুসলিম সম্প্রদায়ের এই ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মৌলবাদ রুখতে এ সুযোগ সবাইকে দেয়া উচিত৷
বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যমকে তথ্য সরবরাহ করার প্রতিষ্ঠান মেডিয়েনডিনস্ট ইন্টেগ্রাৎসিয়ন৷ সম্প্রতি জার্মানির ১৬টি রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারা দেখেছে, এ দেশের ৮০০ স্কুলে এ মুহূর্তে মোট ৫৪ হাজার শিক্ষার্থী স্কুলে ইসলাম ধর্ম পড়ছে৷ দু'বছর আগে যেখানে ৪২ হাজার শিক্ষার্থী এ সুযোগ পেত, সেই তুলনায় ১২ হাজার অন্তত বেড়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে মেডিয়েনডিনস্ট ইন্টেগ্রাৎসিয়ন৷ তবে তারা মনে করে, আরো অন্তত দশগুণ শিক্ষার্থী আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও স্কুলে ইসলাম ধর্ম পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না৷
জার্মানির অভিবাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক কেন্দ্রীয় কার্যালয় বিএএমএফ ২০০৮ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল৷ ‘জার্মানিতে মুসলমানদের জীবন' শীর্ষক ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছর আগে জার্মানিতে অন্তত ৫ লক্ষ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী স্কুলে ইসলাম ধর্ম অধ্যয়নে আগ্রহী ছিল৷
কিন্তু ২০১৫ সালে ব্যাপক হারে শরণার্থীর আগমন শুরুর পর থেকে জার্মানিতে মুসলিমের সংখ্যা অনেক বেড়েছে৷ তাই এ মুহূর্তে ঠিক কতজন শিক্ষার্থী ইসলাম ধর্ম পড়তে আগ্রহী তার সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন৷ তবে ওসনাব্র্যুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক রাউফ চেলান মনে করেন, মুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন ৭ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৮ লক্ষ হতে পারে৷ সুতরাং, ২০০৮ সালের তুলনায় যে আরো অনেক বেশি শিক্ষার্থী ইসলাম ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে না, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই৷
কিন্তু রাউফ চেলান মনে করেন, ধর্ম শিক্ষার বিষয়টিকে মসজিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখলেশিক্ষার্থীদের মৌলবাদ থেকে দূরে রাখা অনেক সহজ হবে৷ নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের হাম শহরের ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক মুসা বাগ্রাচ-ও তাই মনে করেন৷
তবে সব স্কুলে ইসলাম ধর্ম পড়ানো শুরু করা খুব সহজ কাজ নয়৷ প্রথমত, ইসলাম ধর্ম পড়ানোর মতো শিক্ষক প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম৷ আবার কোনো শ্রেণিতে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী ধর্মীয় এ বিষয়টি পড়তে আগ্রহী না হলে এবং সেই আগ্রহের কথা তারা লিখিতভাবে না জানালে কোনো স্কুলের এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার সুযোগও নেই৷
ধর্ম ও রাষ্ট্রের মধ্যে পৃথককরণ
তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসনের আমল থেকে ‘‘ধর্ম ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিচ্ছেদ’’ কথাটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে চালু৷ বিভিন্ন দেশের সংবিধানে এই সমস্যার মূল্যায়ন ও সমাধান আজও আলাদা৷ তার কিছু নমুনা৷
ছবি: Jewel Samada/AFP/Getty Images
অস্ট্রেলিয়া
কমনওয়েলথ দেশটির সংবিধানে কোনো ধর্ম প্রতিষ্ঠা বা সরকারি পদ গ্রহণের জন্য কোনো ধর্ম পরীক্ষা নিষেধ করা আছে৷ অপরদিকে যে কোনো ধর্ম মুক্তভাবে পালন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে৷ (ছবিতে সিডনির সংসদ ভবনের উপর অস্ট্রেলিয়ার লোগো)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Coch
ব্রাজিল
ব্রাজিলের বর্তমান সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে; কোনো রাষ্ট্রীয় গির্জা প্রতিষ্ঠা নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ সরকারি কর্মকর্তাদের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ‘‘জোট গঠন বা নির্ভরতা’’ নিষিদ্ধ৷ (ছবিতে ব্রাজিলের কনগ্রেসো নাসিওনাল বা জাতীয় কংগ্রেস, যার দুই কক্ষ হলো সেনেট এবং চেম্বার অফ ডেপুটিজ)৷
ছবি: Voishmel/AFP/Getty Images
চীন
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘‘কোনো সরকারি বিভাগ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নাগরিকদের কোনো ধর্মে বিশ্বাস করতে বা না করতে বাধ্য করতে পারবে না; এছাড়া যে সব নাগরিক কোনো ধর্মে বিশ্বাস করেন অথবা করেন না, তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করা চলবে না৷’’ (ছবিতে বেইজিং-এর গ্রেট হল অফ দ্য পিপল, যেখানে প্রতিবছর ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/How Hwee Young
ফ্রান্স
ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিচ্ছেদকে ফরাসিতে বলা হয় ‘লাইসিতে’৷ ফ্রান্সে ধর্ম ও রাজনৈতিক ক্ষমতাকে পরস্পরের থেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷ একদিকে যেমন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ থেকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, অপরদিকে সরকারি ক্ষমতাকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির প্রভাবমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷ (ছবিতে প্যারিসের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা জাতীয় সম্মেলন)৷
ছবি: picture-alliance/ZB/M. Tödt
জার্মানি
জার্মান সংবিধানে ধর্মের স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে, যদিও জার্মানিতে গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে পুরোপুরি বিচ্ছেদ নেই৷ সরকারিভাবে স্বীকৃত গির্জাগুলিকে পাবলিক কর্পোরেশনের মর্যাদা দেওয়া হয়, তাদের প্রাপ্য কিছু কিছু কর সরকার আদায় করে দেন – তবে বিনামূল্যে নয়৷ ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক পাঠ্য বিষয় নয়৷ (ছবিতে বার্লিনের বুন্ডেসটাগ বা জার্মান সংসদ)৷
ছবি: imago/Schöning
জাপান
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন দখলদারির সময় ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মার্কিন ধ্যানধারণা জাপানে আরোপিত হয়৷ জাপানের সংবিধানে ধর্মপালনের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করা হয়েছে, অপরদিকে সরকার ধর্মপালনের জন্য কোনোরকম চাপ দিতে পারবেন না, অথবা কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে সরকারি অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না৷ (ছবিতে টোকিও-র সংসদভবন)৷
ছবি: Reuters
সুইজারল্যান্ড
সুইশ কনফেডারেশনের ফেডারাল সংবিধানে ‘‘ধর্ম ও বিবেকের স্বাধীনতা’’-র গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে৷ বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে, ‘‘কোনো ব্যক্তিকে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ে যোগ দিতে বা অঙ্গ হতে, কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে বা ধর্মীয় নির্দেশ অনুসরণ করতে বাধ্য করা চলবে না’’৷ (ছবিতে বার্ন শহরের বুন্ডেসহাউস বা ফেডারাল প্যালেস, যেখানে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন বসে)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Klaunzer
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের চার্চ অফ ইংল্যান্ডের প্রধান হলেন ব্রিটিশ নৃপতি স্বয়ং, তিনিই গির্জার উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের নিয়োগ করেন৷ হাউস অফ লর্ডস-এও ২৬ জন বিশপের আসন আছে৷ সব সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যে গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে যোগাযোগ সীমিত, যুক্তরাজ্যে সরকারি শাসনও অপেক্ষাকৃতভাবে ধর্মনিরপেক্ষ৷ ব্রিটেনের অলিখিত সংবিধান অনুযায়ী অপরাপর ধর্মীয় গোষ্ঠীও ব্যাপক স্বাধীনতা উপভোগ করে৷ (ছবিতে প্যালেস অফ ওয়েস্টমিনস্টার)৷
ছবি: Mohammad Karimi
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
গির্জা ও রাষ্ট্রের বিচ্ছেদ সম্পর্কে জেফারসনের প্রখ্যাত উক্তি মার্কিন সংবিধানে উল্লিখিত নেই৷ ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্টে বলা হয়েছে যে, ‘‘(মার্কিন) কংগ্রেস কোনো ধর্ম প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে, বা মুক্তভাবে ধর্মপালন নিষিদ্ধ করে কোনো আইন প্রণয়ন করবে না’’৷ (ছবিতে ক্যাপিটল হিল-এ মার্কিন কংগ্রেসের আসন)৷
ছবি: Jewel Samada/AFP/Getty Images
9 ছবি1 | 9
অনেক মুসলিম শিক্ষার্থী সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত?
এমনটিই মনে করেন, মুসা বাগ্রাচ৷ জার্মানির মৌলিক আইনের ৭ নং ধারার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারগুলোর কোনো তদরারকি ছাড়া মসজিদে আরবি, তুর্কি বা অন্য ভাষায় ধর্ম পড়ানো চলতে না দিয়ে সরকারের উচিত স্কুলে জার্মান ভাষায় ইসলাম ধর্ম পড়ানোর ব্যবস্থা করা৷
কিন্তু ভিন্নমতও রয়েছে৷ বার্লিনের এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলের ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থীই মুসলিম পরিবারের সন্তান৷ নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার ওই ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্ন করলে সকলেই হয়ত জানাবে, তারা স্কুলে ইসলাম ধর্ম পড়তে আগ্রহী৷ কিন্তু আমি বলবো, তার কোনো দরকারই নেই৷ (ইসলাম ধর্ম পড়তে) তোমরা মসজিদে যাও, স্কুলেও এ ব্যবস্থার কোনো দরকার নেই৷''
ওই শিক্ষিকা মনে করেন, বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম সম্পর্কে, ধর্মের উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার দরকার আছে৷ গর্ভপাতের মতো বিষয়গুলোতে নানা দৃষ্টভঙ্গি থেকে আলোচনার দরকার আছে বলেও মনে করেন তিনি৷ কিন্তু স্কুলে ধর্ম শিক্ষার বিষয়ে তাঁর সরাসরি বক্তব্য, ‘‘আমি মনে করি, ধর্ম কীভাবে চর্চা করা হবে এ সংক্রান্ত প্রতিটি বিষয়ই স্কুলের বাইরে থাকা উচিত৷ এ কারণেই আমরা রাষ্ট্র থেকে গির্জাকে আলাদা রেখেছি৷''
বেন নাইট/এসিবি
২০৭০ সালে ইসলাম হবে বিশ্বের সবচেয়ে ‘বড় ধর্ম’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার এক প্রতিবেদনে বলেছে, আগামী ২০৭০ সালে অনুসারীর সংখ্যায় বিশ্বের অন্য সব ধর্মকে ছাড়িয়ে যাবে ইসলাম৷ অর্থাৎ ৫৩ বছর পর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি থাকবে মুসলমান৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Getty Images/AFP/Stringer
খ্রিষ্টানদের ছাড়িয়ে যাবে...
২০১০ সালে সারা বিশ্বে মোট ২১৭ কোটি মানুষ খ্রিষ্ট ধর্ম অনুসরণ করতো৷ তারপরই ছিল ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা৷ তখন বিশ্বে মোট ১৬০ কোটি ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছিল৷ কিন্তু পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদন বলছে, ৫ দশক পর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের পিছনে ফেলে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি হয়ে যাবে মুসলমান৷
ছবি: Reuters/A. Bianchi
জন্মহার সবচেয়ে বেশি
কেন এত দ্রুত ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বাড়বে? বলা হচ্ছে, সারা বিশ্বে মুসলমানদের জন্মহার বেশি আর মূলত এ কারণেই সংখ্যায় সব ধর্মকে পিছনে ফেলবে তারা৷ মুসলমানদের শিশু জন্মহার ৩ দশমিক ১ শতাংশ আর খ্রিষ্টানদের ২ দশমিক ৭ শতাংশ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Taherkenareh
তরুণ অনুসারী বেশি
অন্য সব ধর্মের তুলনায় ইসলাম ধর্মের তরুণ অনুসারী বেশি৷ এ মুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের বয়স ১৫ বছরের নীচে৷ অন্যদিকে ৩৪ শতাংশ ইসলাম ধর্মবলম্বীর বয়স ১৫ বছরের কম৷ তার মানে, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বেশি দিন সন্তান জন্ম দেয়ার সুযোগও বেশি৷
ছবি: AP
নাস্তিক কমবে
পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে নাস্তিক অনেক কমবে৷ এখন যেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ নাস্তিক, সেখানে ২০৫০ নাগাদ তা কমে হবে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ৷
ছবি: facebook.com/We.R.Atheists
২০৭০ সালে সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মুসলমান
পিউ রিসার্চ সেন্টারের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে আরো যে বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে, তা হলো, ২০১০ সাল থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে৷ এই সময়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বী বাড়বে ৭৩ শতাংশ৷ ফলে এক সময় স্বাভাবিক কারণেই সংখ্যায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ছাড়িয়ে যাবে ইসলাম৷ পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০৭০ নাগাদ সারা বিশ্বে মুসলমানই সবচেয়ে বেশি থাকবে৷