জার্মানির স্কুলগুলোতে গোয়েন্দাগিরি করছে তুরস্ক?
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭![Symbolbild Lernen](https://static.dw.com/image/18269126_800.webp)
জার্মানির মসজিদগুলোর ইমামদের একটি অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগটি তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়া তুর্কি রাজনীতিবিদ ফেতুল্লাহ গুলেনের সমর্থকদের ওপর নজর রাখছেন এবং তাঁদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছেন৷ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান এবং তাঁর সরকার মনে করে, গত বছরের জুলাইয়ে যে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছিল, তার পেছনে গুলেনের হাত ছিল৷ গুলেনের সমর্থকরাই এর্দোয়ানকে উৎখাতের চেষ্টা করেছিলেন – এই অভিযোগ তুলে কথিত অভ্যুত্থান চেষ্টার পর থেকে বিরোধী সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক গ্রেপ্তার অভিযান চালায় এর্দোয়ান সরকার৷ হাজার হাজার মানুষকে চাকুরিচ্যুত করা হয়৷ সংবাদমাধ্যমের ওপরও আরোপ করা হয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ৷
দেশে এমন দমন-পীড়ন চালানোর পর এবার কি দেশের বাইরের গুলেন সমর্থকদের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে এর্দোয়ান সরকার? সন্দেহটা প্রথম দানা বাঁধে টার্কিশ-ইসলামিক ইউনিয়ন ফর রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার (ডিআইটিআইবি) নামের সংগঠনটির বিরুদ্ধে জার্মানিতে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হওয়ার পর৷
জার্মানির মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে নয়শ'রও বেশি মসজিদ৷ কয়েকটি মসজিদের ইমামদের বিরুদ্ধে গুলেন সমর্থকদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ পাওয়ার পরই ডিআইটিআইবি-র বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷
জার্মানির সবুজ দলের তুর্কি বংশোদ্ভূত নেতা চেম ও্যজদেমিরের একটি টুইট সবার খুব নজর কাড়ে৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘জার্মানির স্কুলগুলোতে এর্দোয়ানের প্রোপাগান্ডার কোনো স্থান নেই৷ পুরো গোয়েন্দাজালটাই ধ্বংস করতে হবে৷''
গত বৃহস্পতিবার নর্থ-রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্য কর্তুপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তুর্কি কনসুলেট সত্যিই স্থানীয় স্কুলগুলোতে গোয়েন্দাগিরি শুরু করেছে কিনা তা ভালো করে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে৷
অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিশেষ করে ড্যুসেলডরফ এবং এসেনের তুর্কি কনসুলেট জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কিদের ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছে৷ সেই বৈঠকে তুর্কিদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন স্কুলের পাঠ্যসূচিতে এর্দোয়ানবিরোধী কিছু আছে কিনা তা জেনে কনসুলেটকে জানান৷ তুর্কি শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অন্য শিক্ষকদের গতিবিধি এবং কাজ পর্যবেক্ষন করতে বলা হয়েছে বলেও নর্থ-রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে৷
চেজ উইন্টার/এসিবি