জার্মানির এক স্কুলে বৃহস্পতিবার এক শিক্ষার্থীর গুলিতে আরেক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে৷ হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অফেনবুর্গ শহরের এক স্কুলে এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ নিহত ও হামলাকারী দুজনেরই বয়স ১৫৷
তদন্তকারীরা বলছেন, হামলাকারী দুপুরের দিকে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ঐ শিক্ষার্থীর কাছে গিয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে৷ পরে ঐ শিক্ষার্থী হাসপাতালে মারা যায়৷
হামলার সময় স্কুলে প্রায় ১৮০ শিক্ষার্থী ছিল৷ তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়৷
পুলিশ এবং প্রসিকিউটররা মনে করছেন, সন্দেহভাজন একাই হামলাটি পরিচালনা করেছে৷ অভিযুক্ত অপরাধী ও নিহত শিক্ষার্থী একে অপরকে আগে থেকে চিনতো বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে৷
দুই নাবালকের মধ্যে দ্বন্দ্বের পেছনে ‘ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য' থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
বৃহস্পতিবার অফেনবুর্গে এই ঘটনার আগের দিন হামবুর্গের এক স্কুলে দুই শিশু বন্দুক দেখিয়ে শিক্ষককে হুমকি দিয়েছিল৷ ঐ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি৷
জার্মানিতে বন্দুক হামলা তুলনামূলকভাবে বিরল ঘটনা৷ তবে গত কয়েক মাসে প্রাণঘাতী কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যেগুলোর সঙ্গে তরুণরা জড়িত ছিল৷
জেডএইচ/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)
জার্মানিতে অস্ত্র কোথায় যায়, কোথা থেকে আসে
সেনাবাহিনীর অস্ত্রাগার থেকে খোয়া গেছে বিপুল পরিমাণ গুলি ও বিস্ফেরক৷ অন্যদিকে গত তিন বছরে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷কোথায় গেল গুলি, বিস্ফোরক; পুলিশের উদ্ধার করা অস্ত্রের উৎসই বা কী?
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Seidel
সেনাবাহিনীর গুলি ও বিস্ফোরক চুরি!
জার্মানির সেনাবাহিনীর কমান্ডো ইউনিট কেএসকে-র অস্ত্রাগার থেকে ৬০ হাজার রাউন্ড গুলি এবং অন্তত ৬২ কিলোগ্রাম ওজনের বিস্ফোরক লাপাত্তা! গত মাসে খোদ জার্মান সেনাবাহিনীই জানিয়েছে এই তথ্য৷
ছবি: picture-alliance/Chromorange/bilderbox
কোথায়, কার কাছে গেল?
এত বিপুল পরিমাণ গুলি ও বিস্ফোরক কোথায়, কার হাতে গেল এই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে জার্মানিতে৷ সম্প্রতি কেএসকে-র সঙ্গে চরম ডানপন্থিদের সম্পৃক্ততার খবর জার্মানিতে বেশ সাড়া জাগায়৷এ কারণে কেএসকে-র কিছু সেনাকে বরখাস্ত করেছে জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Gollnow
চরম ডানপন্থিদের উত্থান
সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানিতে চরম ডানপন্থিদের সক্রিয়তা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে৷ গত জুলাই মাসে এক প্রতিবেদনে জার্মানির অভ্যন্তরীন গোয়েন্দা সংস্থা বিএফভিও-ও এমন তথ্যই তুলে ধরেছে৷ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে জার্মানিতে ৩২ হাজার ৮০ জন সক্রিয় চরম ডানপন্থিকে চিহ্নিত করে বিএফভি৷ ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ২৪ হাজার ১০০৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Pfeiffer
চরম ডানপন্থিদের হামলা
গত বছর হানাউ এবং হালেতে হামলা চালায় চরম ডানপন্থি বন্দুকধারী৷
সে বছর বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ ভাল্টার ল্যুবক৷ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক দুই চরম ডানপন্থির বিচার সম্প্রতি ফ্রাঙ্কফুর্টে শুরু হয়েছে৷
ছবি: AFP/J. McDougall
বাজেয়াপ্ত অস্ত্রের বিষয়ে অনেক তথ্য অজানা
এদিকে ২০১৭ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে জার্মানির বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷ অস্ত্রগুলোর বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন জার্মানির বাম দলের সাংসদ মার্টিনা রেনার৷ অস্ত্রগুলো কোনো চরম ডানপন্থিদের কাছে পাওয়া গিয়েছিল কিনা, সেগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা তা জানতে কয়টি তদন্ত হয়েছে - এমন ২০টি প্রশ্নের ১৪টিরই জবাব পাননি৷ সংসদে জানানো হয়েছে, এসব বিষয়ে সরকার এখনো অন্ধকারে৷