1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সুবজ ক্লাসরুম'

২০ ডিসেম্বর ২০১৭

জার্মানি এক স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সুবজ ক্লাসরুম' চালু করেছে৷ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ে উৎসাহী করে তোলা হচ্ছে৷ কর্তৃপক্ষের আশা, স্কুলে শেখা বিষয় শিক্ষার্থীরা নিজেদের বাড়িতেও কাজে লাগাবে৷

Chile  Santiago de Chile - Bildung: Zeichnung in Klassenzimmer
ছবি: J. Chambers

সবুজ ক্লাসরুমের শিক্ষার্থীরা ঘাস কাটার একটি যন্ত্রকে কীভাবে পরিবেশবান্ধব করে তোলা যায় তা শেখে৷ সৌরশক্তি দিয়ে যন্ত্রটি চালানোর পাশাপাশি সেটি যেন নির্দিষ্ট স্থানের মধ্যে চলাফেরা করে তা নিশ্চিত করতে স্কুলের মাঠের চারপাশে মাটির নীচে তার বসিয়ে দেয়া হয়৷

স্কুলের ছাত্র টোবিয়াস ব়্যুলকে বলছে, ‘‘মাটির নীচে বসানো এই তার ঘাস কাটা রোবট যন্ত্রের জন্য সীমানা হিসেবে কাজ করবে৷ যন্ত্রটি এই তারের কাছে আসা মাত্র দিক পরিবর্তন করবে৷''

ব়্যুলকে ও তার বন্ধুরা পারশিম শহরে তাদের হাইস্কুলের একটি পরিবেশবাদী গোষ্ঠীর সদস্য৷

শিক্ষকরাও এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত৷ ব্যার্বেল ল্যুডকে জীববিজ্ঞান ও রসায়ন পড়ান৷ তিনি তাঁর শিক্ষার্থীদের পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে চান৷ ফাঁকা সময়েও সবুজ ক্লাসরুমে কাজ করেন তিনি৷ ল্যুডকে বলেন, ‘‘আমি চাই, আমরা শিক্ষার্থীদের এখানে যা শেখাচ্ছি সেটা তারা বাসায়ও কাজে লাগাক৷ যেমন, যেখানে সেখানে সবকিছু ছুড়ে না ফেলা, বাগানে ময়লা না পোড়ানো কিংবা পরিবেশ দূষণ করে এমন গাড়ি না চালানো, ইত্যাদি৷ কীভাবে সম্পদ সংরক্ষণ করতে হয় তা তাদের জানা প্রয়োজন৷''

অনেক কিছু শেখায় ‘সুবজ ক্লাসরুম’

04:31

This browser does not support the video element.

স্কুলের সাবেক ছাত্র হানেস ফ্যোলশ এখন স্থানীয় এক কোম্পানিতে জ্বালানি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন৷ স্কুলের সৌরশক্তি ব্যবস্থার নকশায় সহায়তা করছেন তিনি৷ নিজের সাবেক স্কুলের কাজ দেখে খুবই সন্তুষ্ট হানেস৷ তিনি বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষ যে এমন একটা প্রকল্প গুরুত্ব সহকারে বাস্তবায়ন করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য৷ এটা শুধু অর্থের ব্যাপার নয়৷ এখানে তারা সেটা পেয়েছে৷ আর এখান থেকে আরও ছোট ছোট প্রকল্প শুরু হয়েছে৷ যেমন ঘাস কাটার এই যন্ত্র৷''

স্কুলের ছাদে অনেক সৌরপ্যানেল বসানো হয়েছে৷ এটি একদিকে পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে খরচ কমায়৷ পুরো স্কুলের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটায় এটি৷ বাকিটা গ্রিডে পাঠানো হয়৷

এছাড়া একটি অ্যাপের সাহায্যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রয়োজন না থাকলে লাইটের সুইচ বন্ধ করতে উৎসাহিত করা হয়৷ এ সম্পর্কে কালভিন এমকে বলেন, ‘‘যতবার আপনি এরকম এতটি কিউআর কোড স্ক্যান করবেন, একটি পয়েন্ট পাবেন৷ যে বেশি পয়েন্ট পাবে সে জ্বালানি সাশ্রয়ের চ্যাম্পিয়ন হবে৷''

উদ্দেশ্য, কিশোর-কিশোরীদের পরিবেশ ও পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে আগ্রহী করে তোলা৷

ভূগোল এমন একটা বিষয় যেখানে অনেক কিছু একসঙ্গে শেখা যায়৷ টোবিয়াস ব়্যুলকে বলছে, ‘‘বৈশ্বিক উষ্ণতা মানে হচ্ছে পোলার বেয়ার আর পেঙ্গুইনরা উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে তাদের আবাস হারাচ্ছে৷'' নেলে রেশ বলছে, ‘‘ভূগোল আমাদের শেখায়, আরাল সাগর একসময় হারিয়ে যেতে পারে৷''

ইউলিয়া হাইনরিশমান/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ