1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির পররাষ্ট্রনীতি

আলোইস ব্যার্গার/এসি২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, জার্মানি আফ্রিকায় আরো বেশিভাবে সক্রিয় হবে৷ এছাড়া ফ্রান্সের সঙ্গে বর্ধিত সামরিক সহযোগিতার কথাও বলেছেন তিনি৷

মালিতে প্রশিক্ষণ কাজে জার্মান সেনাছবি: picture-alliance/dpa

ম্যার্কেল একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘‘আমরা মালিতে ফরাসি সেনাবাহিনীকে তাদের বিমানগুলোয় তেল ভরায় সাহায্য করেছি৷ আরো অনেক কিছু করা সম্ভব৷'' করা যে সম্ভব, সেটা বিগত ২৫ বছর ধরেই জানা৷ গত ২৫ বছর ধরে ফ্রান্স ও জার্মানি মোট ছ'হাজার সৈন্যের একটি যৌথ ব্রিগেড পুষে আসছে, যে ব্রিগেড ফ্রান্সের যাবতীয় চাপ সত্ত্বেও কোনোকালে কোনো অভিযানে ব্রিগেড হিসেবে সক্রিয় হয়নি৷

অনুরূপভাবে ফরাসি সরকার বহু বছর ধরে আফ্রিকায় ফরাসি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে জার্মান সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করে আসছেন, কিন্তু জার্মানি এমনকি মানবিক অভিযানেও সংশ্লিষ্ট হতে অস্বীকার করে এসেছে৷ বার্লিন বড়জোর মালিতে কিছু স্যানিটারি ডিভিশনের কর্মী অথবা মালির সৈন্যদের জন্য সামরিক প্রশিক্ষক পাঠিয়েছে, নয়তো সামরিক সরঞ্জাম ধার দিয়েছে৷

ফ্রান্স বহু বছর ধরে আফ্রিকায় ফরাসি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে জার্মান সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করে আসছেছবি: picture-alliance/dpa

হতাশ হতেই পারে ফ্রান্স

গত চার বছর ধরে ফ্রান্সকে বিশেষভাবে হতাশ হতে হয়েছে বলা চলে৷ এই সময়ে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে জার্মানি যতই পরাশক্তি বলে প্রতিভাত হয়েছে, ঠিক সেই পরিমাণে ম্যার্কেলের জার্মানি পররাষ্ট্রনীতি ও নিরাপত্তা নীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বামনের আকার ধারণ করেছে – অন্তত ফরাসি দৃষ্টিকোণ থেকে সেটা মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক৷

‘‘আমরা ও-তে নেই'', এই মনোভাবকে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে আখ্যা দেন ‘‘সংযমের নীতি''৷ প্যারিস যে বার্লিনের কাছ থেকে আরো বেশি সামরিক অংশগ্রহণ দাবি করছে, সে বিষয়ে তৎকালীন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ের এক কথায় বলেন, জার্মানির তার সহযোগীদের কাছ থেকে উপদেশের প্রয়োজন নেই৷ এ সব মিলিয়ে ফ্রান্সে বস্তুত প্রশ্ন জেগেছিল: জার্মানি আদৌ জোট-সহযোগী হবার উপযোগী কিনা৷

মালিতে কাজ করছেন জার্মান সেনারাছবি: picture-alliance/dpa

ভ্রান্ত আশা?

আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে এই আঙ্গিকে দেখলে বোঝা যায়, বিদেশে সামরিক উদ্যোগ বা অংশগ্রহণ সংক্রান্ত জার্মান নীতির যে পরিবর্তন ঘটতে চলেছে, এ আশার সঞ্চার ঘটেছে কেন ও কিভাবে৷ বলতে কি, মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে জার্মান প্রেসিডেন্টের বক্তব্য থেকে শুরু করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, সকলেই বিদেশে – অর্থাৎ বিদেশে সামরিক অভিযানে – জার্মানির আরো বেশি সংশ্লিষ্ট হওয়ার কথা বলেছেন৷

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফন ডেয়ার লাইয়েন সম্প্রতি তাঁর আফ্রিকা সফরে এমন আভাসও দিয়েছেন, আফগানিস্তানে সৈন্যনিয়োগ সত্ত্বেও জার্মানির এখনও বিদেশে সৈন্য পাঠানোর ক্ষমতা আছে এবং জার্মানি ভবিষ্যতে আরো বেশি দায়িত্ব নেবে, বিশেষ করে আফ্রিকায়৷ অপরদিকে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল আশ্বাস দিয়েছেন যে, জার্মানি ফ্রান্সের সঙ্গে এই দায়িত্বের ভাগ নেবে৷

অপরদিকে সামরিক সংঘাতের বাস্তবিক অস্ত্র হাতে যুদ্ধের দিকটা দৃশ্যত জার্মানির এই নতুন দায়িত্ববোধের অংশ নয়৷ যেমন সেন্ট্রাল আফ্রিকায় ইউরোপীয় সামরিক অভিযানে ম্যার্কেল তাঁর সম্মতি দিয়েছেন বটে, কিন্তু তিনি তথাকথিত ইউরোপীয় ব্যাটল গ্রুপকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে পাঠানোর বিরোধী৷ তার কারণ, আগামী জুন মাস থেকে জার্মানি এই ব্যাটল গ্রুপের সৈন্য দেবে৷ তখন জার্মান সৈন্যরা যে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে যুদ্ধ করবে, ম্যার্কেল সেটা কোনোমতেই ঘটতে দিতে চান না৷ তার চেয়ে তিনি জার্মান-ফরাসি ব্রিগেডকে সেখানে পাঠানোর পক্ষপাতী৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ