বাংলাদেশে রানা প্লাজা বিপর্যয় গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল৷ তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশের উন্নতির লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷ জার্মান সরকার এক অভিনব কর্মসূচির মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে অবদান রাখছে৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ, রানা প্লাজা৷ এপ্রিল ২০১৩৷ একটি গার্মেন্টস কারখানা ভেঙে পড়েছে৷ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে৷ বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের প্রায় ৩০ লক্ষ নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ কতটা খারাপ, গোটা বিশ্ব তা জানতে পারলো৷
প্রতিদিন শ্রমিকরা পশ্চিমা বিশ্বের বাজারের জন্য জিনস ও টি শার্ট উৎপাদন করেন৷ দিনে অনেক ঘণ্টা কাজ করতে হয়, বছরে তাঁরা বেশি ছুটিও পান না৷ খুব কম শ্রমিকের চাকরির স্থায়িত্ব রয়েছে৷ ফলে ছাঁটাই থেকে সুরক্ষা বা অসুস্থ হলেও বেতনের সুবিধা তাঁরা পান না৷ মজুরিও খুব কম৷ জার্মানির কর্মজগতের পরিস্থিতির সঙ্গে পার্থক্য চোখে পড়ার মতো৷ পোশাক শিল্পের শ্রমিক পপি আক্তার বলেন, ‘‘কাজের ক্ষেত্রে তো অনেক পার্থক্যই তো দেখলাম৷ কাজের ক্ষেত্রে যদি বলি যে এখানকার যন্ত্রগুলি খুব আরামদায়ক৷ আমি চাইলে দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারি অথবা বসে কাজ করতে পারি৷ বাংলাদেশে আমাদের বসে কাজ করতে হয়৷ সেই ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হয়৷ ফলে অনেক সময় মেরুদণ্ডে, ঘাড়ে ব্যথা হয়৷''
বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকদের পাশে জার্মানি
রানা প্লাজা বিপর্যয়ের দেড় বছর পর জার্মানি যে ‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’ চালু করেছে, সে উপলক্ষ্যে ফেডারাল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার বাংলাদেশ যান৷ নিজের চোখে দেখেন সেখানকার মানুষ ও তাঁদের উন্নয়নকে৷
ছবি: DW/S. Burman
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
রানা প্লাজা বিপর্যয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে৷ চালু হয়েছে ‘‘অ্যাকর্ড’’, ‘‘অ্যালায়েন্স’’ এবং ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’ মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, যার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা৷
ছবি: DW/S. Burman
একযোগে
জার্মান উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এক করা৷ গাজিপুরের ডিবিএল গ্রুপ ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’-এ যোগ দিয়েছে ও ইতিমধ্যেই একাধিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করেছে৷ জার্মান উন্নয়নমন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং এই আশা প্রকাশ করেন যে, অন্যান্য সংস্থাও এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবে৷
ছবি: DW/S. Burman
মোটরসাইকেলে
প্রায় দেড়’শ নতুন লেবার ইনস্পেক্টরদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে, কারখানাগুলোর পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য৷ কোনো সংকট ঘটলে যানজট এড়িয়ে চটজলদি অকুস্থলে পৌঁছানোর জন্য তাদের মোটরসাইকেল দেওয়া হয়েছে৷
ছবি: DW/S. Burman
লুডো খেলাও সচেতনতা বাড়ায়
গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকরা প্রধানত মহিলা, নিজেদের আইনি দাবিদাওয়া সম্পর্কে তাঁদের বিশেষ ‘জানকারি’ নেই৷ কাজেই কারখানায় ‘‘মহিলাদের কাফে’’ সৃষ্টি করে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে বিনোদনের জন্য লুডো খেলা৷
ছবি: DW/S. Burman
কাজের জায়গায়
পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম৷ দিনে দশ থেকে চোদ্দ ঘণ্টা কাজ৷ ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’ এই অনলস কর্মীদের কাজের পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে চায়৷
ছবি: DW/S. Burman
রাজনীতিও শামিল
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গাজিপুরের ডিবিএল গ্রুপের ফ্যাক্ট্রিতে জার্মান উন্নয়নমন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলারের সঙ্গে যোগ দেন এবং সহযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা করেন৷ গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি ঘটানোর জন্য সরকারের উদ্যোগ বিশেষভাবে প্রয়োজন৷
ছবি: DW/S. Burman
মিনি ফায়ার ব্রিগেড
গ্যার্ড ম্যুলার গাজিপুরে ডিবিএল গ্রুপের কারখানার নতুন ‘খুদে দমকল বাহিনীর’ উদ্বোধন করেন৷ এই ফায়ার ব্রিগেড এক কিলোমিটার ব্যাসের এলাকার মধ্যে অগ্নি নির্বাপণে সক্ষম৷ ম্যুলারের সঙ্গে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ৷
ছবি: DW/S. Burman
চাইল্ড কেয়ার
শ্রমিক কল্যাণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে কারখানা প্রাঙ্গণে ডে-কেয়ার সেন্টার সৃষ্টি করে মহিলা শ্রমিকদের শিশুসন্তানদের দেখাশোনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷
ছবি: DW/S. Burman
সবে মিলে করি কাজ
জার্মান সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা, মালিকপক্ষ, বিদেশি ক্রেতা এবং অপরাপর সংশ্লিষ্টরা সকলে একত্রিত হয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছেন৷
ছবি: DW/S. Burman
লক্ষ্য
বাংলাদেশ বর্তমানে ২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের গার্মেন্টস রপ্তানি করে থাকে৷ সরকার সেটাকে ২০২১ সাল – অর্থাৎ দেশের পঞ্চাশতম বার্ষিকীর মধ্যে ৫০ বিলিয়নে দাঁড় করাতে চান৷ জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার গত ৭ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন৷
ছবি: DW/S. Burman
10 ছবি1 | 10
অথচ কাজের পরিবেশ আরও সহজ, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর করে তোলা সম্ভব৷ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মী ও কোম্পানির প্রতিনিধিদের এক দল সম্প্রতি চার সপ্তাহের জার্মানি সফরে এসে স্বচক্ষে তা দেখে গেলেন৷ জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রণালয় ও সরকারি দুর্ঘটনা বিমা কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে তাঁরা জার্মানিতে এসেছিলেন৷
শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি আরমান খান বলেন, ‘‘এ জায়গায় ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে, দুর্ঘটনা বিমার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে৷ বিভিন্ন ধরনের বিমা বা হেলথ সেফটি – এ সব বিষয়ে আলাপ আলোচনা খুব ভালো লেগেছে৷ জার্মানিতে এগুলি খুবই ভালো৷''
কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে এসে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তৈরি পোশাক কারখানার এমন একটি কাজের ইউনিট দেখে অবাক হলেন, যেটি কারখানার কাজ আরও সহজ করে তুলবে, ক্লান্তি দূর করবে৷ শ্রমিকরা ইচ্ছামতো বসে অথবা দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারবেন৷ চেয়ারের বিশেষ হাতল কাঁধ ও হাতের পেশিগুলিকে আরাম দেয়৷ পপি আক্তার বলেন, ‘‘জার্মানিতে আসার পর যা কিছু দেখেছি, তার মধ্যে আজকের এই মেশিনটিই সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে৷ এখানে কাজ করে আমি খুবই আনন্দিত৷''
আইএফএ-র অধ্যাপক রল্ফ এলেগাস্ট বলেন, ‘‘এটা বাংলাদেশেও ব্যবহার করা যেতে পারে৷ এটা ঠিক যে এই ইউনিটের দাম বেশি – প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার ইউরোর মতো৷ তবে সেই অর্থ দ্রুত উঠে আসবে৷ কারণ দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে কর্মীর পেশি বা হাড়ের কম সমস্যা হবে, তাদের কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে না৷ ফলে হরেদরে অর্থের সাশ্রয় হবে৷''
রানা প্লাজার বিভীষিকার কথা জার্মানরা ভোলেনি...
বন শহরে ছোট্ট একটা জমায়েত৷ উদ্দেশ্যটা কিন্তু বড় এবং মহৎ৷ আয়োজকরা চান, বাংলাদেশের আর কোনো পোশাক কারখানায় যেন মৃত্যুর বিভীষিকা নেমে না আসে৷ সেই লক্ষ্যে সচেতনতা বাড়াতেই ‘স্বচ্ছ কাপড়’-এর দাবি নিয়ে হাজির হয়েছিল ফেমনেট৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য মূল্য দাও
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের দুরবস্থা সম্পর্কে ইউরোপকেও সজাগ করেছে৷ বাড়ছে সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ৷ ‘ফেমনেট’ নামের সংগঠনটি সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে৷ জার্মান কোম্পানিগুলো যাতে বাংলাদেশ থেকে কাপড় কেনার সময় ‘ন্যয্য’ দাম দেয় এবং এর মাধ্যমে যাতে শ্রমিকদের দুর্ভোগ কমানোয় ভূমিকা রাখে – এই দাবি তুলছে তারা৷ বুধবার বন শহরে আয়োজিত সমাবেশেও তোলা হয়েছে এই দাবি৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
কারা আপনার পোশাক তেরি করছে তা কি জানেন?
দর্শকদের জন্য স্ট্যান্ডে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের কিছু নমুনা৷ পোশাকের সঙ্গে সাদা কাগজে বড় করে লেখা হয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জার্মান ক্রেতা কোম্পানিগুলোর নাম৷ এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই রানা প্লাজার ধসে নিহত, আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং পোশাকের ন্যায্য মূল্য দাবি করেছে ফেমনেট৷ কাপড়ের স্ট্যান্ডটির অদূরে একটি ব্যানার, তাতে লেখা, ‘কারা আপনার পোশাক তেরি করছে তা কি জানেন?’
ছবি: DW/A. Chakraborty
বন্ধুর হাত....
কফিনের কাপড় দিয়ে তৈরি ‘বডি ব্যাগ’৷ বুধবারের সমাবেশে মৃতদেহ বহনের কাজে লাগে এমন কিছু ব্যাগও ছিল৷ বাংলাদেশের শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিরাপদ কাজের পরিবেশ পায় না৷ অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে লাশ হতে হয় তাদের৷ ‘বডি ব্যাগ’-এ হাতের ছাপ দিয়ে রানা প্লাজা ট্র্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ এবং পোশাক শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দাবি করা হলো৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
সহমর্মী...
স্থানীয় সাংবাদিকদের একজন দায়িত্ব পালন শেষে নিজের হাতদুটোও রংয়ে রাঙালেন৷ ‘বডি ব্যাগ’-এ হাতের ছাপ দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে যে! ‘ক্লিন ক্লথ’ অর্থাৎ স্বচ্ছ পোশাক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে ফেমনেট৷ তাদের সঙ্গে আরো রয়েছে খ্রিশচান ইনিশিয়েটিভ রোমেরো, ইনকোটা-নেটওয়ার্ক এবং স্যুডভিন্ড ফাউন্ডেশন নামের তিনটি সংগঠন৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
৫ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে
স্বেচ্ছাসেবকদের সংগঠন ফেমিনেটের এক কর্মী৷ তাঁর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘বেনেটন, পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাও৷’’ তৈরি পোশাক ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা ইতিমধ্যে সাফল্যের মুখ দেখেছে৷ ‘পার্টনারশিপ ফর সাস্টেনেবল টেক্সটাইল’ নামের একটি জোট তৈরি হয়েছে জার্মানিতে, যারা শ্রমিকদের স্বার্থকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
চলতে চলতে ছবি তোলা...
পোশাক কারখানার মালিকরা কম মজুরি দিয়ে যে পোশাক তৈরি করে, বিদেশি ক্রেতারা কম দামে যে কাপড় কেনে তাতে তো শ্রমিকের কষ্টের অদৃশ্য কালি লেগেই থাকে! সেই কালিমুক্ত কাপড়ের দাবি পূরণ করতে ফেমিনেট-এর এই ‘স্বচ্ছ কাপড়’ ক্যাম্পেন৷ তাদের সমাবেশের পাশ দিয়ে যাবার সময় ব্যস্ত পথচারীরা থমকে দাঁড়াচ্ছিলেন৷ কাজের তাড়া ছিল বলে যাঁরা বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাঁদের অনেকেই যাবার আগে ছবি তুলে স্মৃতি রেখে দিতে ভুল করেননি৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
6 ছবি1 | 6
দক্ষিণ এশিয়ায় কর্মক্ষেত্রে এমন আধুনিক সুরক্ষার ব্যবস্থা কার্যকর হবে কিনা, তা অনেকটাই নির্ভর করছে পশ্চিমা বিশ্বের ক্রেতা ও পোশাক কোম্পানিগুলির উপর৷ ক্রেতারা পোশাকের জন্য কিছুটা বাড়তি মূল্য দিতে প্রস্তুত হলে তবেই কোম্পানিগুলি বাংলাদেশে বাড়তি মজুরি ও আরও উন্নত সামাজিক মানদণ্ডের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে৷
জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হান্স ইওয়াখিম ফুখটেল এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন৷ তাঁর মন্ত্রণালয় টেকসই পোশাক জোট গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে এবং এ জন্য ৫ কোটি ইউরো ধার্য করছে৷
জার্মান উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হান্স ইওয়াখিম ফুখটেল বলেন, ‘‘এই অর্থ দিয়ে ইন্সপেক্টরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, নতুন প্রযুক্তি, নিরাপত্তার নতুন মানদণ্ড চালু করা হবে৷ এভাবে কর্মস্থলের একটা চিত্র উঠে আসবে৷ ইলেকট্রিকের তার নিরাপদ কিনা, সেগুলি সিলিং-এ লাগানো আছে, না ঘরেই খোলা পড়ে আছে, সে সব জানা যাবে৷''
এই ধরনের স্পষ্ট সাহায্য সম্পর্কে কর্মী, শ্রমিক সংগঠন ও কোম্পানির প্রতিনিধিরা বেশ ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন৷ জার্মানিতে তাঁরা যা দেখেছেন এবং শিখেছেন, তা যতটা সম্ভব কাজে লাগাতে চান তাঁরা৷ সিনিয়র অফিসার ডালিয়া আক্তার বলেন, ‘‘আমার মনে হয় এই ব্যপারে ওনারা আমাদের সরকারকে, আমাদের মালিকদেরকে সাহায্য করতে পারেন, সহায়তা করতে পারেন৷''
সেই আশা যাতে পূরণ হয়, তা অবশ্যই নিশ্চিত করার চেষ্টা করা উচিত৷