সেই ২০১০ সালের বিশ্বকাপ থেকেই জার্মানির এক নম্বর গোলরক্ষক হিসেবে রয়েছেন নয়ার৷ অবশ্য ঘাড়ে ইনজুরির কারণে চলতি বিশ্বকাপের আগে তাঁর ফিটনেস নিয়ে খানিকটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল৷ তবে আশার কথা হচ্ছে, তিনি সেরে উঠেছেন৷ জাতীয় দলের হয়ে ৪৫ বার মাঠে নেমেছেন নয়ার৷

ভাইডেনফেলার জার্মান দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিটই খেলেছেন তিনি৷ তবে জাতীয় দলের পক্ষে এখন অবধি শুধুমাত্র দু’বার খেলার সুযোগ পেয়েছেন ডর্টমুন্ডের এই গোলরক্ষক৷

বুন্ডেসলিগায় অন্যতম শক্তিশালী গোলরক্ষক হিসেবে বিবেচিত সিলার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত৷ তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে জার্মান দলের সঙ্গে আছেন তিনি৷ বলাবাহুল্য, জার্মান দলের এই অবস্থানটিতেও প্রতিযোগিতা কম নয়৷ কোচ ল্যোভের অবশ্য ২৪ বছর বয়সি সিলারকে দারুণ পছন্দ৷

আর্সেনালে চমৎকার একটি মৌসুম পার করা ম্যার্টেসাকার বিশ্বকাপেও ভালো করার আশা রাখছেন৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে অধিনায়কের ‘আর্মব্যান্ড’ পরে মাঠে নেমেছিলেন তিনি৷

ল্যোভের রক্ষণভাগের এক শক্তিশালী খেলোয়াড় বোয়াটেং, যিনি ৩৮ বার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন৷ প্রীতি ম্যাচে লামের অনুপস্থিতি বুঝতেই দেননি তিনি৷ তবে বোয়াটিং মধ্যমাঠেই সবচেয়ে ভালো খেলেন৷

জাতীয় দলের হয়ে ২৯ বার মাঠে নামা হুমেলস তাঁর সতীর্থদের তুলনায় অভিজ্ঞতার বিচারে হয়ত পিছিয়ে থাকতে পারেন৷ কিন্তু রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে বুন্ডেসলিগায় ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি৷

শালকের অধিনায়ক হ্যোভেডেজ দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন৷ ব্রাজিলেও তাঁর ব্যতিক্রম ঘটেনি৷ ‘সেন্টার-ব্যাক’ অবস্থানে সবচেয়ে যোগ্য হ্যোভেডেজ প্রয়োজনে ‘রাইট-ব্যাকেও’ খেলতে পারেন৷ তবে তিনি জাতীয় দলের হয়ে এখন অবধি মাত্র ১৮ বার মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন৷

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ভালো করা ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড় ডুর্ম জাতীয় দলে একেবারেই নতুন৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি দিয়ে তাঁর জাতীয় দলে যাত্রা শুরু হয়৷

গ্রোসক্রয়েৎসের মতো খেলোয়াড় দলে পেলে যে কোনো ম্যানেজারই খুশি হবেন৷ ডর্টমুন্ডের এই তারকা ‘ডিফেন্ডার’ হিসেবে তো বটেই, মাঠের যে কোনো অবস্থানেই ভালো খেলতে পারেন৷ ফলে জাতীয় দলের ২৩ জনের তালিকায় তাঁর স্থান পাওয়ায় বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই!

দল এবং দেশের পক্ষে খেলাগুলিতে ফিলিপ লামকে বিভিন্ন অবস্থানে খেলানো হয়েছে৷ তবে ল্যোভের বিবেচনায় ‘রাইট ব্যাক’ অবস্থানের জন্যই সবচেয়ে উপযুক্ত তিনি৷ জাতীয় দলের পক্ষে ১০৫ বার মাঠে নামা লাম এবার তাঁর সাফল্যের তালিকায় বিশ্বকাপ ট্রফিও যোগ করতে চান৷ ৩০ বছর বয়সি এই ফুটবলার জার্মান জাতীয় দলের অধিনায়ক৷

ফুটবল মাঠে বিভিন্ন পজিশনে খেলতে পারদর্শী মাটিয়াস গিন্টারও কোচ ল্যোভের বিশেষ পছন্দের তালিকায় রয়েছেন৷ জার্মানির ঘরোয়া ফুটবলে চমৎকার একটি বছর কাটিয়েছেন ফ্রাইবুর্গের এই তরুণ খেলোয়াড়৷

জাতীয় দলের হয়ে একশোবার মাঠে নামার সৌভাগ্যবানদের তালিকায় কিছু দিন আগেই নাম লিখিয়েছেন শোয়াইনস্টাইগার৷ মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা এবারের বিশ্বকাপে জার্মানিকে সহায়তা করবে বলে আশা করছেন অনেকেই৷ পাশাপাশি তরুণ খেলোয়াড়দেরও তাঁর কাছ থেকে শেখার আছে অনেক৷

মাঠে নিরলস ভাবে দৌঁড়ানো এবং নির্ভুল ‘পাস’ দেয়ার সুনামের অধিকারী ক্রামার পোল্যান্ডের বিপক্ষে চমৎকার খেলেছেন৷ আর ক্যামেরুনের বিপক্ষে শেষের ১৫ মিনিটে তাঁর খেলা ল্যোভের মন জয় করার জন্য ছিল যথেষ্ট৷

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পর্যায় মাঠ থেকে তুলে নেয়া হয় সামি খেদিরাকে৷ গত নভেম্বরে হাঁটুতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলেন তিনি৷ তবে তিনি দ্রুতই সেরে উঠছেন৷ পুরোপুরি ফর্ম ফিরে পেলে জার্মানির বিশ্বকাপ দৌঁড়ে বড় অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে তাঁর৷

বায়ার্ন মিউনিখে নিজের ভবিষ্যত কী হবে – সেটা নিয়ে এখন সম্ভবত ভাবছেন না ক্রোস৷ তাঁর চিন্তা এখন শুধুই বিশ্বকাপকে ঘিরে৷ অসাধারণ ‘পাস’ দিতে দক্ষ এই তারকা জাতীয় দলের অন্যতম কাণ্ডারি৷

ল্যোভের আরেক আবিষ্কার ড্রাক্সলার৷ মধ্যমাঠের আক্রমণাত্মক মেজাজের এই খেলোয়াড়ের বয়স মাত্র ২০ বছর৷ গত মৌসুমে অবশ্য তাঁর খেলায় ছন্দটি ঠিক ছিল না৷ তবে এবার দলের সঙ্গে থেকে যে অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করবেন, তা ভবিষ্যতেও কাজে দেবে৷

বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে মার্কো রয়েসের ইনজুরি যেন মুস্তাফির কপাল খুলে দিয়েছে৷ ২০০৯ সালে উয়েফা অনুর্ধ-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী জার্মান দলের সদস্য তিনি৷ তাঁর বয়স এখন ২২৷

চলতি মৌসুমের শেষের দিকে খানিকটা নিষ্প্রভ হয়ে যান ও্যজিল৷ তবে শুধুমাত্র একটি মৌসুম দিয়ে ‘পারফর্মেন্স’ বিবেচনা করার মতো খেলোয়াড় তিনি নন৷ জাতীয় দলের হয়ে পঞ্চাশবারের বেশি মাঠে নেমেছেন তিনি৷ চূড়ান্ত বিবেচনায় তাই জার্মান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মেসুত ও্যজিল৷

সর্বশেষ মৌসুমে ডর্টমুন্ড ছেড়ে মিউনিখে যাওয়ায় খানিকটা সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন গ্যোটৎসে৷ এমনকি পুরাতন ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে নিজের সাবকে ভক্তদেরও মন ভেঙে দিয়েছেন তিনি৷ চলতি বিশ্বকাপে আক্রমণভাগে বেশি দেখা যেতে পারে গ্যোটৎসেকে৷

জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলেও মাঠে শ্যুর্লের অবস্থান কী হবে – তা এখনো নিশ্চিত নয়৷ কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ তাঁকে আক্রমণভাগে রাখতে পারেন৷

জাতীয় দলের হয়ে ১১২ বার মাঠে নেমেছেন পোডোলস্কি, যা এক রেকর্ড৷ খুব কম খেলোয়াড়ের পক্ষেই এমন রেকর্ড ভাঙা সম্ভব৷ ইদানীং অবশ্য দলের হয়ে মাঠে নামার চেয়ে ‘সাইড বেঞ্চে’ বসে থাকতেই বেশি দেখা যায় তাঁকে৷ তবে যে কোনো সময় জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রাখেন পোডোলস্কি৷

জার্মান দলের হয়ে গোল করতে অন্যতম দক্ষ ম্যুলার৷ সতীর্থ ক্লোজের সঙ্গে এক্ষেত্রে তাঁর মিল অনেক৷ জাতীয় দলের হয়ে ৪৭ বার মাঠে নেমে ১৮ গোল করেছেন ম্যুলার৷

জাতীয় দলের হয়ে ৬৮টি গোল করা ক্লোজের সামনে দুটি রেকর্ড ভাঙার সুযোগ রয়েছে৷ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডটি রোনাল্ডোর কাছ থেকে নিয়ে নিতে পারেন তিনি৷ আর জার্মানির হয়ে সর্বোচ্চ গোল করে গের্ট ম্যুলারের গড়া রেকর্ডও এবার ভাঙতে পারেন তিনি৷

১৭ই জুন ২০১৪৷ ব্রাজিলের সালভাদোরে খেলা হচ্ছিলো ব্রাজিল বনাম মেক্সিকোর৷ খেলা দেখার সময় ব্রাজিল দলের ভক্ত যুগল এভাবেই অনুভূতি প্রকাশ করেন৷

২০১০ সালের ৭ই জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা চলছিল৷ জার্মানি বনাম স্পেনের সেমি ফাইনাল খেলা৷ বার্লিনের ‘ফ্যান মাইল পাবলিক ভিউয়িং’-এ খেলা দেখার সময় জার্মান জাতীয় দলের দুই ভক্তের চুম্বনের দৃশ্য এটি৷

খেলা হচ্ছে ব্রাজিল দলের সাথে মেক্সিকো দলের৷ দেশের মাটিতে প্রিয় দলের খেলা হচ্ছে, কাজেই আনন্দ কিছুটা বেশিই! অন্যান্যদের মাঝে বসে নিজেরা চুম্বনে ব্যস্ত৷

এ বছর ১৫ই জুন, পর্তো আলেগ্রের বাইরা – রিও স্টেডিয়ামে ই-গ্রুপের প্রাথমিক খেলা৷ খেলছিল ফ্রান্স বনাম হন্ডুরাস৷ খেলা চলাকালে এই বিশেষ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেন এক আলোকচিত্রী৷

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪, চিলির সাথে স্পেনের বি-রাউন্ডের প্রাথমিক খেলা৷ চিলির ভক্তরা ব্রাজিলের রিও ডি জানেরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে দেখতে চুমু খাচ্ছিলেন৷

স্প্যানিশ দলের দুই ‘অন্ধ ভক্ত’ চুম্বন করছেন স্পেন বনাম হল্যান্ডের খেলা দেখার সময়৷ খেলাটি হয় গত ১৩ই জুন সালভাদোরের অ্যারেনা ফন্টে নোভা স্টেডিয়ামে৷

১৪ই জুন ২০১৪, কলোম্বিয়া বনাম গ্রিসের খেলা৷ খেলাটি হয় ব্রাজিলের বেলো হরিসন্ট-এর মিনাইরাও অ্যারেনাতে৷ কলোম্বিয়া দলের ভক্তদের এই চুম্বনটি খেলা শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তোলা৷

মানাউসের অ্যামাজন অ্যারেনা স্টেডিয়ামে ১৪ই জুন ইংল্যান্ডের সাথে ইটালির গ্রুপ ‘ডি’-এর ফুটবল ম্যাচ৷ ইটালি দলের ভক্ত চুম্বন করেছেন ইংল্যান্ড দলের ভক্তকে৷

উরুগুয়ের ভক্ত একে অপরকে চুমু দিচ্ছে৷ ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ালিফাই খেলার সময়৷ খেলাটি ছিল কোস্টারিকা বনাম মন্টেভিডিও৷

স্পেনিশ দলের সাপোর্টার দু’জন এভাবেই চুমু খাচ্ছেন রিও ডি জানেরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে, যখন চিলির জাতীয় দলের সাথে স্পেনের জাতীয় দলের খেলা চলছিল ১৮ই জুন ২০১৪ সালে৷

১৬ই জুন ছিল বিশ্বকাপ ফুটবলের ইরান বনাম নাইজেরিয়ার খেলা৷ খেলা শুরুর ঠিক আগে ইরানের ভক্ত প্রেমিক-প্রেমিকার চুমুর দৃশ্য এটি৷ রক্ষণশীল দেশ হিসেবে বিবেচিত ইরানের নাগরিকদের এ রকম প্রকাশ্য চুমুর ছবি সত্যিই বিরল৷

বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালের আসরকে সামনে রেখে ঢাকাসহ বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকা সেজেছে বর্নিল সাজে৷ বাড়ির দেয়াল থেকে রাস্তা-ঘাট, দোকান পাট সবখানেই প্রিয় খেলোয়াড়, প্রিয় দলের পতাকার রং৷

কলতাবাজারের একটি বাড়ির বাইরের দেয়ালজুড়ে ফুটবলের এই ছবি বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যেই৷

পুরান ঢাকার কলতাবাজারের গলির ভেতরে একটি বাড়ির দেয়ালচিত্রে পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ও জার্মানি এই দুই দেশের খেলোয়াড়ের প্রতীকী ছবি৷ ছবিটি যখন আঁকা হয়েছিল তখন কিন্তু এই দুই দলের ফাইনালে খেলার ভাগ্য নির্ধারণ হয়নি৷

পুরান ঢাকার কলতাবাজারের এই গলির নাম এখন বিশ্বকাপ গলি৷ ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসরকে ঘিরে স্থানীয় তরুণ ফুটবলপ্রেমীরা পুরো এলাকা মুড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপ ফুটবলের নানা চিত্র দিয়ে৷

বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে জার্মানি আর আর্জেন্টিনা৷ তাই এই দুই দেশের পতাকা নিয়ে গুলিস্তানে ক্রেতার অপেক্ষায় পতাকা বিক্রেতা জামাল৷

বিশ্বকাপে ৩২টি দলে নেই বাংলাদেশ৷ কিন্তু অন্যান্য দলের পতাকার পাশাপাশি দেশের জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানাতে ভোলেননি ফুটবল ভক্তরা৷

মাগুরা জেলার দরিদ্র কৃষক আমজাদ হোসেন ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনায় নিজের জমি বিক্রি করেছে, তৈরি করেছেন প্রিয় দল জার্মানির সাড়ে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি পতাকা৷ এতে ব্যয় হয়েছে এক লাখেরও বেশি টাকা৷ ১৯৮৭ সালে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত এই কৃষক জার্মানি থেকে আনা ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে উঠেন৷ তারপর থেকেই তিনি দেশটির ফুটবল দলের একনিষ্ঠ ভক্ত৷

জার্মানি দলের সমর্থনে দীর্ঘ এই পতাকা তৈরির জন্য আমজাদ হোসেন জার্মান জাতীয় ফুটবল দলের অফিসিয়াল ফ্যানক্লাবের আজীবন সদস্যপদ পাচ্ছেন৷ ঢাকার জার্মান দূতাবাস তাঁকে এ সম্মান জানাচ্ছে৷

ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে ফুটবল নিয়ে আনন্দ করছে এক কিশোর৷ ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সারাদেশের ফুটবল ভক্তরা কাঁপছেন বিশ্বকাপ জ্বরে৷

বুড়িগঙ্গা নদীতে চলমান বালুবাহী কার্গো শিপের ফুটবল নিয়ে কসরত করছে দুই কিশোর৷

ঢাকার পাশের এলাকা কেরাণীগঞ্জের বাড়িগুলোর ছাদে ছাদে উড়ছে আর্জেন্টিনা আর জার্মানির পতাকা৷ ফাইনালে জার্মানির কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর এ এলাকার বেশিরভাগ ব্রাজিল ভক্ত ঐ দেশের পতাকাটা নামিয়ে ফেলেন৷

এই খুদে ফুটবল প্রেমী আর্জেন্টিনা দলের ভক্ত৷ কলতাবাজারের বিশ্বকাপ গলির দেয়ালের পাশে দাঁড়ানো এই শিশুটির মত বাংলাদেশে ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাও কম নয়৷

এই ছবিটিও কলতাবাজারের৷ বিশ্বকাপ গলির উপরে ভক্তরা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু ফুটবল৷

কলতাবাজারের এই গলিটিকে সবাই এখন চেনে বিশ্বকাপ গলি নামে৷ এখানে দেখতে পাচ্ছেন জার্মান ফুটবল দলের ভক্তদের উচ্ছ্বাস৷ পুরান ঢাকার এই জায়গাটিতে প্রায়ই জড়ো হন ফুটবল ভক্তরা৷