জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের তাঁর চলতি ওয়াশিংটন সফরে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী জে জনসনের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন৷
বিজ্ঞাপন
দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আলাপের মূল সুর ছিল, ইসলামপন্থি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রামে দু'টি দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করা প্রয়োজন৷ মঙ্গলবার তাঁদের আলাপ-আলোচনার পর ডেমেজিয়ের সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন যে, উভয় দেশ আরো বেশি তথ্যের আদানপ্রদান করতে চায়; ইসলামপন্থি উগ্রবাদীদের অনলাইন প্রোপাগান্ডা প্রতিরোধ করতে চায়, ও উদ্বাস্তুদের মধ্যে যারা ‘‘বিপজ্জনক'' হয়ে উঠতে পারে, অর্থাৎ সন্ত্রাসী আক্রমণ চালাতে পারে, তাদের সম্বন্ধে খবরাখবর আদানপ্রদান করতে চায়৷
‘‘সন্ত্রাসবাদ আমাদের সকলের পক্ষেই একটা বিপদ৷ কাজেই আমাদের যা করতে হবে....তা হলো শক্ত থাকা আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা করা'', বলেছেন ডেমেজিয়ার৷ গত মার্চে ব্রাসেলস, ও তার আগের নভেম্বরে প্যারিস সন্ত্রাসের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় সহযোগীদের সঙ্গে তথ্যের আদানপ্রদান আরো জোরদার করার দাবি জানিয়ে আসছিল৷ কাজেই জনসন ইউরোপীয় দেশগুলির ‘‘বর্ধিত অঙ্গীকারকে'' স্বাগত জানিয়েছেন৷
উভয় পক্ষই যে এই সহযোগিতা থেকে উপকৃত হবে, তা-তে কোনো সন্দেহ নেই৷ জার্মানি যে অন্তত জনা চল্লিশেক উদ্বাস্তুর সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দেখছে, তা নিয়ে টুইটার সরগরম৷
মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সাম্প্রতিক নির্দেশের উল্লেখ করেছেন, যা অনুযায়ী সমগ্র ইইউ জুড়ে বিমানযাত্রী সংক্রান্ত তথ্যের ‘‘সমন্বয়'' করা হবে৷ সমস্যাটা নিয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মাথাব্যথাও কম নয়, এই টুইট যার প্রমাণ: শিকাগো বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকের লাইন ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে দাঁড়ানো নিয়ে টুইট৷
আজ বুধবার ডেমেজিয়ার মার্কিন আইনমন্ত্রী লোরেটা লিঞ্চ-এর সঙ্গে মিলিত হবেন ও দৃশ্যত তথ্যের আদানপ্রদানের ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)
প্যারিস হত্যাকাণ্ডের পর সংহতি সমাবেশে লাখো মানুষ
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গত সপ্তাহে সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ ব্যক্তি নিহত হয়৷ সেই নিহতদের স্মরণে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সপ্তাহান্তে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ৷ এই নিয়ে ছবিঘর৷
ছবি: Reuters/Platiau
লাখ লাখ নির্ভীক মানুষের সমাবেশ
লাখ লাখ মানুষ প্যারিসের বিভিন্ন রাস্তাসহ, ফ্রান্স এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরের রাস্তায় স্বাধীনতা এবং সহনশীলতার পক্ষে জড়ো হয়েছিলেন সপ্তাহান্তে৷ গত সপ্তাহে ফ্রান্সের ব্যঙ্গাত্মক পত্রিকা শার্লি এব্দো এবং একটি সুপারমার্কেটে নিহতদের স্মরণে আয়োজন করা হয় সংহতি সমাবেশের৷
ছবি: Reuters/Platiau
ফ্রান্সের ইতিহাসে সবচয়ে বড় সমাবেশ
সংহতি সমাবেশ শুরুর কয়েকঘণ্টা আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় প্যারিসের ‘প্লাস দ্য লা রিপুবলিক’৷ ফ্রান্সের সকল ইউনিয়ন এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন৷ ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রান্সের ইতিহাসে এটা সর্ববৃহৎ সমাবেশ৷
ছবি: REUTERS/Youssef Boudlal
সংহতির প্রতীক
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ এবং জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রবিবারের সংহতি সমাবেশের নেতৃত্ব দেন৷ পঞ্চাশজনের মতো বিশ্বনেতা এতে অংশ নেন৷
ছবি: Reuters/Wojazer
শোকে বিহ্বল দেশ
গত বুধবার দুই ভাই প্যারিসে শার্লি এব্দোর সম্পাদকীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় এবং ম্যাগাজিনটির প্রধান সম্পাদকসহ আরো নয় কর্মীকে হত্যা করে৷ সেসময় দুই পুলিশ সদস্যকেও হত্যা করে তারা৷ শুক্রবার অপর এক হামলায় এক সুপারমার্কেটে চার ব্যক্তিকে হত্যা করে একজন হামলাকারী৷
ছবি: Mitchell/Getty Images
সংকটকালীন বৈঠক
মার্চ শুরুর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বৈঠকে মিলিত হন৷ বৈঠকের পর ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্না কাসনোভ জানান, ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলায় সকল গণতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলেছে৷ সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ফেব্রুয়ারি মাসে বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Guillaume
উচ্চ সতর্কাবস্থা
শার্লি এব্দো কার্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের পর ফ্রান্সে উচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়৷ রবিবার সমাবেশের সময়ও নিরাপত্তা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে৷ আল কায়দা এবং ‘ইসলামিক স্টেট’ আরো সন্ত্রাসী হামলার হুমকি দিয়েছে৷
ছবি: Kitwood/Getty Images
ফ্রান্স জুড়ে সমাবেশ
শুধুমাত্র প্যারিসেই নয়, ফ্রান্সের অন্যান্য শহরে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ছবিটি মার্সেই শহরে অনুষ্ঠিত সমাবেশের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Florian
আন্তর্জাতিক সংহতি
প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে বন, বার্লিন, মাদ্রিদ, লন্ডন, ব্রাসেলসসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় শহরে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বার্লিনে ১৮ হাজারের মতো মানুষ সমাবেশে অংশ নেন৷ সমাবেশ অনেকের হাতে ছিল ‘জ্য সুই শার্লি’ বা ‘আমি শার্লি’ স্লোগান৷