তেহরানে সোমবার সেনার কুচকাওয়াজে যোগ দিয়েছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে ইরানের সেনা তার জবাব দেবে।

রাইসির বক্তব্য, ইসরায়েলের জন্যই ইরানে একাধিক পরমাণু প্রকল্প নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, অস্ত্র নয়, মানুষের সুবিধার জন্যই ওই প্রকল্পগুলি খোলা হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল অপপ্রচার করেছে। পরমাণু চুক্তি থেকে অ্যামেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার পিছনেও ইসরায়েলের হাত ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

জেরুসালেমের সাম্প্রতিক সংঘর্ষ নিয়েও মত প্রকাশ করেছেন রাইসি। তার বক্তব্য, জেরুসালেমে যা ঘটছে, তার দায় ইসরায়েলকে নিতে হবে। বস্তুত, বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেনা প্যারেড থেকে ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়ার পিছনে জেরুসালেমের ঘটনাই সবচেয়ে বড় কারণ।

রমজান শুরু হওয়ার পরে জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদ নিয়ে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর দফায় দফায় লড়াই হয়েছে। বহু মানুষ আহত।

আল-আকসা মসজিদ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। মুসলিম এবং ইহুদি দুই পক্ষই ওই জায়গাটিকে পবিত্র বলে মনে করে। তার থেকেই লড়াইয়ের সূত্রপাত। গতবছরও রমজানের ঠিক পরে ওই অঞ্চলে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের তীব্র লড়াই হয়েছিল। অন্তত ১২ জন ইসরায়েলির মৃত্যু হয়েছিল। বহু ফিলিস্তিনিরও মৃত্যু হয়েছিল।

গত কয়েকমাসে ইসরায়েলে একের পর এক হামলা হয়েছে। বেশ কিছু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরপর পশ্চিম উপত্যকায় অপারেশন চালিয়েছে ইসরায়েল। ফলে গত কয়েকমাস ধরেই ওই অঞ্চলে উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছিল।

ইরান ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব মানতে চায় না। তাদের বক্তব্য, ফিলিস্তিনে দখলদারি চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাইসি ইসরায়েল বিষয়ে বরাবরই কট্টর অবস্থান নিয়েছেন। ফলে তার আমলে ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সংঘাত আরো বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে একাধিক দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক চুক্তি করছে। ওই দেশগুলিকেও বার্তা দিয়েছেন রাইসি। বিষয়টিকে এক ধরনের আপস সমঝোতা বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি।