জার্মানীতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন শুরু
২ জুন ২০০৮সম্মেলনের প্রথম দিনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধি ঘটছে বলে মত দেন আয়োজকরা৷ তাদের দাবি, বায়ুমন্ডলে কার্বন নির্গমন কমাতে বায়োফুয়েল ব্যবহারের যে পন্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা আরও খারাপ ফল বয়ে আনছে৷ কারণ এর ফলে খাদ্যদ্রব্যের দাম আশংকাজনকহারে বেড়ে যাচ্ছে এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে শুরু করে কম-বেশী সব দেশের নাগরিকরাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে৷
এই প্রসঙ্গে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান ইভো ডি বোয়ার জানান, খাদ্য ও জ্বালানী তেল বিষয়ে তাদের উদ্বেগকে স্বাগত জানাই কিন্তু জলবায়ু পরির্বতনের দিকটা না দেখলে এই দুটোর উর্দ্ধগতি রোধ করা দুরহ হবে৷
বোয়ার, কার্বন নির্গমন রোধে বায়োফুয়েলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আমি মনে করি কার্বন নির্গমন রোধে বায়োফুয়েলের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়৷
এই সম্মেলনে ভারত এবং চীনকেও কার্বন নির্গমন রোধে চুক্তির আওতায় আনার আহ্বান জানানো হতে পারে৷ কারণ কিয়োটো চুক্তি অনুযায়ী এই দেশ দুটি কার্বণ নির্গমন রোধে বাধ্য নয়৷ তথাপি পরিবেশ দুষণে তাদের ভূমিকাও নেহায়েত কম নয়৷
প্রসঙ্গত, বন শহরের এই সম্মেলন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের আটটি সিরিজ সম্মেলনের দ্বিতীয়টি, যার প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো গত বছর ডিসেম্বরে, বালিতে৷ আগামী বছরের শেষের দিকে কোপেনহেগেন শহরে এই সিরিজের শেষ সম্মেলনটি হবে৷ এসব সম্মেলনের মুল লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে মোক্ষম উপায়গুলো খুঁজে বের করা৷ আর তা করতে হবে ২০১২ সালে কিয়োটো প্রোটোকলের প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই৷