জার্মান অর্থনীতি নিয়ে সরগরম গ্রিন পার্টির কনভেনশন
২৭ নভেম্বর ২০২৩সাধারণত গ্রিন পার্টির কনভেনশনে এত ভিড় দেখা যায় না। সাংবাদিক নিয়ে এবারের কনভেনশনে যোগ দিয়েছেন প্রায় চার হাজার মানুষ। কিন্তু অন্যবারের চেয়ে এবারে বিতর্কের পরিসর কম। মূল আলোচনা ঘুরপাক খাচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ নিয়ে। জার্মানি-সহ পশ্চিমা দেশগুলি সরাসরি এই লড়াইয়ে অংশ না নিলেও বিপুল পরিমাণ সাহায্য করতে হচ্ছে তাদের। আর তার ফলেই মূল্যবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি শুরু হয়েছে। জার্মান অর্থনীতির উপর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গ্রিন পার্টির কনভেনশনে এই বিষয়টি বার বার উঠে আসছে।
শরণার্থী সমস্যা নিয়ে বিতর্ক
সম্প্রতি জার্মান সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন শরণার্থী গ্রহণের বিষয়ে বেশ কিছু নীতি স্থির করেছে। কতজন শরণার্থীকে জায়গা দেওয়া হবে, তা নিয়েও নির্দিষ্ট নীতি স্থির করা হয়েছে। গ্রিন পার্টির কনভেনশনে এই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক হয়েছে। নীতিগতভাবে শরণার্থীদের পাশে থাকে গ্রিন পার্টি। দলের ছাত্রশাখা বা গ্রিন ইউথরা প্রশ্ন তুলেছে, সরকারে থেকে গ্রিন পার্টি কীভাবে শরণার্থী-বিরোধী নীতি সমর্থন করছে। বিরোধী আসনে বসলে বর্তমান নীতি তারা কোনোভাবেই সমর্থন করতো না। শরণার্থী বিষয়ে দ্রুত গ্রিন পার্টির স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া উচিত বলে তারা কনভেশনের নেতাদের জানিয়েছেন।
৬০ বিলিয়ন ইউরোর বিতর্ক
জলবায়ু পরিবর্তন এবং আগামী দিনের প্রস্তুতির কথা ভেবে কোভিড ফান্ড থেকে ৬০ বিলিয়ন ইউরো নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল গ্রিন পার্টি। কিন্তু সিডিইউ-র মতো রক্ষণশীল দল এ নিয়ে আদালতে গেছে। গ্রিন পার্টির কনভেশনে এ বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।
বলা হয়েছে, অ্যামেরিকা ইতিমধ্যেই ৪০০ বিলিয়ন ডলার এই খাতে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে জার্মানি রক্ষণশীল অবস্থান নিচ্ছে। জার্মান সংস্থাগুলিকে ভবিষ্যতের জন্য অর্থ না দিলে জার্মানি বিশ্বের প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে পড়বে বলে তারা মনে করেন। জার্মান অর্থনীতির ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সংস্কার হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে গ্রিন পার্টির নেতৃত্ব।
জেনস থুরাও/এসজি